পটুয়াখালীতে আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঢুকে নারীকে মারধর
Published: 24th, July 2025 GMT
পটুয়াখালী শহরে আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঢুকে এক নারীকে মারধর করেছেন এক যুবক। গতকাল বুধবার বিকেলে শহরের পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয় এলাকার মহাসড়ক–সংলগ্ন একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে পুলিশ হোটেলের ব্যবস্থাপকসহ তিন নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে যৌন ব্যবসার অভিযোগ আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কালো রঙের টি-শার্ট পরা এক যুবক এক নারীকে ধাক্কা দিচ্ছেন ও মারধর করছেন। এ সময় ভুক্তভোগী নারী ওই যুবকের হাতে-পায়ে ধরে আকুতি জানাচ্ছেন।
ওই ভিডিওতে আরও দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সদস্যকে। তাঁরা হোটেলটির বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করছিলেন। এ সময় তাঁরা ওই হোটেলে যৌন ব্যবসা চলে বলে অভিযোগ করেন।
গতকাল বিকেলে ওই হোটেলে নারীকে মারধরের সময় উপস্থিত ছিলেন গণ–অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রপ্রতিনিধি সজিবুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চলে; এ কারণে স্থানীয় লোকজন বিরক্ত। গতকাল বিকেলে তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাঁরা ওই হোটেলে যান। কয়েকটি কক্ষে কয়েকজন নারীকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ মীরা (৪০) নামের একজন হঠাৎ কক্ষে ঢুকে এক নারীকে মারধর শুরু করেন।
তরুণীকে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে মাসুদ মীরা বলেন, লোকজনের ভিড় দেখে তিনি ঘটনাস্থলে যান। তবে নারীকে মারধর করা ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পটুয়াখালীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার অভিযোগে কয়েকজন নারীকে আটক করে ছাত্র–জনতা তাঁদের খবর দেয়। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে মব সৃষ্টি ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে থানা-পুলিশকে জানাই। পরে থানা-পুলিশের সদস্যদের নিয়ে হোটেলের ব্যবস্থাপক ও তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’ মারধরের বিষয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগে ওই ঘটনা ঘটতে পারে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, ‘জেলা শহরের একটি হোটেল থেকে সদর থানা–পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা তিন নারীসহ এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ ম রধর গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি
জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।
‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।