ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি, আসন ৪৫০০, নম্বর বণ্টন, পরীক্ষার পদ্ধতিসহ দেখুন বিস্তারিত
Published: 4th, August 2025 GMT
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে গতকাল রোববার থেকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া। শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ১০ আগস্ট পর্যন্ত। আবেদন ফি ৮০০ টাকা।
এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদন করতে হবে ওয়েবসাইটে। প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধিভুক্ত সাত কলেজের মোট আসন আছে সাড়ে চার হাজার। ঢাকা কলেজে ৬৮১, ইডেন মহিলা কলেজে ৭৮৫, সরকারি তিতুমীর কলেজ ৭৬৫, সরকারি বাঙলা কলেজে ৬৭৪, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৫৯৩, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ৪৬৫ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজে ৫২৯টি।
আরও পড়ুনফিনল্যান্ড কীভাবে গড়েছে বিশ্বসেরা শিক্ষাব্যবস্থা, সাফল্যের ৬ কারণ০৩ আগস্ট ২০২৫ভর্তি পরীক্ষা, নম্বর বণ্টন ও ভর্তি–ইচ্ছুকদের করণীয়
বাংলা-২৫, ইংরেজি-২৫, সাধারণ জ্ঞান-৫০: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে গঠিত সমাজবিজ্ঞান, পৌরনীতি ও সুশাসন, অর্থনীতি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস, যুক্তিবিদ্যা, ভূগোল ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন থাকবে।
মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান—এই তিন বিষয়ে ১০০টি প্রশ্ন থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ২০২৪ সালের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূটি অনুযায়ী হবে উল্লিখিত তিন বিষয়ের নম্বর। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে পাস নম্বর ৪০। যাঁরা ৪০-এর কম পাবেন, তাঁদের ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য ০.
* পরীক্ষার উত্তরপত্র (একটি OMR শিট) বিশ্ববিদ্যালয় সরবরাহ করবে। অতিরিক্ত কোনো শিট দেওয়া হবে না। সরবরাহকৃত উত্তরপত্রের (OMRSheet-এ) প্রশ্নের উত্তর বৃত্ত পূরণ করে চিহ্নিত করতে হবে।
* প্রার্থী কোনো অবস্থাতেই মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, বই ও কাগজপত্র (প্রবেশপত্র ছাড়া), যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস–সংবলিত ঘড়ি ও কলম, ভিসা/মাস্টারকার্ড/ এটিএম কার্ড ইত্যাদি নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুনসাত কলেজের পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর: সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এবং জগন্নাথ বাস্তবতা০১ আগস্ট ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা
১. মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষা ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এবং ২০২৩ অথবা ২০২৪ সনের উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাঁরা ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (প্রস্তাবিত) বিভিন্ন ইউনিটে বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোতে (সনাতন) ভর্তির জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করেছেন, শুধু তাঁরাই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২. যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অধিভুক্ত সাত কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন, তাঁদের ‘নতুন করে আবেদন’ করার প্রয়োজন নেই। তাঁদের আগের আবেদনই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন হিসেবে বিবেচিত হবে।
৩. তবে যাঁরা আবেদন প্রত্যাহার করবেন, তাঁদের জমা করা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার আরটিপি বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফ, উপবৃত্তি-ভ্রমণ ভাতাসহ নানা সুযোগ ০২ আগস্ট ২০২৫ভর্তি পরীক্ষা কবে
* কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ২২ আগস্ট (শুক্রবার), বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
* বিজ্ঞান ইউনিটের ২৩ আগস্ট (শনিবার), বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
* ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ২৩ আগস্ট (শনিবার), বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
(১৭ আগস্ট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু। ২০ আগস্ট থেকে আসনবিন্যাস প্রকাশ করা হবে।)
* বিস্তারিত তথ্য দেখুন এখানে
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয়রা কেন ঝুঁকছেন বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর–উজবেকিস্তান–রাশিয়ার দিকে০২ আগস্ট ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন ট র ল ইউন ভ র স ট পর ক ষ ইউন ট আগস ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
যশোরের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুতের (রস সংগ্রহের উপযোগী করা) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে চৌগাছা উপজেলার হায়াতপুর গ্রামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনুর আক্তার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, রস-গুড় সংগ্রহের জন্য গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হবে। এ বছর জেলায় অন্তত তিন লাখের বেশি গাছ প্রস্তুত করা হবে। যশোরে খেজুরের রস ও গুড়ের ১০০ কোটির বেশি টাকার বাজার রয়েছে। অন্তত ছয় হাজার কৃষক এই পেশায় যুক্ত।
যশোরের খেজুর গুড় জিআই পণ্য হলো যেভাবে
২০২২ সালে চৌগাছার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) ইরুফা সুলতানা খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য সংরক্ষণে খেজুর গুড়ের মেলা, গাছিদের প্রশিক্ষণ, গাছি সমাবেশ, গাছিদের সমবায় সমিতি গঠন, খেজুরগাছ রোপণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। একই বছর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যশোরের খেজুর গুড়ের আবেদন করেন তিনি। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সেটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়।
শতকোটি টাকার বাজার ধরতে ব্যস্ত গাছিরা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোরের প্রায় ছয় হাজার গাছি খেজুরগাছের রস থেকে পাটালি গুড় উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে খেজুরগাছ প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। খেজুরগাছ সংরক্ষণ, রোপণ, গাছিদের প্রশিক্ষণ, প্রণোদনাসহ নানাভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে গুড় উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যশোর জেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫টি। এর মধ্যে রস আহরণের উপযোগী গাছের সংখ্যা ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি। গাছ থেকে ৩ কোটি ৭১ লাখ ৩ হাজার লিটার রস ও ২ হাজার ৭৪২ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারদর অনুযায়ী প্রতি লিটার রসের দাম ৩৫ টাকা ও গুড়ের কেজি ৩৪০ টাকা। সেই হিসাবে রস ও গুড়ের বাজার দর ৯৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রামের গাছি আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমার দাদা খেজুরগাছের রস থেকে পাটালি গুড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দাদার সঙ্গে বাবাও যুক্ত ছিলেন। বাবার পেশায় আমিও যুক্ত হয়েছি। বাবা আর আমি এবার ৩০০টি খেজুরগাছ থেকে রস-গুড় তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। গতবছর ভালো দাম পেয়েছি। এবারও ভালো দাম পাব বলে আশা করি।’
গাছিরা জানান, কার্তিক মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই খেজুরগাছ ছেঁটে রস ও গুড় তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেন তাঁরা। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম আয়ের উৎস এটি। এখানকার কারিগরদের দানা পাটালি তৈরির সুনাম রয়েছে। পাটালি ও ঝোলা গুড় তৈরি ছাড়াও চাষিরা শীতের ভোরে ফেরি করে কাঁচা রস বিক্রি করেন। কাঁচা রস প্রতি মাটির ভাঁড় ১৫০-২০০ টাকা, দানা গুড় ৩৫০-৪০০ টাকা আর পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কেনারহাটের উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর আমাদের কাছে ভোক্তার চাহিদা ছিল সাড়ে ছয় হাজার কেজি পাটালি গুড়। সরবরাহ করতে পেরেছিলাম দুই হাজার কেজি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিবৃষ্টি, শীত কম হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী পাটালি গুড় সরবরাহ করতে পারিনি। এ বছর ইতিমধ্যে অর্ডার আসতে শুরু করেছে।’