জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে। পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শেখ হাসিনার পতনের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তিনি।

জুলাই ঘোষণাপত্রের ২৭ নম্বর ধারায় বলা হয়,  বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।

আরো পড়ুন:

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করছেন প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস: মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠান চলছে

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ (বিটিভি) বিভিন্ন গণমাধ্যম ও অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন  রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশন করা হয়। এছাড়া শহীদদের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

ঢাকা/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র গণঅভ য ত থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জাবিতে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অভ্যন্তরীণ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।

দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ কার্যকর থাকলেও জাবি তা অনুসরণ না করে নিজস্ব নীতিমালায় বেতন-নিয়োগ পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা বৈষম্যমূলক দাবি করে সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল এবং অভ্যন্তরীণ তিনটিসহ মোট ১৩টি মসজিদ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সাতটি হল মসজিদে একজন মুয়াজ্জিন নিয়োগ দিয়ে তাকে ইমামতি, মুয়াজ্জিন, জুমার নামাজ পড়ানো ও মসজিদ পরিষ্কার করাসহ সব কাজ করানো হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

জাবিতে নির্মাণ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

‘বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে’

২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ অনুযায়ী গেজেটে ইমামদের বেতন নবম গ্রেড  থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ গ্রেড, পেশ ইমাম পদে ষষ্ঠ গ্রেড থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ গ্রেড এবং সিনিয়র পেশ ইমাম পদে পঞ্চম গ্রেড থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ষষ্ঠ গ্রেড কার্যকর আছে।

অন্যদিকে, মুয়াজ্জিনদের জন্য ১১তম গ্রেডের বেতন স্কেল নির্ধারিত রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬ গ্রেডে তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। আবার নতুন তিনটা হলে ১৮ গ্রেডে দেওয়া হচ্ছে বেতন, যা গেজেটের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। 

সংশ্লিষ্টদের দাবি, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এসেও এমন বৈষম্য কখনোই প্রত্যাশিত ছিল না। সরকারি গেজেটের নির্দেশনা মেনে মুয়াজ্জিনদের বেতন স্কেল যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হলে ধর্মীয় কাজের প্রতি মানুষের আস্থা কমতে পারে এবং মুয়াজ্জিনদের কর্মপ্রেরণাও হ্রাস পাবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররক হোসেন হল মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আবু সাইদ বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন থেকেই এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছি। এ পর্যন্ত ছয়বার আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু প্রত্যেকবারই আমাদের নানা অজুহাত দেখিয়ে এ বিষয়টি বিলম্বিত করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “ঢাবি, বুয়েট, চবি, শাবিপ্রবি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামো ২০০৬ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরই এটি নিয়ে উদাসীনতা প্রদর্শন করে আসছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম ড. মাহমুদুল ইসলাম ইউসুফ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্থগিত স্থবিরতা বিদ্যমান ছিল। এক ইমামের পদে একজন সহকারী ইমামকে নিয়োগ দিয়ে তাকে দিয়েই ইমামতি, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ পরিষ্কার করাসহ সব কাজ করানো হচ্ছিল। আমরা চাচ্ছি, আমাদের জন্য ২০০৬ সালের গেজেট অনুসারে নিয়োগ এবং বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দেওয়া হলে আমাদের সঙ্গে হওয়া বৈষম্য দূর হবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “মুয়াজ্জিনদের বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমরা সচেতন। বিষয়টি আমরা পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করব এবং সরকারি গেজেট অনুযায়ী বেতন কাঠামো পুনর্বিবেচনার চেষ্টা করব। তবে এবারের সিন্ডিকেট সভার এজেন্ডায় এটি অন্তর্ভুক্ত হয়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদগুলোতে ইমাম নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইমাম নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে জনবল নিয়োগের জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।” 

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই ঘোষণাপত্রে কী আছে, যা জানা গেল
  • জার্মানিতে বসবাসরত শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীদের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠিত
  • গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনীতি-সমাজ ও সংস্কৃতির আকাঙ্ক্ষা
  • গণমাধ্যমগুলোতে মব তৈরি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে: টিআইবি
  • এনসিপি ‘কিংস পার্টি’, তাদের দুজন সরকারে: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
  • আইনের সংস্কার দূরে থাকুক, এ পর্যন্ত তথ্য ও মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়নি: ইফতেখারুজ্জামান
  • অনবদ্য গানে অমর কিশোর কুমার
  • জাবিতে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি
  • চবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশায় ছাত্র সংসদ