পাকিস্তানের বিপক্ষেও বাংলাদেশের চক্রপূরণ, বাকি থাকল কারা
Published: 24th, July 2025 GMT
২০১৫ সালে ওয়ানডে সিরিজ, ২০২৪ সালে টেস্ট সিরিজ, ২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টি সিরিজ—পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন সংস্করণেই সিরিজ জয়ের চক্র পূরণ করে ফেলল বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ খুব বেশি দলের বিপক্ষে তিন সংস্করণে একাধিক ম্যাচের সিরিজ জিততে পারেনি। পাকিস্তানের আগে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ছিল এ অর্জন।
বাংলাদেশ প্রথম এই চক্র পূরণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৮ সালে। ২০০৯ সালেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জেতা বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে ওই বছর।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন সিরিজে জয় আসে ২০২০ সালে। ২০০৫ সালে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েই প্রথম টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম একাধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে ২০২০ সালে।
আরও পড়ুনহেডিংলি ১৯৮১: বোথাম, উইলিস এবং ৫০০-১ বাজি জেতার অলৌকিকতা ২১ জুলাই ২০২৫বাংলাদেশ আরও চারটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে দুই সংস্করণে সিরিজ জিতেছে। শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শুধু টেস্ট সিরিজই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য এখনো একাধিক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ এক সংস্করণে সিরিজ জিতেছে ভারত (ওয়ানডে), অস্ট্রেলিয়া (টি-টোয়েন্টি), ইংল্যান্ড (টি-টোয়েন্টি) ও দক্ষিণ আফ্রিকার (ওয়ানডে) বিপক্ষে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশের কোন ১০ খেলোয়াড়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুসারী সবচেয়ে বেশি১৫ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিওডিলের স্টলে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের উপচে পড়া ভিড়
দেশে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের স্পন্সর বাংলাদেশের ১ নম্বর ডার্মা কসমেটিকস ডক্টর রিকমেন্ডেড ব্র্যান্ড সিওডিল। প্রায় ৩ শতাধিক দেশী ও বিদেশী ডার্মাটোলজিস্ট সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এডিএসবি) উদ্যোগে সম্মেলনের প্রথম দিনে ছিলো সায়েন্টিফিক সেশনের পাশাপাশি সেমিনার। আয়োজনের মূল স্পন্সর হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে সিওডিলের প্রচলিত পণ্য এবং উদ্ভাবনী গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে সিওডিলের।
ত্বকের যত্নে সিওডিলের নতুন উদ্ভাবনী পণ্য ও কার্যক্রম নিয়ে ডাক্তারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো সিওডিলের স্টল। ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং ভারতের ডার্মাটোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ভিজিট করে সিওডিলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডার্মাটোলজিস্ট ডা. শারমিনা হক বলেন, অ্যাকনি, এজিং, ড্রাইনেস, স্ক্যাল্পের সমস্যাসহ ত্বকের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলপ্রসূ কর্মসূচির মাধ্যমে নিজের ত্বক সম্পর্কে সচেতন হতে সিওডিল তার ভোক্তাদের উৎসাহিত করছে। আশা করছি সিওডিল বাংরাদেশের অন্যতম একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে দেশের সুনাম বয়ে আনবে।
সিওডিলের হেড অব বিজনেস সুকান্ত দাস জানান, এবারের অ্যাস্থেটিক ২০২৫-এ উদ্ভাবনী পণ্যের তালিকায় অন্যতম আকর্ষণ সিওডিল। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা রেকমেন্ডেড এই ব্র্যান্ডটি সর্বস্তরের ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সিওডিলের এই সুদৃঢ় অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী আরও ছড়িয়ে দিতেই সিওডিল চলতি বছরেই দুবাই ডার্মা ও কসমো প্রফ ২০২৫ এ অংশগ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। আজকেও বাংলাদেশের এই আয়োজনে যেসব ডাক্তাররা আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিয়েছেন তারা সিওডিলের পণ্যের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে আমেরিকাসহ শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দুবাই ও ভারতে সিওডিলের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আশা করছি খুব শিগগিরেই আমরা মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানে আমাদের পণ্যের নতুন বাজার তৈরী করতে পারবো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকসের অথেন্টিক রিটেল শপ হারল্যান স্টোরসহ সব সেলস চ্যানেলে সিওডিল পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। সিওডিল এখন স্কিন কেয়ার খাতে শীর্ষ বিক্রীত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। অন্য দেশে তৈরি পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশি তৈরি পণ্য শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করেছে। দামেও সাশ্রয়ী। অন্য দেশের পণ্য আমদানি হয়ে আসতে আসতে মেয়াদ চলে যায়। তাই গুণগতমান নিশ্চিত এবং দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে সিডিলের কদর বাড়ছে।
রাহাত//