জাকসু নির্বাচন: চেম্বার আদালতে অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিল
Published: 9th, September 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা চূড়ান্তভাবে বাতিল করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অমর্ত্য রায়ের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবীর করা রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফেরত দেওয়া হয়। পরে চেম্বার আদালতে সেটি বাতিল করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট মঙ্গলবার
জাকসু নির্বাচন: অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বহাল চেয়ে আইনি নোটিশ
জানা যায়, প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রিট করেন অমর্ত্য। এরপর আদালতে শুনানি শেষে অমর্ত্য রায় জন প্রার্থিতা ফিরিয়ে পান। পরবর্তীতে অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় চেম্বার জজ আদালতে। সর্বশেষ তথ্য মতে, অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা চূড়ান্তভাবে বাতিল করেছে চেম্বার জজ আদালত।
এ বিষয়ে জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, “এখনো আমাদের কাছে আদালত থেকে অফিসিয়াল কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। আমরা মহামান্য আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। আদালত থেকে যে রায় আসবে, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আটদিন পর গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪ ও ৮ ধারা মোতাবেক তার ছাত্রত্ব না থাকায় সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অমর ত য র য় ব ত ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।