ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর-ভাঙ্গা অংশ চার লেন করার কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের মুজিব সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘ভাঙ্গা-ফরিদপুর চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন’ কমিটি। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে ফরিদপুরের ২৮টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। এতে সংহতি জানান জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা। বক্তব্য দেন ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলতাফ হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া, জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য আবদুত তাওয়াব, ড্যাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ, ভাঙ্গা-ফরিদপুর চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য আবরাব নাদিম প্রমুখ।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, একটি জেলার উন্নয়নের চাবিকাঠি যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মহাসড়কটি অবহেলায় পড়ে আছে। বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সড়কটি চার লেন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও আজও দৃশ্যমান কোনো কাজ করা হয়নি। এমনকি ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা এলেও এখন পর্যন্ত ১ শতাংশ জমিও অধিগ্রহণ করা হয়নি।

কর্মসূচির সমাপনী বক্তব্যে ভাঙ্গা-ফরিদপুর চার লেন দ্রুত বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নিলে ২৩ জুলাই সড়কটি অবরোধ করা হবে। ওই দিন মানুষের ভোগান্তি হলে জেলা প্রশাসক ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়ভার নিতে হবে।

জেলা সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কটির ফরিদপুর-ভাঙ্গা অংশে ৩২ কিলোমিটার সড়ক আছে। পদ্মা সেতুর পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০টি জেলার মানুষ চলাচল করে। এ লক্ষ্যে মহাসড়কটি চার লেন করার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করতে ৫০০ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে টাকা দেওয়া হয়েছে। নানা জটিলতার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ হয়নি। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শুরু না হলে প্রকল্প থেকে এ অংশ বাদ যেতে পারে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল জানান, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ র ল ন কর র

এছাড়াও পড়ুন:

শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে ‍শিবচর থানায় মামলাটি করেন।

এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।

মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • যে কারণে ফেনী এখন ভাঙাচোরা সড়কের শহর
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে সড়ক সংস্কার, দুদকের অভিযান