কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
Published: 23rd, July 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অচলাবস্থা নিরসন ও দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালুর জন্য উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য দুর্বার বাংলার পাদদেশে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় গত সোমবার এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজকের মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া চলমান সংকট নিরসন ও শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে একজন উপাচার্য নিয়োগ প্রয়োজন। উপাচার্য নিয়োগ ছাড়া এ সংকট কাটানো সম্ভব নয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকহীন। দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক—সবাই মিলে তাঁরা দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
মানববন্ধনে অধ্যাপক আবদুর রফিক, অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমাদ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার, অধ্যাপক মুহাম্মাদ হারুনুর রশীদ, অধ্যাপক এম এম তওহিদ হোসেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহজাহান আলী, অধ্যাপক মো.
শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপাচার্যের অব্যাহতির পর কুয়েটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এখনো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এ ধরনের নাজুক পরিস্থিতিতে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে কারও পক্ষে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী একাডেমিক ক্যালেন্ডারের প্রায় সব কার্যক্রম, বিশেষ করে পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রায় সব বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন। বিশেষ ক্ষেত্রে উপাচার্য একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন সাপেক্ষে অনুমতি দিয়ে থাকেন, যা বর্তমানে অন্য কারও পক্ষে সম্ভব নয়।
শিক্ষকনেতারা বলেন, পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম, থিসিস কমিটি অনুমোদন, ভাইভা বোর্ড আহ্বান, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্তসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই সিএএসআর (উচ্চতর অধ্যয়ন ও গবেষণা পরিষদ) ও একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন দরকার, যা উপাচার্যের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। ফলে এ কার্যক্রমও স্থবির। ২০২৫ সালের প্রথম বর্ষের স্নাতক এবং জুলাই সেশনের পোস্টগ্র্যাজুয়েট ভর্তিপ্রক্রিয়া ও ক্লাস শুরুর জন্যও একাডেমিক কাউন্সিলের সভা প্রয়োজন, যা বর্তমানে সম্ভব হচ্ছে না। কিছু বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ শূন্য হয়ে যাওয়ায় ক্লাস শুরুর আগে এ শূন্যতা পূরণ করা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও উন্নয়ন কার্যক্রমও প্রায় বন্ধ।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরে আন্দোলনের মুখে উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও শিক্ষকদের বিরোধিতার মুখে ২২ মে তিনি পদত্যাগ করেন। ১০ জুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও নিয়োগপ্রক্রিয়া অগ্রসর হয়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপ চ র য ন য় গ
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২১ দফা দাবিতে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং একেএম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিউ নেশন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহবুব মিয়া, দৈনিক পূর্বাভাস পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান তোতাসহ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্য্যকর, সাংবাদিকদের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ন্যায্যা পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন সহ ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা মানববন্ধন করছি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অনতিবিলম্ভে আমাদের এসব দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এম আর কালাম, নাহিদ আজাদ, বাংলাদেশ নিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরিফ সুমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, মানব জমিনের ফতুল্লা প্রতিনিধি আবু সাঈদ পাটুয়ারী রাসেল, মুসলিম টাইমসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, চ্যানেল এস এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন মুল্লা, দৈনিক সংগ্রামের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ইখতিয়ার রাহয়ান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম আরজু, এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সম্রাট প্রমুখ।