রূপগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা
Published: 19th, August 2025 GMT
অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রূপগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে রূপগঞ্জ উপজেলা কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা চত্বরের পুকুরে পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়।
র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
সাইফুল ইসলাম বলেন,দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এক সময় আমাদের হাওর,খাল- বিল ও জলাশয় দেশি প্রজাতির মাছের ভান্ডার ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশি প্রজাতির মাছের সংখ্যা কমেছে। তবে অভয় আশ্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দেশি মাছে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ভূমি তারিকুল আলম,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার আফরোজা সুলতানা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জনাব হুমায়ুন কবীর,উপজেলা সমবায় অফিসার আলমগীর আজাদ ভূঁইয়া প্রমুখ। এ সময় অন্যানের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র উপজেলার মৎস্য চাষী,মৎস্য ব্যবসায়ী , মৎস্য খাদ্য ব্যবসায়ী, আড়ৎদার সুধিবৃন্দ।
পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী ২৪ আগস্ট সাতদিন ব্যাপী মৎস্য সপ্তাহ শেষ হবে।
  
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ অফ স র
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।