৮–০ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল অস্ট্রেলিয়া, তবু রেকর্ড হলো না
Published: 29th, July 2025 GMT
টি-টোয়েন্টি সিরিজে শেষ ম্যাচেও হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেন্ট কিটসে আজ সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া ছুঁয়ে ফেলেছে ৩ উইকেটে ১৮ বল হাতে রেখে। টি-টোয়েন্টিতে এটা তো হেসেখেলে জয়ই। সফরে এর আগে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে সবগুলো জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
অর্থাৎ, এই সফরে টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি সিরিজ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে ৮-০ ব্যবধানে।
কোনো সফরে হারের মুখ না দেখে সবচেয়ে বেশি জয় পাওয়ার তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটি আছে তালিকায় দুইয়ে। কোনো ম্যাচ না হেরে এক সফরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড ভারতের। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে তারা সব সংস্করণ মিলিয়ে স্বাগতিকদের হারিয়েছিল সব মিলিয়ে ৯-০ তে।
একই মাঠে আগের দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগে ব্যাট করে ২১৪ ও ২০৫ তুলেও জিততে পারেনি। আজ শেষ ম্যাচে দলটি তুলেছে মাত্র ১৭০ রান। টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। ফিফটি পেয়েছেন শিমরন হেটমায়ার।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান খেলেছিলেন ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংস। এ ছাড়া শেরফান রাদারফোর্ড করেছেন ১৭ বলে ৩৫। শেষদিকের কোনো ব্যাটসম্যানই বড় শট খেলতে পারেননি। ইনিংসে শেষ তিন ওভারে রান উঠেছে মাত্র ১৫। বাঁহাতি পেসার বেন ডোয়ারসুইস উইকেট নিয়েছেন ৩টি।
এই রান তাড়া করতে নেমে ২৫ রানেই ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। উইকেট হারানোর কারণে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি থামেনি। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে টিম ডেভিড যখন আউট হন তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ৪.
ডেভিড যাওয়ার পর ঝড় তোলেন মিচেল ওয়েন। ১৭ বলে তিনি করেছেন ৩৭ রান। এরপর অ্যারন হার্ডির ২৫ বলে ২৮ রানের ওয়ানডে ইনিংসে সহজে জয় পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচসেরা হয়েছেন ডোয়ারসুইস। সিরিজসেরা ক্যামেরন গ্রিন। ৫ ম্যাচে তিনি ফিফটি করেছেন ৩টি, রান করেছেন ২০৫।
সংক্ষিপ্ত স্কোরওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৭০( হেটমায়ার ৫২, রাদারফোর্ড ৩৫; ডোয়ারসুইস ৩/৪১, এলিস ২/৩২)
অস্ট্রেলিয়া: ১৮ ওভারে ১৭৩/৭( ওয়েন ৩৭, ডেভিড ৩০; আকিল ৩/১৭, জোসেফ ২/২১)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: বেন ডোয়ারসুইস
সিরিজসেরা: ক্যামেরন গ্রিন
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঢাকা/ইভা