ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকার হৃদ্রোগ চিকিৎসায় করোনারি স্টেন্টের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। এর ফলে দেশের মানুষ আগের চেয়ে কম দামে স্টেন্ট পাবে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে এ কথা বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা অ্যাবোট, বোস্টন সায়েন্টিফিক ও মেডট্রোনিক তিনটি কোম্পানির ১১টি স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নতুনভাবে নির্ধারণ করেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের আলোকে ট্যাক্স, ভ্যাট, বিভিন্ন চার্জ বা কমিশন ও কোম্পানিগুলোর যুক্তিসংগত মুনাফা বিবেচনায় রেখে মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে মানুষ আগের চেয়ে কম দামে স্টেন্ট কিনতে পারবে।
বাজারে মেডট্রোনিক কোম্পানির রেজুলুট ওনিক্স নামের স্টেন্টের দাম এখন ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতিবেশী ভারতে একই স্টেন্ট রোগীরা কেনেন ৫৭ হাজার ৪৫৫ টাকায় (বাংলাদেশের টাকার হিসাবে)। সরকার এখন এর মূল্য ঠিক করেছে ৯০ হাজার টাকা।
বোস্টন সায়েন্টিফিক কোম্পানির সিনার্জি এক্সডি নামে স্টেন্টের দাম এখন ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ভারতে এর মূল্য বাংলাদশি মুদ্রায় ৫৭ হাজার ৪৫৫ টাকা। সরকার বলছে, এখন থেকে এই স্টেন্ট রোগীরা এক লাখ টাকায় কিনতে পারবেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি স্টেন্টের দাম সরকার ভারতের সঙ্গে তুলনা করেই নির্ধারণ করেছে। এ ধরনের মূল্য নির্ধারণকে বলা হয় ‘রেফারেন্স প্রাইসিং’। ভারতের রোগীরাও তিনটি কোম্পানির স্টেন্ট ব্যবহার করছেন। ভারতের ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করে রোগীদের দিচ্ছেন। অথচ ভারতের চেয়ে স্টেন্টের দাম বাংলাদেশে অনেক বেশি।
মন্ত্রণালয় যে স্মারক প্রকাশ করেছে, তাতে প্রতিটি স্টেন্টের বর্তমান মূল্য, ভারতের মূল্য (বাংলাদেশি মুদ্রায়) এবং অনুমোদিত নতুন মূল্য দেওয়া হয়েছে। ১০টি স্টেন্টের দাম আগের চেয়ে কমেছে। একটি আগের মতোই আছে। সেটি অ্যাবোট কোম্পানির জেনিস এক্সপেডিশন নামের স্টেন্ট। এর এখনকার দাম ৭১ হাজার ৫০০ টাকা। নতুন দামও তাই। এটি ভারতে বিক্রি হয় ৫৭ হাজার ৪৫৫ টাকায়।
স্মারকে বলা হয়েছে, স্টেন্ট ব্যবহারের সময় সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ রাখতে পারবে হাসপাতালগুলো। ঠিক দামে স্টেন্ট বিক্রি হচ্ছে কি না, তা তদারক করা হবে বলেও মন্ত্রণালয়ের স্মারকে বলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অস্কারের জন্য জমা পড়েছে ৫ বাংলাদেশি সিনেমা
বাংলাদেশ থেকে অস্কারের বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে পাঠানোর জন্য জমা পড়েছে পাঁচটি সিনেমা। এর মধ্য থেকে একটি সিনেমাকে চূড়ান্ত করে অস্কারে পাঠাবে অস্কার বাংলাদেশ কমিটি।
৯৮তম অস্কারে সেরা আন্তর্জাতিক ভাষার সিনেমা বিভাগে পাঠানোর জন্য এ মাসের শুরুর দিকে ছবি আহ্বান করে বাংলাদেশের অস্কার কমিটি। ১৬ সেপ্টেম্বর ছিল সিনেমা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। নির্ধারিত সময়ে জমা পড়ে ৫টি সিনেমা: ‘সাবা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘নকশিকাঁথার জমিন’, ‘প্রিয় মালতী ও ‘ময়না’। এর মধ্যে বাড়ির নাম ‘শাহানা’ ছবিটি বাংলাদেশে আজ মুক্তি পাবে। ‘সাবা’ মুক্তি পাবে ২৬ সেপ্টেম্বর। অন্য ছবিগুলো আগেই মুক্তি পেয়েছে।
অস্কার কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের (বিএফএফএস) সভাপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, বিএফএফএস কর্তৃক গঠিত হয়েছে নির্বাচক কমিটি। এই কমিটি জমা পড়া চলচ্চিত্র পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেবে। তিনি বলেন, ‘যেসব নির্মাতা ও প্রযোজক তাদের কাজ দিয়ে যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করবে, তার চলচ্চিত্র জমা দেওয়া হবে।’
এই কমিটি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জমা পড়া সিনেমাগুলো বুঝে পেয়েছে। জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুব শিগগির সিনেমাগুলো আমরা ব্যক্তিপর্যায়ে দেখা শুরু করব। সিনেমাগুলো একসঙ্গেও দেখা হবে। আগামী শনিবার থেকে সিনেমাগুলো দেখা ও পর্যালোচনা শুরু হবে। আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাই। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দু-এক দিন পরেই সিনেমাটি আমরা বাংলাদেশ থেকে সাবমি করব।’
আরও পড়ুনবিদেশ ঘুরে এবার দেশে আসছে মেহজাবীনের ‘সাবা’০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫অস্কার কর্তৃপক্ষের কাছে সিনেমা পাঠানোর শেষ সময় ৩১ সেপ্টেম্বর। জহিরুল ইসলাম জানান, অনেক সময় টেকনিক্যাল জটিলতা থাকে। যে কারণে সময় হাতে রেখেই অস্কারে সিনেমা জমা দিতে চান তাঁরা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর জানা যাবে, শর্টলিস্টের তালিকা। পরে ঘোষণা করা হবে অস্কারে মনোনীত ৫টি সিনেমার নাম। এর মধ্যে একটি সিনেমা সেরা আন্তর্জাতিক ছবির অস্কার জয় করবে।
আগামী ১৫ মার্চ বসবে ৯৮তম অস্কারের আসর।