আরাকান আর্মির ধাওয়ায় নাফ নদীতে ট্রলার ডুবি
Published: 25th, August 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে কক্সবাজারের টেকনাফে ফেরার পথে নাফ নদীর মোহনায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির ধাওয়ায় একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এর সাত জেলে সাঁতরে তীরে আসতে পেরেছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় শাহপরীর দ্বীপের বদরমোকামের গরা এলাকায় ট্রলার ডুবে যায় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটের ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলে সুলতান আহমদ, নুর কবির, কবির আহমদ, আলী হোসেন, সোনা মিয়া, গফুর আলম ও আব্দুল আমিন মাঝিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পদ্মায় জেলের জালে ২২ কেজির পাঙ্গাশ, ৩৩ হাজারে বিক্রি
‘মাছে-ভাতে বাঙালি’: বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন জয়গান
ট্রলার মালিক মোহাম্মদ হাশেম বলেন, “বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার সময় আরাকান আর্মির ধাওয়ায় ট্রলারটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকার মাছ, জাল ও অন্যান্য সামগ্রী ভেসে গেছে। ট্রলারে থাকা সাত জন জেলে কূলে ফিরে আসতে সক্ষম হলেও ট্রলার ডুবে যায়।’’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “আরাকান আর্মির ধাওয়ায় এবারও মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।”
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি ট্রলারসহ সাত জেলেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে। টেকনাফের কায়ুকখালীয়া ঘাটের ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানিয়েছেন, গত ২০ দিনে ৩৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। গত ডিসেম্বর থেকে এখনো পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৪৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব