প্রায় এক বছর আগে স্ত্রীর জন্মদিনে মিয়াজাকি জাতের একটি আমগাছ উপহার দিয়েছিলেন হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ। জাপান থেকে আনা গাছটি পরে নিজেদের বাড়ির আঙিনায় রোপণ করেন তাঁরা। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ‘প্যারেন্ট লজ’ নামের বাড়ির নিরাপত্তাবলয় এড়িয়ে ১ সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ টবসহ উধাও হয় গাছটি। গাছটির সন্ধান না পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন আলাউদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান।

লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের অন্যতম বিরল ও দামি প্রজাতির আম বলে বিবেচনা করা হয় মিয়াজাকিকে। ১৯৭০ দশকের দিকে জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলে এটির চাষ শুরু হয়। পরে অঞ্চলটির নামানুসারে এর নাম রাখা হয়। আলাউদ্দিন আহমেদের সহধর্মিণী সুরাইয়া বিলকিসের জন্মদিনের উপহার হিসেবে গাছটি আনা হয়। পরে একটি প্লাস্টিকের টবে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিননগরে অবস্থিত প্যারেন্ট লজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে গাছটি রোপণ করা হয়। সম্প্রতি টবসহ গাছটি উধাও হয়েছে। সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও এটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সাইফুর রহমান জানান, মূল্যবান গাছটির দাম লক্ষাধিক টাকা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও হঠাৎ গাছটি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

গতকাল বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, আলাউদ্দিননগর রেলগেট-শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি সড়ক ঘেঁষে প্যারেন্ট লজের অবস্থান। বাড়িটির চারদিক পাকা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। এটির একাধিক প্রবেশপথ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। ফটকে সর্বদা থাকেন একজন পাহারাদার। প্রাচীরের ভেতরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ আছে। তবে মিয়াজাকি আমগাছটি নেই।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, মূল্যবান ও উপহারের গাছটি হারানোর ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পড়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি

জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৩ কোটি টাকা পাবেন নিগাররা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ