একাদশ শ্রেণিতে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি তথ্য
Published: 24th, July 2025 GMT
এসএসসি ২০২৫ সালে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে ১০ জুলাই। এখন শুরু হবে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া। দেশের সব কলেজে সরকারিভাবে লটারির মাধ্যমে ভর্তিপ্রক্রিয়া হবে। তবে অনেক বেসরকারি কলেজে হবে ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তির আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে বিভিন্ন কলেজে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের জিপিএ চাওয়া হয়।
* ময়মনসিংহ নটর ডেম কলেজ—
ময়মনসিংহ নটর ডেম কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা প্রকাশ করেছে। কলেজ কোড ৭৩১৪। ইআইআইএন ১৩৭০৩১।
অনলাইনে ভর্তির যোগ্যতা—
১.
২. মানবিক শাখা- জিপিএ ৩.৫০,
৩. ব্যবসায় শিক্ষা শাখা- জিপিএ ৩.০০,
৪. বিজ্ঞান শাখা থেকে মানবিক অথবা ব্যবসায় শিক্ষা শাখা- জিপিএ ৪.০০।
আরও পড়ুনবিল গেটস বৃত্তি, সুযোগ তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর২৩ জুলাই ২০২৫ভর্তি বিষয়ে যোগাযোগ: নটর ডেম কলেজ ময়মনসিংহ, বাড়েরা, ঢাকা বাইপাস মোড়, ময়মনসিংহ। ফোন-০১৮০৫০০৩১৭৭। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট
* সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ—
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা প্রকাশ করেছে। কলেজ কোড ১০৬২। ইআইআইএন ১০৭৯১৫।
অনলাইনে ভর্তির যোগ্যতা:—
১. বিজ্ঞান শাখা- জিপিএ ৪.৮৩,
২. মানবিক শাখা- জিপিএ ৪.০০,
৩. ব্যবসায় শিক্ষা শাখা- জিপিএ ৩.৫০
ভর্তির আসন সংখ্যা—
১. বিজ্ঞান শাখা- ৭৭৫টি
২. মানবিক শাখা- ১৬০টি
৩. ব্যবসায় শিক্ষা শাখা- ৩০০টি।
ভর্তি বিষয়ে যোগাযোগ: সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাতুয়াইল, ডেমরা, ঢাকা। ফোন-০১৮১৫৫৮৮৬৩০। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট
আরও পড়ুনকলেজে একাদশ শ্রেণিতে বিভাগ-বিষয় নির্বাচনে মনে রেখ ১০টি সতর্কতা২১ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুননটর ডেম–হলি ক্রস–সেন্ট যোসেফ ও সেন্ট গ্রেগরী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নিয়ম ০৮ জুলাই ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় শ ক ষ ম নব ক শ খ
এছাড়াও পড়ুন:
বেপরোয়া গতির যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন
ময়মনসিংহের সড়ক-মহাসড়কে সাড়ে তিন বছরে ৭৭২ জনের মৃত্যু—এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান কেবল সংখ্যা নয়, বরং প্রতিদিনের রূঢ় বাস্তবতা। প্রতিটি প্রাণহানি একটি পরিবারকে শোকে নিমজ্জিত করেছে, অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়েছে। একই সময়ে গুরুতর আহত ও অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতি আমাদের সড়কব্যবস্থার নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ দুরবস্থা তুলে ধরে।
বিআরটিএর তথ্য বলছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট আঞ্চলিক সড়ক দুর্ঘটনার ‘হটস্পট’। বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং, আঁকাবাঁকা সড়ক এবং থ্রি-হুইলারের অবাধ চলাচল—সব মিলিয়ে এই সড়কগুলোকে মৃত্যুকূপে পরিণত করেছে। চার লেনের মহাসড়ক হলেও উল্টো পথে গাড়ি চলা, গতিসীমা অমান্য করা এবং হাইওয়েতে ধীরগতির থ্রি-হুইলার চলাচল পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে সতর্কবার্তা ও গতিসীমা নির্ধারণ করেছে, কিন্তু চালকদের অনিয়ম ও বেপরোয়া গতির কারণে তা কোনো কাজে আসছে না। অনেক চালক মনে করেন, ভালো রাস্তা মানেই বেশি গতি। এই মানসিকতা ভাঙতে কঠোর নজরদারি ও শাস্তির বিকল্প নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই মৃত্যুর মিছিল থামাতে প্রশাসনের ভূমিকা কোথায়? সড়কে নিয়ম ভাঙা, বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং রোধে কেন কঠোর নজরদারি ও শাস্তি নেই? জাতীয় মহাসড়কে থ্রি–হুইলার নিষিদ্ধ থাকলেও বিকল্প পরিবহন না থাকায় এবং দুর্বল নজরদারির কারণে সেগুলো নির্বিঘ্নে চলছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে সক্রিয় হলেও প্রতিরোধমূলক উদ্যোগের ঘাটতি প্রকট। শুধু দুর্ঘটনার পর উদ্ধার নয়, দুর্ঘটনা প্রতিরোধই হতে হবে মূল লক্ষ্য। এ জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে হাইওয়ে পুলিশের উপস্থিতি ও নজরদারি বাড়ানো এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিড ক্যামেরা বসানো জরুরি।
এখানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উপেক্ষিত হচ্ছে—জনসচেতনতা ও চালকের প্রশিক্ষণ। অধিকাংশ দুর্ঘটনা চালকদের অসতর্কতা, অভ্যাসগত আইন ভাঙা এবং প্রতিযোগিতামূলক গতির কারণে ঘটছে। যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে, যাতে তাঁরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে চালকদের বাধ্য না করেন। পাশাপাশি থ্রি-হুইলারের বিকল্প হিসেবে নির্ভরযোগ্য লোকাল পরিবহনব্যবস্থা চালু না করলে এসব দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনাগুলোকে নিছক দুর্ঘটনা বলা যায় না; এগুলো একধরনের ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’। দায়িত্বশীলদের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে আর কোনো প্রাণ যেন সড়কে না ঝরে—এখনই সেই দাবি তুলতে হবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে হবে। ময়মনসিংহের সড়কগুলোতে বেপরোয়া গতির যানবাহনের বিরুদ্ধে পুলিশকে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।