সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাবের আবাসিক কক্ষ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাতে তিনি কক্ষটিতে ছিলেন। সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় কক্ষটি খুলে অচেতন অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদ ক্লাবের গেস্টহাউসের একটি কক্ষে একা ছিলেন। আজ অনেক বেলা পর্যন্ত তিনি কক্ষ থেকে বের না হওয়ায় ক্লাবের লোকজন বিচলিত হন। দুপুর ১২টার পর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে কক্ষের তালা খুলে অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের ধারণা কক্ষের মধ্যে রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের একটি দল চট্টগ্রাম ক্লাবে এসে সাবেক সেনাপ্রধানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে তাঁরা সাবেক সেনাপ্রধানকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

এম হারুন-অর-রশীদ ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসিন্দা। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত হন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আজ ‘ছিটেফোঁটা’ বৃষ্টির সম্ভাবনা, তবে লঘুচাপ হতে পারে আবার

প্রায় পাঁচ দিন ধরে চলার পর ভারী বৃষ্টি অনেকটাই কমেছে গত বুধবার থেকে। তবে এর পরও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাতে গরম খুব একটা কমছে না। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শুক্রবারও দেশের কিছু কিছু স্থানে ‘ছিটেফোঁটা’ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এরই মধ্যে সাগরে আবার একটি লঘুচাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ লঘুচাপ এবার বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপাতত।

চলতি মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, কমে আসে বৃষ্টি। তবে গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। দেশের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, কিশোরগঞ্জের নিকলী—এসব এলাকায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়। রাজধানীতেও অনেক বৃষ্টি হয়। তবে গত বুধবার থেকে বৃষ্টি কমে আসতে থাকে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় সিলেটে ৫২ মিলিমিটার। রাজধানীতে বৃষ্টি হয় মাত্র ২ মিলিমিটার। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে গতকাল খানিকটা বৃষ্টি হলেও চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন।

আজ আবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আজ দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও তা হবে ছিটেফোঁটা। এমনটা চলতে থাকবে আরও দুই থেকে তিন দিন।

চলতি মাসে এরই মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে আগামী মঙ্গল বা বুধবার থেকে সাগরে আরেকটি লঘুচাপের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক। তিনি বলেন, এখনো খানিকটা সময় বাকি। তবে এখন পর্যন্ত গতিপ্রকৃতি যা, তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা খুলনার কাছাকাছি সাগরে এ লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরে অবশ্য এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ওডিশা উপকূলে চলে যেতে পারে।

সম্ভাব্য এই লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন নাজমুল হক। তিনি বলেন, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপের প্রভাব কতটা হবে তা কিন্তু এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ