সিলেট নগরীর কাজিরবাজারে চা দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এক রেস্টুরেন্ট কর্মচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে নগরীর কাজিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্বাস নামে এ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত কর্মচারীর রুমন মিয়া (২২)। তিনি দক্ষিণ ‍সুরমার জালালপুরের বাসিন্দা। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিরঞ্জন ঘোষের রেস্টুরেন্টে চা পান করতে আসেন আব্বাস নামে এক ব্যক্তি। রেস্টুরেন্ট সবে খোলা হয়েছে ও চা দিতে একটু দেরি হবে বলে ওই ব্যক্তিকে জানান কর্মচারী রুমন। এ নিয়ে তাকে গালিগালাজ আব্বাস। এ সময় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। তাৎক্ষণিক হোটেল মালিকসহ ও অন্যরা বিষয়টি সমাধান করে দেন। পরে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যান আব্বাস নামে ওই ব্যক্তি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি কয়েকজন লোকসহ রেস্টুরেন্টে ঢোকেন এবং কর্মচারী রুমনের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে এক রুমনকে ছুরিকাঘাত করে আব্বাসসহ অন্যরা পালিয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় কর্মচারী রুমনকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

রেস্টুরেন্টের মালিক রিঞ্জন ঘোষ জানান, চা দিতে দেরি হওয়ার আব্বাস তাকে গালিগালাজ করে। পরে সকাল ৯টার দিকে লোকজন নিয়ে হামলা করে। ওই সময় দোকান ভাঙচুর ও টাকা পয়সাও নিয়ে যায় তারা। 

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক সামসুল হাবীব জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। কারা রুমনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বাড়ি থেকে রুমনের ভাইসহ স্বজনরা এসেছেন। রেস্টুরেন্টের মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে চা দেওয়া নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্বাসকে আটক করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ র ক ঘ ত হত য

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার

শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ