খাগড়াছড়ির জুমে ফলেছে ১৬ লাখ কেজি ধান, কাটা শুরু
Published: 20th, September 2025 GMT
পাহাড়ের ঢালে সারি সারি সোনালি ধান। কাঁধে ঝুড়ি নিয়ে সেই ধান কাটতে ব্যস্ত নারী-পুরুষের দল। কেউ ঝুঁকে ধান কাটছেন, কেউ ঝুড়িতে ভরে নিচ্ছেন সোনালি শিষ। কারও যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। খাগড়াছড়ির পাহাড়ে জুমচাষিদের এমন ব্যস্ততা এখন প্রতিদিনের।
গতকাল শুক্রবার ও গত বৃহস্পতিবার জেলার দীঘিনালা, আলুটিলা, পানছড়ির মরাটিলা ও সদরের গাছবান এলাকায় জুমে (পাহাড়ি চাষের জমি) গিয়ে দেখা যায়, চারদিকের উৎসবের আমেজে ধান কাটা ও শুকানোর কাজ চলছে। পাহাড়ি নারীরা ধান কেটে জুম ঘরে (পাহাড়ের বিশেষ ঘর) এনে রাখছেন। আর পুরুষেরা এসব ধান গোলায় তুলছেন। বাতাস ভাসছে নতুন ধানের ম-ম গন্ধ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, এ বছর খাগড়াছড়ির জুমে ১৬ লাখ কেজির বেশি ধানের ফলন হয়েছে।
এ বছর দুই একরের একটি পাহাড়ে জুমচাষ করেছি। অন্য বছরের চেয়ে তুলনামূলক বৃষ্টি কম হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। তবে পাখি অনেক ধান নষ্ট করছে। এ কারণে সব সময় এ ফসল পাহারায় রাখতে হচ্ছে।অনিল ত্রিপুরা, জুমচাষিচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি তাঁরা পাহাড়ে আগাছা পরিষ্কার করেন। অর্থাৎ বৈশাখ মাসের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ার পরপরই কাজ শুরু হয়। এরপর পাহাড়ের মাঝে তুলনামূলক সমান জায়গায় ধান চাষ করেন তাঁরা। এর সঙ্গে সারি সারি করে কোথাও কোথাও কলাগাছ আবার কোথাও মরিচ, হলুদ, আদা, বরবটি, বেগুন, শিম, মারফা, চিনাল, তিল, সাবারাং , ফুজি, লুমপোল (একধরনের মসলা), মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের ফসল ও শাকসবজির বীজ বপন করেন। সেপ্টেম্বরে অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শুরুতে ধান পাকতে শুরু করে। ধান কাটা শেষ করার পর পর্যায়ক্রমে অন্য ফসলও তোলা শুরু হয়।
ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীরা। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির নয় মাইল এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাংনীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় গাংনী বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে হামলা এবং মোটরসাইকেল ও চেয়ারসহ বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করা হয়।
আরো পড়ুন:
ভাঙ্গায় চার গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৬০
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
গতকাল সোমবার মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে বিএনপি মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরেই আজ সংঘর্ষ হয়।
মেহেরপুর-২ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেছেন, মনোনয়নবঞ্চিত মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়ালসহ তার ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। হামলায় অন্তত বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
 
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনী ইসরাইল জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
আমজাদ হোসেনের সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকরা একতরফাভাবে হামলা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
অন্যদিকে, মিল্টনের সমর্থক গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু অভিযোগ করেছেন, আমজাদ হোসেনের লোকজন তাদের অফিস ভাঙচুর করেছেন।
ঢাকা/ফারুক/রফিক