বিস্ফোরক স্ট্যাটাসে ক্ষোভ ঝাড়লেন জাকিয়া বারী মম
Published: 23rd, July 2025 GMT
সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্টে নিজের ক্ষোভ, হতাশা ও বেদনার কথা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। তিনি শুধু শোক প্রকাশেই থেমে থাকেননি, বরং রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেছেন ফেসবুক পোস্টে।
ফেসবুক পোস্টে মম লিখেছেন, “যেদিন থেকে এদেশে শিক্ষকের সম্মানের চাইতে লোভী রাজনীতিবিদের সম্মান বেড়েছে, সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল আজকের দিনের পরিণতি। যদিও বহু আগেই ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন - 'যে দেশে গুণীর সম্মান নেই, সে দেশে গুণী জন্মায় না'—কিন্তু এ কথার মর্ম আমরা বুঝি নাই। এখনো বুঝি না।”
দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে পুঁজগলা-দুর্গন্ধযুক্ত নরক দেখার জন্য মৃত্যুর পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত মন-মগজ-শরীর-আত্মা নিয়ে চলতে থাকা প্রতিটা জীবন্মৃত মানুষের দায় বিগত থেকে বর্তমান কোন রাজনীতিবিদ এড়াতে পারবেন না। প্রকৃতিও আপনাদের জন্য চরমতম উপহার বরাদ্দ রেখেছে। দয়া করে একদিন সেটা বুঝে নেবেন। আর মনে রাখবেন, জঘন্যতম গালিটাও আপনাদের দেখে লজ্জা পায়।’’
“ক্ষমতা মানুষকে বানায় দানব। শিল্পী যখন ক্ষমতা পায় তখন কি হয় তা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে দেখে বুঝতে পারেন। জেলেনেস্কি অভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে। কিন্তু তার দেশের বর্তমান অবস্থা লেজে-গোবরে। আর আমাদের দেশের অবস্থা মাথা-গোবরে। মগজে ঘুরে ‘ড্রোন’, আকাশে উড়ে টাকা।’’ লিখেছেন জাকিয়া বারী মম।
জুলাই বিপ্লবে রাজপথের অন্যতম সারথি অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। বিজয়ের পর যাকে অন্তর্বর্তী সরকার যুক্ত করেছে চলচ্চিত্র অনুদান কমিটিতেও। অবশ্য অনুদানের প্রথম চালান প্রকাশের পর তুমুল বিতর্কের ভিড়ে এই অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারছিলেন না বলে অনুদান তালিকা চূড়ান্ত করার আগেই অব্যাহতি নিয়েছেন কমিটি থেকে।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে অঝোরে বৃষ্টি, রাস্তায় পানি, আশঙ্কা পাহাড়ধসের
চট্টগ্রাম নগরে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভোর পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টা নাগাদ বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরছে।
টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলোয় যানবাহনের সংখ্যা বেশ কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম মোড়গুলোয় যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর রিকশাও ছিল কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষজন। এ ছাড়া সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে যেসব অভিভাবক বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদেরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় পর যানবাহন পেলেও অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছোটেন।
আবহাওয়ায় অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা) চট্টগ্রামে ৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। এ কে খান সি–গেট এলাকা, চট্টগ্রাম, ৩১ জুলাই, সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা