ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। ছোট পর্দার পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। টিভি ধারাবাহিকে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন ৩২ বছর বয়সি শ্বেতা। 

কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে শ্বেতা বলেন, “আমি স্লিভলেস পরতে পারি না, শর্ট ড্রেস পরতে পারি না। ম্যাক্সিমাম হাঁটু পর্যন্ত কোনো পোশাক পরি। আমাকে যদি শরীর দেখিয়ে কাজ করতে হয় তাহলে কাজটা করব না। আমি এখানে ট্যালেন্ট বেচতে এসেছি, শরীর না।”  

আরো পড়ুন:

আমার টাইসন আর নেই: নিলয় আলমগীর 

‘মিস স্টার ইউনিভার্স’ বিজয়ী অনন্যা

শ্বেতার এই মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোর চর্চা চলছে। টলিপাড়ার বেশ কজন অভিনেত্রীও শ্বেতার নাম উল্লেখ না করে নানা ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন। শ্বেতার বক্তব্য নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। 

এ নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম টলিউডের বেশ কজন অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা তাদের ভাবনার কথা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত বলেন, “এই কথায় গুরুত্ব দেওয়াই বড় ভুল। ছোট পোশাক না পরতে চাওয়া বা হাতাকাটা পোশাকে আপত্তি থাকা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট মানুষটির উপর। তাই এখানে কেউ কোনো মন্তব্য করতে পারেন না।” 

অলোচিত অভিনেত্রী ঋ-ও একমত মানসীর ভাবনার সঙ্গে। শিল্পী বা অভিনেত্রীদের স্বাধীনতা আছে বলে মনে করেন তিনি। ঋ বলেন, “আমি কেমন পোশাক পরি, তা সবার জানা। অভিনেত্রী মানেই কি পোশাক খুলে দাঁড়িয়ে পড়বে? তার নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা থাকবে না? যে যেমন পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য, তার তেমনটাই পরা উচিত।”

মানসী, ঋ-এর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন অভিনেত্রী সুস্মিতা চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, “দর্শক কোনোভাবেই ঠিক করে দিতে পারেন না, শিল্পীরা কেমন পোশাক পরবেন। আমি যেমন শাড়ি পরি, তেমনই খোলামেলা পোশাক পরতেও আমার অসুবিধা হয় না। কিন্তু কেউ যদি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তা হলে তিনি কেন এমন পোশাক পরবেন? এই স্বাধীনতা সবার থাকা উচিত।” 

পোশাক নিয়ে শ্বেতা ভট্টাচার্য একান্তই তার নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। অন্য যে কেউ তার পছন্দের পোশাক পরতেই পারেন, তা নিয়ে মোটেও আপত্তি নেই এই অভিনেত্রীর। তারপরও বিতর্ক। শ্বেতার ভাষায়—“কে, কী পরবেন তা যেমন কেউ ঠিক করে দিতে পারেন না, তেমনই আমার ভাবনাচিন্তাকে কেন্দ্র করে মানুষ বিচার করতে বসবেন, সেটাও মানতে নারাজ।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র মন প শ ক প শ ক পর র ভ বন

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘অশ্বডিম্ব’ বললেন সিপিবি সভাপতি

আট মাস আলোচনার পর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ দিয়েছে, তাকে ‘অশ্বডিম্ব’ বলেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন।

‘জগাখিচুড়ি মার্কা’ কমিশনের সুপারিশের পর পরিস্থিতি জটিলতার দিকে মোড় নেওয়ার দিকটি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আট মাস আলোচনার পর একটা অশ্বডিম্বের মতো একটা অবস্থা।’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংলাপে ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন সাজ্জাদ জহির। এ সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে মতাদর্শভিত্তিক সংলাপ ও গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে জার্মান ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস)-এর সহযোগিতায় ‘পলিটিকস ল্যাব’ শিরোনামে চারটি ধারাবাহিক কর্মশালা করেছে সিজিএস। তার সমাপনী অনুষ্ঠান হিসেবে আজকের সংলাপ হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তরের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়। নানা প্রশ্নে বিভিন্ন দলের আপত্তির বিষয়গুলো সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ার তফসিলে না থাকা নিয়ে যেমন সমালোচনা হচ্ছে, আবার গণভোটের সময় নিয়েও দলগুলোর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।

এই সংকট তৈরির জন্য ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করে সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘এটার সমাধানটা কী? এই গণভোটের সমাধানটা কী? জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে? সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা কিন্তু নেই। মানে একধরনের হাওয়ার ওপরে সবকিছু চলছে। এখানে ৮৪টা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০টাতে একমত হয়েছে, বাকিগুলোতে একমত হয়নি। তাহলে কোন বিষয়ে ভোটটা হবে।’

জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা দেখলাম জুলাই সনদে স্বাক্ষর হলো। এরপর সর্বশেষ সংস্কার কমিশন তারা আবার আরেকটা খেলা খেলল এখানে। দেখেন কী অবস্থা! তারা বলছে যে নোট অব ডিসেন্ট কিছুই থাকবে না। ভিন্ন মত থাকবে না। আমার তো ভিন্নমত আছে, কেন থাকবে না?’

গণভোট নিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে কোথাও গণভোটের কোনো বিধান নেই। একটা আছে যেটা ১৪২ ধারা। যেটা নির্বাচিত সংসদে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতভেদ তীব্রতর হয়, তাহলে সেই বিষয়ের ওপরে নির্বাচিত সংসদ জনগণের আহ্বান করতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।’

সিপিবির সভাপতি বলেন, এসব জটিলতা এড়াতে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে গত বছরের অক্টোবর মাসে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলেন। তবে ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ সরকার সেটি শোনেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: সাইফুল হক
  • জুলাই সনদে সই না করা অংশের দায় নেব না: মির্জা ফখরুল
  • ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘অশ্বডিম্ব’ বললেন সিপিবি সভাপতি