রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ২ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

রাকসু: ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ১২ দফা ইশতেহার

রাকসু নির্বাচন: রাবিতে ২ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

আরএমপি কমিশনার বলেন, “এখন পর্যন্ত এখানে আমাদের গোয়েন্দা দল কাজ করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন যেহেতু অনেক বড় এবং বিভিন্ন প্রবেশপথ রয়েছে, সেহেতু আমরা কেন্দ্রভিত্তিক একটা বলয় তৈরি করব। আর তা নির্বাচনের আগের দিন থেকে কার্যকর হবে।”

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন ঘিরে কোন জায়গায় কী ধরনের নিরাপত্তা লাগবে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাব।”

তফসিল অনুযায়ি, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রাকসু নির্বাচন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি

আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির প্রতি আনুগত্য নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে কেবল আইন ও দেশের প্রতি। নির্বাচনকালীন পুলিশের আচরণ হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, ন্যায়নিষ্ঠ ও পেশাদার।’

শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী পুলিশ লাইনসের ড্রিলশেডে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) ও রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের যৌথ আয়োজনে এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের মূল দায়িত্বে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পেছনে পুলিশ সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। তিনি পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করে বলেন, ‘যে সরকারই আসুক না কেন, পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে আইন অনুযায়ী কাজ করা। কেউ যেন আগাম ধারণা করে বা কাউকে খুশি করার জন্য দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত না হয়। একজন পুলিশ সদস্য হয়তো কাউকে ফেভার করলে তা হয়তো প্রকাশ পাবে না, কিন্তু একদিন নিজের বিবেকের কাছেই তাঁকে জবাব দিতে হবে।’

পুলিশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো সততা ও পেশাগত দায়িত্ববোধ—এ কথা উল্লেখ করে বাহারুল আলম বলেন, পুলিশের কাজ কঠিন। আসামি ধরতে গেলে বাধা বা হুমকি আসে, এমনকি আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়। তবু দায়িত্ব থেকে পিছু হটলে চলবে না।

পুলিশ বাহিনীর দেড় শ বছরের ঐতিহ্য ও ত্যাগের কথা স্মরণ করে আইজিপি বলেন, ‘এই পুলিশ বাহিনী একদিনে গড়ে ওঠেনি। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে।’ তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টে পুলিশ কঠিন এক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। ধাপে ধাপে সেই পরিস্থিতি অতিক্রম করে আজকের অবস্থানে এসেছে। যদিও এখনো কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে, তবু একসময় সমালোচিত সেই পুলিশ বাহিনী আজ নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।’

পুলিশের প্রতি সমাজের প্রত্যাশা ও সমালোচনার কথা তুলে ধরে আইজিপি বলেন, ‘এত কিছুর পরও পুলিশ দায়িত্ব থেকে সরে যায়নি, এটাই পুলিশের শক্তি।’

আগামী নির্বাচনকে পুলিশের জন্য একটি ‘বড় পরীক্ষা’ ও ‘সুযোগ’ হিসেবে অভিহিত করে আইজিপি অতীতের ভুল সংশোধন করে সততা ও পেশাদারির মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান জানান।

এর আগে আইজিপি বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের কর্মপরিবেশ ও বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস দেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান। রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় রাজশাহী রেঞ্জ, আরএমপি এবং রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত পুলিশের সব ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি