খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের অঙ্গসংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদস্য খুকু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা পক্ষকে দায়ী করেছেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিকো ত্রিপুরা।

আজ রোববার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শ্যামল চাকমা।

গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ বেলা তিনটার দিকে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য খুকু চাকমা পানছড়ি উপজেলার ২ নম্বর চেঙ্গী ইউনিয়নের উগুদোছড়ি গ্রামে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় পিকলু চাকমার নেতৃত্বে জেএসএস–সন্তু লারমা পক্ষের ২০ জনের একটি সশস্ত্র দল তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে সন্ত্রাসীরা তাঁকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে চলে যায়।’

নিহত খুকু চাকমা খাগড়াছড়ির কমলছড়ি ইউনিয়নের বেতছড়ি খ্রিষ্টান পাড়ার মৃত ভাধ্যধন চাকমার ছেলে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘একজনের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওই এলাকায় যোগাযোগের চেষ্টা করছি। দুর্গম এলাকা এবং নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। তবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় গোলাগুলি হয়েছিল।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক য ব ফ র ম র

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান

রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে চালানো এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অভিযান এখনো চলছে। 

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বহু ধারার উল্লেখ ছিল—এর কিছু বাস্তবায়ন করা হয়, আর বাকিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের অভিযোগ, চুক্তির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

এই চুক্তির বিরোধিতা করেই ১৯৯৮ সালের জুনে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটি মূলত চুক্তিবিরোধী অবস্থান নিয়ে পাহাড়ি তরুণদের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে।

এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। দুই সংগঠনের সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে বহু কর্মী নিহত হন, আর সশস্ত্র সহিংসতায় পাহাড়জুড়ে বিরাজ করে আতঙ্ক।

২০১০ সালে জেএসএসের মূল ধারা (সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) থেকে একটি অংশ বেরিয়ে এসে জেএসএস (এম এন লারমা) নামে নতুন একটি সংগঠন গঠন করে।

পরে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের পর প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন মূল সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে আরেকটি অংশ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আত্মপ্রকাশ করে। 

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান
  • খাগড়াছড়িতে গোলাগুলি, ১ জন নিহত
  • খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের গোলাগুলি