হতাশা নিয়েই ট্র্যাকে ফিরছেন ইমরানুর
Published: 26th, July 2025 GMT
চোটের পুনর্বাসনে থাকায় গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় জাতীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারেননি। মোহাম্মদ ইসমাইলের কাছে হারাতে হয়েছে দেশের দ্রুততম মানবের খেতাব। অথচ ২০২২ সালে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় প্রথমবার নাম লিখিয়েই খেতাবটা নিজের করে নিয়েছিলেন লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাথলেট ইমরানুর রহমান।
এক মৌসুম পর আবারও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে দৌড়াতে দেশে আসছেন ইমরানুর, এবার তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন নৌবাহিনীর হয়ে। গত এপ্রিলে ঢাকায় এসে সেনাবাহিনী থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সেরে গেছেন ইমরানুর। আগামী ২২-২৩ আগস্ট ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে অংশ নিতে ইমরানুরের ঢাকায় আসার কথা ১৬ আগস্ট। লক্ষ্য—দ্রুততম মানবের খেতাব ফিরে পাওয়া।
তবে ট্র্যাকে ফেরার আগে ইমরানুরের মনে হতাশা। চোটের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন থেকে আর্থিক সহায়তা চেয়েও পাননি তিনি। মুঠোফোনে ইমরানুর বলেছেন, ‘চিকিৎসার জন্য একাধিকবার ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা বলেছিল দেখবে, কিন্তু কিছুই করেনি। তবে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজা ভাইসহ কয়েকজন সিনিয়র পাশে ছিলেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ গত অক্টোবরে লন্ডনে অস্ত্রোপচার হয় ইমরানুরের। চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও থেরাপিতে খরচ হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন র র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসীসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১৭ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের (প্রথম) ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতে রায় ঘোষণার সময় ৩১ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। মামুনুর রশীদ নামের এক আসামি পলাতক। তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলার সাইফুল আলম, নজরুল আলম, সদরুল আলম, সিরাজ উদ্দিন, জামাল মিয়া, শাহিন উদ্দিন, আবদুল জলিল ও আনোয়ার হোসাইন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইলিয়াছ আলী, আবদুন নুর, জয়নাল আবেদীন, আশিক উদ্দিন, আশকির আলী, অলিদ মিয়া ওরফে ফরিদ মিয়া ও আকবর মিয়া। তাঁদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে লুৎফুর রহমান, ময়ূর মিয়া, মামুনুর রশিদ, কাউসার রশিদ, দিলাফর আলী, পারভেজ মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, আজাদ মিয়া, মুক্তার আলী, আবদুর রকিব, আঙ্গুর আলী, জাবেদ ইসলাম, শফিক উদ্দিন, মখলিস মিয়া, ফিরোজ আলী ও ফখর উদ্দিনকে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে যান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলমসহ তাঁর লোকজন। এতে বাধা দেন নজির উদ্দিন, তাঁর চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা সুমেল মিয়া। এ সময় বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলমের বন্দুক দিয়ে গুলি করলে শাহজালাল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সুমেল মিয়া নিহত হয়। এ ঘটনায় সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন আহত হন।
ওই ঘটনায় নিহত সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।