গণ–অভ্যুত্থানের নারীরা নীরবে হারিয়ে যাচ্ছে: এবি পার্টি
Published: 24th, July 2025 GMT
গণ–অভ্যুত্থানের নারীরা নীরবে হারিয়ে যাচ্ছে: এবি পার্টি
সেকশন: রাজনীতি
ট্যাগ: মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই অভ্যুত্থান, গণ–অভ্যুত্থান, আলোচনা সভা, এবি পার্টি
মেটা ও এক্সসার্প্ট: জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীদের সম্মাননা দিতে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবি পার্টির নারী বিভাগ।
শিরোনাম: গণ–অভ্যুত্থানের নারীরা নীরবে হারিয়ে যাচ্ছে: এবি পার্টি
ছবি: ন্যাশনালে AB Party 1 ও AB Party 2
ক্যাপশন: জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের সম্মাননা প্রদান ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নারীদের সঙ্গে অতিথিরা। আজ সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। ছবি: প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যেভাবে নারী যোদ্ধারা উপেক্ষিত হয়েছিলেন, সেভাবেই আজ গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরাও হারিয়ে যেতে বসেছেন। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর অনেকেই অভ্যুত্থানের ক্রেডিট ও সরকারি সুবিধা নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এই আন্দোলনের অগ্নিকন্যারা সবার মাঝ থেকে নীরবে হারিয়ে যাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলটির নেতারা এ কথাগুলো বলেন। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীদের সম্মাননা দিতে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবি পার্টির নারী বিভাগ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এবি পার্টির উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘এত হত্যা, গুম ও খুনের পর তথাকথিত বন্ধুরাষ্ট্র হাসিনা ও তার দোসরদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়েছে। শুধু আশ্রয় দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, এখন তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের জন্য সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেই ফ্যাসিবাদীদের পতনে দেশের নারীরা জীবন দিল, প্রতিরোধ গড়ে তুলল, চিকিৎসা দিল; কিন্তু এখন আমার সেই নারী বোনদের আর চোখে পড়ে না।’
দিলারা চৌধুরী আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধেও আমরা একই চিত্র দেখেছি, কিছু মানুষ যুদ্ধ না করেও সার্টিফিকেট নিয়েছে, সুযোগ–সুবিধা নিয়েছে। এখন এই গণ–অভ্যুত্থানের পরও অনেক মানুষ ক্রেডিট নিতে ব্যস্ত, সরকারি নানা সুবিধা আদায়ে সচেষ্ট। কিন্তু আন্দোলনের সেই অগ্নিকন্যারা আমাদের মাঝ থেকে নীরবে সরে যাচ্ছে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নারীদের মতো হারিয়ে যেতে বসেছে। এটা আমরা হতে দিতে পারি না।’
গণ–অভ্যুত্থানে নারীদের উজ্জ্বল ভূমিকার কথা উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ পতনের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা, আমাদের মায়েরা, বোনেরা কারফিউ ভঙ্গ করে মিছিল করেছে। আমি দীর্ঘ সময় ধরে শহীদদের পরিবারের অনুভূতি শুনছিলাম, ডাক্তার বোনদের বক্তব্য শুনছিলাম। এগুলো আমাদের শুনতে হবে, বুঝতে হবে, কীভাবে একটি স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছিল, দেশের মানুষ মুক্তির নেশায় কতটা ত্যাগ করেছিল।’
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের সম্মাননা প্রদান ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নারীদের সঙ্গে অতিথিরা। আজ সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন