সংবাদপত্রে কার্টুনিস্ট হিসেবে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় নানা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। একবার এক অনুষ্ঠানে আমার এক বন্ধু আমাকে ‘সাংবাদিক’ বলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। পাশ থেকে একজন বলে উঠলেন, ‘আরে, আমি তো ওনাকে চিনি, উনি তো সাংবাদিক নন, কার্টুনিস্ট।’
আমি দুটি পরিচয়েই গর্বিত বোধ করি। কার্টুনের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আছে বলেই তো আমি কার্টুনিস্ট। আর সাংবাদিকতা তো বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের সমাজে এটা একটা সম্মানজনক পরিচয়।
তবে কার্টুন আর সাংবাদিকতা কি দুটো আলাদা পেশা? একজন কার্টুনিস্টকে কি সাংবাদিক বলা যায়? আমাদের সমাজের উচ্চশিক্ষিত মানুষের মধ্যেও এ প্রশ্ন রয়ে গেছে।
অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা, কার্টুন কোনো সাংবাদিকতা নয়। মজার ব্যাপার হলো, এ ধারণা শুধু সাধারণ মানুষের নয়, আমাদের সংবাদপত্রেরও অনেকেরই।
আরও পড়ুন‘নতুন বাংলাদেশে’ সাংবাদিকতা কতটা মুক্ত০৩ মে ২০২৫অথচ কার্টুন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি সাংবাদিকতা। তবে অবশ্যই সব কার্টুন সাংবাদিকতা নয়। কার্টুনের অনেক শাখা রয়েছে। যেমন কমিক স্টিপস, গ্রাফিক নোবেল, ক্যারিকেচার, গ্যাগ কার্টুনসহ বিভিন্ন ধরনের কার্টুন রয়েছে।
এসব কার্টুন কি সাংবাদিকতার অংশ? একদমই নয়। তাহলে আধুনিক সংবাদপত্রে কার্টুনের কোন শাখাটি একটি শক্তিশালী সাংবাদিকতা হিসেবে স্বীকৃত?
আমেরিকার প্রেস ইনস্টিটিউট বলছে, সাংবাদিকতার প্রধান চারটি লক্ষ্য হলো—
এক.
দুই. ক্ষমতার জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
তিন. গণতান্ত্রিক বিতর্ক সৃষ্টি করা।
চার. জনস্বার্থে কাজ করা।
সাংবাদিকতার প্রধান এই চার লক্ষ্যই থাকে রাজনৈতিক বা সম্পাদকীয় কার্টুনে। এ জন্যই কার্টুনের এই দুটি শাখাই সাংবাদিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত।
একজন কার্টুনিস্ট একই সঙ্গে রিপোর্টার, বিশ্লেষক ও সমালোচকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি এঁকে বাস্তবতাকে তুলে ধরেন।উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাইফুল ইসলাম ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচিত
দেশের পুঁজিবাজারে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের পরিচালক।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ডিবিএ’র সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে ৭৫ শতাংশ শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন
ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে মোট ১৫ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন একজন প্রেসিডেন্ট, একজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১২ জন পরিচালক।
নির্বাচিতরা আগামী ২ বছর (২০২৬ ও ২০২৭) ডিবিএ‘র নেতৃত্ব দেবেন। নির্বাচিত সদস্যরা ডিবিএ’র আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে মো. মনিরুজ্জামান, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মো. নাফিজ-আল-তারিক ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এছাড়া পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন–এবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাফিউজ্জামান বোখারী, এস সি এল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইফতেখার জোনায়েদ, আর এন ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাদিম, আজম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কবির মজুমদার, নিউ এরা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরওয়াই শমসের, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও আমিনুল ইসলাম, জি এম এফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ নাহিদ আহমেদ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম মো. কাইয়ুম, ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, এক্সপো ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ওসমান গনি চৌধুরী, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার শফিকুর রহিম ও এসএআর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী