এবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ
Published: 26th, July 2025 GMT
একের পর এক নতুন দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজার পরিধি বিস্তৃত করছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার ওয়ালটন পণ্যের বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ করা হয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামে পরিচিত।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পরিবেশক হিসেবে সম্প্রতি বার্বাডোজের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ‘বারগেইন ওয়্যারহাউজ’-এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চুক্তিতে ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো.
ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১৬টি দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পরিবেশক হিসেবে যুক্ত হয়েছে বারগেইন ওয়্যারহাউজ। প্রাথমিক ধাপে বার্বাডোজে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের স্প্লিট ও কমার্শিয়াল এসির প্রথম শিপমেন্ট পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য দ্বীপগুলোতেও ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য পাঠানো হবে।
আরো পড়ুন:
বিমান বিধ্বস্ত: দেশজুড়ে ওয়ালটন প্লাজায় মিলাদ ও দোয়া
ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন মহড়া
তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান এবং ইলেকট্রনিক্স খাতের বাৎসরিক বাজারের দিক থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর ও মধ্য আমেরিকার মাঝে এ অঞ্চলটির অবস্থান। এই অঞ্চলে ব্র্যান্ড বিজনেস চালুর মধ্যে দিয়ে একদিকে ওয়ালটন পণ্যের সম্ভাবনাময় এক বড় বাজার তৈরি হলো, অন্যদিকে উত্তর ও মধ্য আমেরিকাতেও ওয়ালটনের বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের পথ আরো সুগোম হবে। তাই, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার অগ্রযাত্রায় ওয়ালটন আরেকটি বিশাল মাইলফলক অর্জন করল।
এদিকে, উন্নত বিশ্বের নতুন নতুন দেশে ওয়ালটন এসির বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই সাফল্যের প্রসঙ্গে ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান জানিয়েছেন, উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, টেকসই, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে আছে ওয়ালটনের স্প্লিট, ভিআরএফ এবং চিলার টাইপ কর্মাশিয়াল এসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশগুলোতে ওয়ালটন এসির বৈশ্বিক বাজার প্রতিনিয়ত সম্প্রসারণ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বার্বাডোজের মধ্যে দিয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটন এসির বাজার সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গ্লোবাল বিজনেস পার্টনার বা পরিবেশকের মাধ্যমে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপ অঞ্চলের ৫০টিরও দেশে ওয়ালটন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/সাহেল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য র ব য় ন দ ব পপ ঞ জ ব র য ন ড ব জন স
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি