নাটোরে রেললাইনে শিকল পেঁচিয়ে নাশকতার চেষ্টা, পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
Published: 4th, August 2025 GMT
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেলস্টেশনের কাছে রেললাইনে লোহার শিকল পেঁচিয়ে তালা দিয়ে রেখেছিল দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ শিকল কেটে ফেলে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাধনগর স্টেশনের দক্ষিণ পাশে পলাশীতলা এলাকায় রেললাইনে শিকল প্যাঁচানো অবস্থায় প্রথমে এক পথচারী বিষয়টি দেখতে পান। তিনি স্থানীয় লোকজনকে জানান এবং পরে খবর যায় নলডাঙ্গা থানার পুলিশ ও স্টেশনমাস্টারের কাছে। খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে নওগাঁর আত্রাই থেকে এক মিস্ত্রি এনে শিকল কেটে ফেলা হয়। তালাসহ শিকলটি মাধনগর স্টেশন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন ৩ ঘণ্টা, নীলসাগর এক্সপ্রেস ২ ঘণ্টা এবং একতা এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট দেরিতে চলাচল করে। তবে বর্তমানে ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদিও ঘটনাস্থল রেলওয়ে পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত, তবে খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি নাশকতার উদ্দেশ্যে করা হতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নলড ঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
গকসু নির্বাচন: যত্রতত্র প্রচারে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ ৭ বছরের উচ্ছ্বাসে ভাটা এনেছে যত্রতত্র প্রচার। সাধারণ নিয়মের পরোয়া না করেই প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
জান যায়, লাইব্রেরিতে জোরে কথা বলা নিষিদ্ধ থাকলেও সেখানে প্রচার চালিয়েছেন এক ভিপি পদপ্রার্থী। আরেক ভিপি পদপ্রার্থী আইন বিভাগে ক্লাস চলা অবস্থায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচার করেন।
আরো পড়ুন:
চাকসু নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের মতবিনিময়
চাকসু নির্বাচন: ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্যানেল ঘোষণা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব ভিডিও। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসে বসে পড়াশোনা করব, অথচ হঠাৎ প্রার্থী ঢুকে প্রচারণা শুরু করবেন—এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নিয়মিত লাইব্রেরি ব্যবহারকারী কিছু শিক্ষার্থী জানান, লাইব্রেরিতে পড়ার সময় প্রার্থীসহ ৬-৭ জন এসে প্রচার চালান এবং ডেকে লিফলেট বিতরণ করেন, যা পড়া-শোনার বিঘ্ন ঘটায়। পড়াশোনার জায়গাতেই যদি প্রচার হয়, তাহলে আমরা কোথায় পড়ব?
এ বিষয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান জ্যোতি বলেন, “লাইব্রেরিতে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভিযোগ এসেছে কিছু প্রার্থী-সমর্থক সাধারণ শিক্ষার্থীর মত এসে প্রচার চালিয়েছেন। ফলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নজরদারি বাড়িয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওতে দেখা যায়, আইন বিভাগে ক্লাস চলাকালে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন এক ভিপি প্রার্থী।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মো. লিমন হোসেন বলেন, যেহেতু এইটা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন, সেহেতু সবারই সহযোগিতা দরকার। তাই আমি অনুমতিক্রমে প্রার্থীদেরকে তাদের প্রচারণা চালানোর সুযোগ দিয়েছি। তবে এই সুযোগ আমি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য দেইনি, সবার জন্যই দিয়েছি। তবে শুধু প্রার্থীকে ২ মিনিটের সুযোগ দিয়েছি।”
সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, “লাইব্রেরির পরিবেশ বজায় রাখা লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী