২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) আওতাধীন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড ) ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানি বেড়েছে ১৬ শতাংশ, যা দেশের মোট পণ্য রপ্তানির ১৭ শতাংশ।

আজ বুধবার বেপজা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উপস্থাপন করে। গত অর্থবছরে ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে ইপিজেডে উৎপাদিত পণ্য ১২০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থানেও বড় অগ্রগতি হয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৭ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে এই সংখ্যা বেড়েছে ৩৩ হাজার ৪১৭।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত অর্থবছরে বেপজার অধীনস্থ ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো মূলধনি যন্ত্রপাতি, নির্মাণসামগ্রী ও অন্যান্য সম্পদে ২৯ কোটি ২৭ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছিল ৩৫ কোটি ডলার।

এ ছাড়া গত অর্থবছরে ৩৩টি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বেপজা। চুক্তি স্বাক্ষর করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪৯ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। যেখানে ৫৯ হাজার ৪০৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাক, বৈদ্যুতিক পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, প্যাকেজিং, তাঁবু, পরচুলা, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, খেলনা, কম্পোজিটসহ বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরি করবে।

বর্তমানে বেপজার অধীনস্থ অঞ্চলগুলোয় ৫৬৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে ৪৫০টি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। বাকি ১১৩টি প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রক র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা  সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার। 

সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।

এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টানা তিন মাস কমল দেশের পণ্য রপ্তানি
  • বেসরকারি ঋণ তলানিতে, তবে ঋণপত্র খোলায় গতি
  • টানা দুই মাস আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে
  • তিন মাসে গৃহকর আদায় কমেছে ৩০ কোটি টাকা
  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি