ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর-এর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে আমরা দেশকে সুন্দর করে গঠন করবো। আমরা দেশপ্রেমিক হবো, চাঁদাবাজ হবো না। উন্নয়নমুখী হবো, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে লিপ্ত হবো না। দেশের কল্যাণে যেকোন কাজে ঝাপিয়ে পড়বো ইনশাআল্লাহ।

আজ শুক্রবার বিকাল ৩ টায় ডিআইটিতে জুলাই কর্নারে ফ্যাসিবাদ বিরোধী 'গণঅভ্যুত্থান- নতুন বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভা ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় আরো উপস্তিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি মাও.

হাসান ইমাম মুন্সী, সেক্রেটারি মুহা. সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, অর্থ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, খালিদ সাইফুল্লাহ সানভীর, জোবায়ের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন, পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আমরা অতীতেও করেছি এখনও করছি। আমরা চাই দেশের জনগণের সকলের ভোট মূল্যায়িত হোক। শান্তিপ্রিয় মানুষ চায় দেশের কল্যাণ। অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতে হয়, এক নেতার বক্তব্য শুনলাম তাদের মার্কা দিয়ে নিজেরাই ব্যালট ছাপাবে!

কি আজব বক্তব্য। এরা যে ক্ষমতা পেলে বাকশাল কায়েম করবে না, স্বৈরাচার হবে না এর কি গ্যারান্টি আছে?

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে