ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইসলামিক ব্যাংকিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ চালু করেছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। 

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা একটি ডেডিকেটেড ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো চালু করার কৌশলগত প্রুযুক্তির অংশ হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক ‘ইসলামিক ব্যাংকিং এবং শরিআহ্সম্মত অর্থায়ন’ শীর্ষক একটি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করেছে।

সম্প্রতি উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি (অ্যাডমিন)  কাজী মো.

ফজলুল করিম। 

কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব কিমিয়া সাআদত। অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নীতিগত আর্থিক পরিষেবার প্রতি ব্যাংকের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। 

তিনি বলেন, “কমিউনিটি ব্যাংকের এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশে প্রকৃত শরিআহ্সম্মত ব্যাংকিং সমাধান দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডিরেক্টর আফতাব উদ্দিন ১০ দিনের প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রথম অধিবেশনে নের্তৃত্ব দেন এবং শরিআহ্ নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় উদ্যোগের জন্য কমিউনিটি ব্যাংকের প্রশংসা করেন।

এই উদ্যোগটি কমিউনিটি ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা তৈরিতে সহযোগিতা করবে; পাশাপাশি শরিআহ্ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং নীতির পরিচালনায় কার্যকরী ভূমিকা নিশ্চিত করবে।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম ক ব য

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ