ইপিজেড থেকে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৬%
Published: 23rd, July 2025 GMT
২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) আওতাধীন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড ) ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানি বেড়েছে ১৬ শতাংশ, যা দেশের মোট পণ্য রপ্তানির ১৭ শতাংশ।
আজ বুধবার বেপজা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উপস্থাপন করে। গত অর্থবছরে ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে ইপিজেডে উৎপাদিত পণ্য ১২০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থানেও বড় অগ্রগতি হয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৭ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে এই সংখ্যা বেড়েছে ৩৩ হাজার ৪১৭।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত অর্থবছরে বেপজার অধীনস্থ ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো মূলধনি যন্ত্রপাতি, নির্মাণসামগ্রী ও অন্যান্য সম্পদে ২৯ কোটি ২৭ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছিল ৩৫ কোটি ডলার।
এ ছাড়া গত অর্থবছরে ৩৩টি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বেপজা। চুক্তি স্বাক্ষর করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪৯ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। যেখানে ৫৯ হাজার ৪০৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাক, বৈদ্যুতিক পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, প্যাকেজিং, তাঁবু, পরচুলা, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, খেলনা, কম্পোজিটসহ বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরি করবে।
বর্তমানে বেপজার অধীনস্থ অঞ্চলগুলোয় ৫৬৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে ৪৫০টি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। বাকি ১১৩টি প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রক র
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি