বিশ্বে প্রতি ১০০ মৃত্যুর মধ্যে একটি আত্মহত্যা
Published: 2nd, September 2025 GMT
বিশ্বব্যাপী মারা যাওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় আত্মহত্যার কারণে। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার কিছুটা কমেছে, তবে এই সমস্যা মোকাবেলায় অগ্রগতি অনেক ধীর।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০২১ সালে - যে বছরের তথ্য পাওয়া গেছে - বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭ লাখ ২৭ হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সংস্থার অসংক্রামক রোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান ডেভোরা কেস্টেল বলেন, “বিশ্বব্যাপী, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজনেরও বেশি মৃত্যু আত্মহত্যার কারণ এবং প্রতিটি মৃত্যুর জন্য ২০টি আত্মহত্যার প্রচেষ্টা রয়েছে।”
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই আত্মহত্যাগুলো “অগণিত জীবন ও জীবিকাকে প্রভাবিত করেছে, কারণ বন্ধু, যত্নশীল এবং প্রিয়জনদের অকল্পনীয় কষ্টের সাথে লড়াইয়ে বাধ্য করা হয়েছিল।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ টুডে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভৌগোলিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যা এখনোা মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।
২০২১ সালে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী মেয়েদের এবং নারীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল আত্মহত্যা এবং একই বয়সের পুরুষদের ক্ষেত্রে তৃতীয় প্রধান কারণ ছিল এটি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব য প
এছাড়াও পড়ুন:
‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
সাপ্তাহিক ‘পঙক্তি’র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারীর সমান অধিকার, সাংস্কৃতিক জাগরণ ও মুক্তচিন্তার বিকাশ ছাড়া বৈষম্যহীন সমাজ গঠন সম্ভব নয় এমন মত প্রকাশ করেছেন বক্তারা।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাপ্তাহিক পঙক্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’সহ ৩৮ দাবি সংবাদকর্মীদের
‘সাম্য, মর্যাদা ও আলোকিত সমাজের স্বপ্নে ৭১ ও ২৪ এর তরুণরা’
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, “নারীরা অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও পুরুষতান্ত্রিক নানা বৈষম্য ও হেনস্তার শিকার হন। আমরা দেখছি, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও নারী ও শিশুরা লাঞ্ছিত, নিপীড়িত হচ্ছে, এটি লজ্জার বিষয়। আমরা এমন সমাজ চাই না। আমরা চাই একটি সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত সমাজ, যেখানে নারী–পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে।”
প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বলেন, “আমরা বর্তমানে একটি সাংস্কৃতিকভাবে খারাপ সময় পার করছি। একটি নতুন রাজনৈতিক আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে যে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, তাতে একমাত্র একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবই আমাদের জাতিকে রক্ষা করতে পারে।”
কবি ও কলামিস্ট সোহরাব হাসান বলেন, “ফেসবুক–ইউটিউবের যুগে একটি সাহিত্য পত্রিকা টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত কঠিন কাজ। বর্তমানে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক ধরনের বৈরী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে মাজার, দরগা, শিল্পী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক তৎপরতা। এই আক্রমণ জাতিসত্তার উপর আক্রমণ, আমাদের শিল্প–সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সুকুমার ভিত্তির উপর আঘাত। এর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে সাপ্তাহিক পঙ্ক্তির সম্পাদক কবি জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না ওরফে পান্না বেগম বলেন, “আজ আমি খুব আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। আমি একজন সফল নারী বলে নিজেকে সম্মান করি। আমি ২৬ বছর ধরে কাজ করি। কারোর মুখাপেক্ষী হইনি। একটি পত্রিকা কারোর সহযোগিতা ছাড়া নিয়মিত প্রকাশ করা এতোটা সহজ নয়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজকের এই জায়গাটি তৈরি হয়েছে।”
বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মফিজুর রহমান বাবু বলেন, “সাপ্তাহিক পঙ্ক্তি পত্রিকাটি নিয়ে প্রথম থেকেই আমার একটি চিন্তা ছিল। পত্রিকাটির নাম পঙ্ক্তি কেন? খুব চিন্তা করে এর দুইটি কারণ খুঁজে পেলাম। একটি হলো-এই পত্রিকাটির সম্পাদক একজন কবি ও সাংবাদিক। উনার কবিসত্তার চিন্তাধারা থেকে এই নামটি নির্ধারণ করেছেন। কারণ পঙ্ক্তি শব্দের অর্থ কবিতার লাইন বা সারি। আর দ্বিতীয়টি হলো- সম্পাদকের একমাত্র কন্যার নাম পঙ্ক্তি। সন্তানের প্রতি একজন মায়ের যে অসাধারণ ভালোবাসা, তারই বহিঃপ্রকাশ হলো সাপ্তাহিক পঙ্ক্তি।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক মানিক মুনতাসির, কবি ও সাংবাদিক বজলুর রহমান, কবি মোশাররফ হোসেন ইউসূফ, বাংলানিউজের সাংবাদিক তুলনা আফরিন প্রমুখ।
ঢাকা/এসবি