পেটে লাথি দিতে আসছেন, নির্মাতাকে কেন বলেছিলেন দিলদার
Published: 13th, July 2025 GMT
বাংলাদেশের কৌতুক অভিনেতাদের একজন দিলদার। একটা সময় যার উপস্থিতিতে প্রেক্ষাগৃহে বইতো হাসির ঝরনাধারা, দর্শকদের উচ্ছ্বাস। কৌতুক অভিনেতার তকমা পেরিয়ে নায়িকের ভূমিকায়ও পাওয়া গেঠে তাকে। ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হয়েও সাফল্য পেয়ে চমকে দিয়েছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে প্রযোজক-অভিনেতা নাদের খান বলেন, “তোজাম্মেল হক বকুলের ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হন দিলদার। নির্মাতার কাছে নায়কের প্রস্তাব পেয়ে অবাক হয়েছিলেন তিনি। তোজাম্মেল হক বকুলের প্রস্তাব পেয়ে দিলতার বলেন, ‘আপনি কি আমার পেটে লাথি দিতে আসছেন? এই সিনেমা করার পর তো আমার কৌতুকের জায়গাটাও হারিয়ে যাবে। আমার তো আর কাজই থাকবে না। বৌ-বাচ্চা নিয়ে তখন কই যাবো?’ অনেক অনুরোধের পর রাজি হন দিলদার।’
নাদের খান বলেন, তবে দিলদারের বিপরীতে কে হবেন নায়িকা? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মৌসুমী, শাবনূরসহ বেশ কয়েকজন নায়িকা। এরপর নূতনের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান নির্মাতা। সম্মতি জানান তিনি।”
তিনি বলেন, “এরপর থেকে নূতনের কাছে অনেক ফোন আসতে শুরু করে, তিনি যেন সিনেমাটি না করেন! কিন্তু দমে যাননি নূতন। সিনেমাটি তৈরির পরেও নির্মাতা ও প্রযোজক ছিলেন ভয়ের মধ্যে। কেন দিলদারকে নিয়ে এই ঝুঁকি নিয়েছেন, হলমালিকদের কাছ থেকেও শুনতে হয়েছে এমন প্রশ্ন। তবে মুক্তির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। প্রথম দিন থেকে হলে ভিড় জমায় দর্শক। প্রযোজক জানান, সে সময় আব্দুল্লাহ প্রায় ৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।”
দিলদারের সঙ্গে সিনেমা নিয়ে নায়িকা নূতুন বলেন, “দিলদার যখন চলচ্চিত্রে আসেনি তখন থেকেই আমি ওনাকে চিনি। এরপর তার সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছি। নায়ক হিসেবে তাকে পেয়েছি ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায়। এই সিনেমায় রাজি হওয়ার পর আমাকে প্রায় সবাই আমাকে নিষেধ করেছে। নায়িকা হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছি আমার নিজের জন্য। কারণ, আমি নায়িকা, নির্মাতা যদি রাস্তার একজন মানুষকে আমার পাশে নিয়ে দাঁড় করান তার সঙ্গে অভিনয় করা আমার দায়িত্ব। আমার জায়গায় আমি সঠিক ছিলাম। কাজটা শেষ হওয়ার পর বুঝেছি দর্শক আমাকে কতটা ভালো বাসেন।”
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রস ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
আগের দিন রোহিত শর্মার রেকর্ড ভেঙেছিলেন বাবর আজম। লাহোরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ১১ রানের ইনিংস খেলেই ভারতের সাবেক অধিনায়ককে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছিলেন বাবর। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে কেড়েছেন আরেক ভারতীয় কিংবদন্তি বিরাট কোহলির রেকর্ড। ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাবরের এটি ৪০তম ৫০ ছোঁয়া ইনিংস। ৩৯টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে এত দিন বাবরের সঙ্গে রেকর্ডটির যৌথ মালিক ছিলেন কোহলি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ইনিংস পর ফিফটি পাওয়া বাবরের ইনিংসে ভর করেই লাহোরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা ৪ উইকেট জিতেছে পাকিস্তান। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজটা পাকিস্তান জিতল ২-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ হারার পর ঘুরে দাঁড়িয়েই সিরিজ জিতল পাকিস্তান।
টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে করে ১৩৯ রান। রানটা ৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান।
রান তাড়ায় ইনিংসের ১১তম বলে ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর ব্যাটিংয়ে নামেন এরপরই। দ্বিতীয় উইকেটে সাহিবজাদা ফারহানকে নিয়ে ৩৬ রান জুটি গড়া বাবর তৃতীয় উইকেটে সালমান আগাকে নিয়ে ৫২ বলে যোগ করেন আরও ৭৬ রান। ২৬ বলে ৩৩ রান করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান যখন ফেরেন ২৭ বলে ২০ রান দরকার পাকিস্তানের।
৫ রান যোগ হওয়ার পর চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন বাবর ৪৭ বলে ৯ চারে ৬৮ রান করা বাবর ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ১৫ রানের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে আরও ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের অপেক্ষা একটু লম্বা করেছে পাকিস্তান।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ওপেনার রিজা হেনড্রিকস। এ ছাড়া অধিনায়ক ডোনোভান ফেরেইরা ১৪ বলে ২৯ ও অলরাউন্ডার করবিন বশ ২৩ বলে করেন ৩০ রান। পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
দুই দল এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার ফয়সালাবাদে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরদক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৩৯/৯ (হেনড্রিকস ৩৪, বশ ৩০*, ফেরেইরা ২৯, ব্রেভিস ২১; আফ্রিদি ৩/২৬, তারিক ২/২৬, ফাহিম ২/২৮)।পাকিস্তান: ১৯ ওভারে ১৪০/৬ (বাবর ৬৮, সালমান ৩৩, ফারহান ১৯; বশ ২/২৪, উইলিয়ামস ২/২৬)।
ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩-ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।