অ্যান্টার্কটিকায় সমুদ্রের তলদেশে ফাটল, বের হচ্ছে মিথেন গ্যাস
Published: 12th, October 2025 GMT
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে থাকা সমুদ্রের তলদেশের ফাটল নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, অ্যান্টার্কটিকায় সমুদ্রের তলদেশের ফাটল থেকে উচ্চ হারে মিথেন গ্যাস বের হচ্ছে। অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে নজিরবিহীন হারে উষ্ণতা বাড়তে থাকায় সমুদ্রের তলদেশের ফাটল থেকে মিথেন গ্যাস বের হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সারা বিশ্বেই সমুদ্রের তলদেশের নিচে মিথেন গ্যাসের বিশাল ভান্ডার রয়েছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মিথেন গ্যাস অ্যান্টার্কটিকার উত্তর উপকূলের রস সাগরের সমুদ্রের তলদেশ থেকে বুদ্বুদের স্রোত আকারে বেরিয়ে আসছে। এরই মধ্যে শিপবোর্ড ওয়াটার কলাম অ্যাকুস্টিক সার্ভে ও রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল (আরওভি) সার্ভের মাধ্যমে উত্তর ভিক্টোরিয়া ল্যান্ড ও ম্যাকমার্ডো সাউন্ড এলাকার অগভীর উপকূলীয় অঞ্চলের অসংখ্য স্থানে মিথেন গ্যাস বের হওয়ার ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে।
গবেষণার তথ্যমতে, অ্যান্টার্কটিকায় বরফের স্তর ও হিমবাহের ওজন কমে গেলে হিমবাহের হাইড্রেট ভান্ডারের ওপর থাকা পানির চাপও কমে যায়। তখন হিমবাহের প্রবাহ ও উপকূলে মিথেন নির্গমনের পরিমাণ বাড়তে পারে। অ্যান্টার্কটিকার বরফমুক্ত অঞ্চলে সংরক্ষিত গ্রিনহাউস গ্যাস একইভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এখন পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকায় মিথেন গ্যাস নিঃসরণের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
বিজ্ঞানী সারা সিব্রুকের ধারণা, মিথেন গ্যাস নিঃসরণের ক্ষেত্রে মহাসাগর ও উপকূলরেখা সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময়। বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ ও বিভিন্ন উৎস থেকে গ্যাসটির মোট নিঃসরণের মধ্যে একটি বড় ব্যবধান রয়েছে। মিথেন গ্যাস নির্গমন সমুদ্রের সেই সব অঞ্চলে ঘটছে বলে মনে করা হয়, যেখানে হাইড্রোকার্বন সমৃদ্ধ তরল চুইয়ে বের হয়।
সূত্র: এবিসি নিউজ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপক ল
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পদ ও সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা
জীবনের এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন মনে হয়, সবকিছু যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। আয়ের উৎস শুকিয়ে যাওয়া, পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকা বা জীবনে বরকতের অভাব—এসব চাপে মানুষের মন ভারী হয়ে ওঠে। ইসলামে এমন সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমন একটি দোয়া মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সেবক আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর জন্য করেছিলেন। এই দোয়া শুধু ধন-সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি চায় না, বরং সবকিছুতে আল্লাহর বরকত কামনা করে।
দোয়ার উৎস ও প্রেক্ষাপটহাদিসে বর্ণিত, আনাস (রা.)-এর মা উম্মে সুলাইম নবীজিকে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই সেবক আনাসের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ তখন নবীজি (সা.) দোয়া করেন: ‘আল্লাহুম্মা আকসির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বারিক লাহু ফীমা আ'তাইতাহু।’
এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং পৌত্রাদি মিলিয়ে তিনি ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।আরও পড়ুনতাকওয়া মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ৩০ জুন ২০২৫অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তার ধন-সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দাও এবং তুমি যা দান করেছ, তাতে তার জন্য বরকত দান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৩৪৪)
আনাস (রা.) তখন মাত্র দশ বছরের একটি ছেলে, যিনি নবী (সা.)-এর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং তাঁর তিনি পৌত্রাদি মিলিয়ে ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন (সহিহ মুসলিম থেকে বর্ণিত)। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।
দোয়ার উদ্দেশ্য শুধু ধন নয়, বরকতএই দোয়ার সৌন্দর্য এতে যে এটি ধন-সম্পদের পাশাপাশি বরকতের জন্য প্রার্থনা করে। ইসলামে ধনকে শুধু সঞ্চয় নয়, বরং আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে দেখা হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯)
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি১৯ মে ২০২৫ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯আধুনিক জীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশি। অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা বা পরিবারের চাপে অনেকে কষ্ট পান। কিন্তু এই দোয়া স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের সমৃদ্ধি আল্লাহর রহমতে। সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই—সন্তান লাভের সঙ্গে তাদের সুস্থতা, শান্তি ও ইমানের বরকত চাওয়া জরুরি।
আজকের দিনে, যখন পরিবারের আকার ছোট হচ্ছে এবং অর্থের চাপ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুশীলন (যেমন দোয়া) মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনে ইতিবাচকতা বাড়ায়। ইসলামি ঐতিহ্যে এই দোয়া শুধু ব্যক্তিগত নয়, পরিবারের জন্যও ব্যবহার করা যায়।
দোয়ার সঙ্গে সদকা দেওয়া, কোরআন তিলাওয়াত এবং হালাল উপার্জনের চেষ্টা করুন—এগুলো বরকতের দরজা খোলে।
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫