2025-06-16@07:01:10 GMT
إجمالي نتائج البحث: 29

«ঘনফ ট সরবর হ»:

    নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ‘‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়ির গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।’’ শুক্রবার (১৩ জুন) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আরো পড়ুন: ১৩ লাখ ২০ হাজার টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার কমল ডিজেল-অকটেন-পেট্রোলের দাম, কেরোসিনে বেড়েছে ১০ টাকা জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘‘গৃহস্থালিতে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে অপচয় করা হয়। গ্যাস সংযোগ বন্ধ করতে পারলে সেটাই হতো সঠিক সিদ্ধান্ত। যেখানে শিল্প-কারখানা পর্যাপ্ত গ্যাস পাচ্ছে না, সেখানে বাসাবাড়িতে নতুন সংযোগ দেওয়া মানে অপচয় বাড়ানো। এ...
    ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুতের মূল্য না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্ন্তবর্তী সরকার। সোমবার (২ জুন) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তব্যে এই তথ্য জানান। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‍“নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনীতিকে সচল রাখতে জ্বালানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং একইসাথে তা যথাসম্ভব সাশ্রয়ী রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে নীতিগতভাবে আমরা বিদ্যুতের মূল্য আপাতত; না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ খাতে প্রদত্ত ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিগুলোও পর্যালোচনা করছি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় কমাতে এনার্জি অডিট করার উদ্যোগ নিয়েছি।” আরো পড়ুন: বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ বাজেটে...
    অন্তর্বর্তী সরকার আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন। আজ দুপুর ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তব্য দেন। সংসদ না থাকায় এবারের ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়েছে। বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনীতিকে সচল রাখতে জ্বালানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং একইসঙ্গে তা যথাসম্ভব সাশ্রয়ী রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে নীতিগতভাবে আমরা বিদ্যুতের মূল্য আপাতত; না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতে প্রদত্ত ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিগুলোও পর্যালোচনা করছি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় কমাতে এনার্জি অডিট করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ বছরের মধ্যেই...
    দেশে গ্যাসের উৎপাদন নিয়মিত কমছে। ঘাটতি মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়েও পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না। চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ তেমন বাড়ছে না। ফলে গ্যাস সরবরাহের সংকট কাটছেই না। বসিয়ে রাখতে হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা। গ্যাস না পেয়ে বিতরণ সংস্থাগুলোতে নিয়মিত অভিযোগ করছেন আবাসিক ও শিল্প খাতের গ্রাহকেরা।বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, বর্তমানে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে রেশনিং করে (এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়ানো) পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। দিনে এখন সরবরাহ হচ্ছে গড়ে ২৭০ কোটি ঘনফুট। বিদ্যুৎ খাতে কমিয়ে সম্প্রতি শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন বাড়াতে কূপ খননে জোর দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও এতে শিগগিরই উৎপাদন বৃদ্ধির তেমন সম্ভাবনা নেই। নতুন তিনটি কূপ থেকে...
    গত বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে শিল্পে ২১ শতাংশ বাড়তি গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শিল্পে স্বাভাবিকের পাশাপাশি দৈনিক আরও ১৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করা হবে। পেট্রোবাংলার উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। গ্যাস সংকটে দেশে শিল্প উৎপাদনে ধস নেমেছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের মধ্যে সরবরাহ বাড়ানোর এ খবর এলো। গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, পর্যাপ্ত গ্যাস না পেলে দেশে দুর্ভিক্ষ হতে পারে।  জ্বালানি বিভাগ বলছে, গত বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে দিনে গড়ে গ্যা স সরবরাহ হয়েছে ৮২ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট। এবার গড়ে সরবরাহ করা হয়েছে ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট। এর মধ্যে  গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি...
    শিল্পে গ্যাস সংকট চরমে দাবি করে ব্যবসায়ীদের দুর্ভিক্ষের শঙ্কা প্রকাশ করার একদিন পরই এ বিষয়ে ভিন্ন তথ্য দিলো মন্ত্রণলায়। গত বছরের তুলনায় শিল্প খাতে ২১ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ বেশি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।   সোমবার (২৬ মে) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ তেল, গ‍্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ব‍্যাখ‍্যা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে পাঠিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, গত বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দিনে গড়ে গ‍্যাস সরবরাহ হয়েছে ৮২ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট। এবার গড়ে সরবরাহ করা হয়েছে ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট। তবে ধীরে ধীরে সরবরাহ আরো বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ‍্যে গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরবরাহ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। গত...
    দেশে কয়েক বছর ধরেই গ‍্যাস সরবরাহে সংকট চলছে। বিভিন্ন সময় তাই এক খাতে কমিয়ে আরেক খাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে (রেশনিং)। গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ‍্যুৎ খাতে সরবরাহ বাড়লে অন‍্য খাতে কমে যায়। এর মধ‍্যেও গত বছরের তুলনায় এবার শিল্পে বাড়তি গ‍্যাস সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।আজ সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বাড়তি গ‍্যাস সরবরাহের কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় এবারের প্রথম চার মাসে শিল্পে ২১ শতাংশ বাড়তি গ‍্যাস সরবরার করা হয়েছে।জ্বালানি বিভাগ বলছে, গত বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দিনে গড়ে গ‍্যাস সরবরাহ হয়েছে ৮২ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট। এবার গড়ে সরবরাহ করা হয়েছে ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট। তবে ধীরে ধীরে সরবরাহ...
    সংকট কাটাতে গত ৭ মে শিল্পে অতিরিক্ত ২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। সপ্তাহ পেরোলেও সংকটের তেমন উন্নতি হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্যাস সরবরাহ খুব একটা বাড়েনি। ভোগান্তি আগের মতো রয়ে গেছে। ২৫ কোটি ঘনফুটের বিপরীতে মিলছে মাত্র চার থেকে পাঁচ কোটি ঘনফুট গ্যাস।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্যাস সংকটের কারণে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ার অধিকাংশ পোশাক কারখানা দিনের বড় একটা সময় বন্ধ থাকছে। এর ফলে উৎপাদনে ধস নেমেছে। বিদেশি ক্রেতাদের পণ্য সময়মতো সরবরাহ করাতে পারছেন না শিল্প উদ্যোক্তারা। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানি আয়। আগামী ঈদে সময়মতো শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। লোকসান ঠেকাতে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্যাস সংকটে ঝুঁকিতে পড়েছে বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। সমস্যার সমাধান চেয়ে...
    শিল্প খাতে বিশেষত গ্যাসের সংকটজনিত কারণে যেই ঝুঁকি সৃষ্টি হইয়াছে, উহা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুধবার প্রকাশিত সমকালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেবল তৈয়ারি পোশাক খাতেই গ্যাস মিলিতেছে চাহিদার ৪০ শতাংশেরও কম। ইহার ফলে এই খাতের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে রহিয়াছে। কারখানার চাকা ধুঁকিয়া ধুঁকিয়া ঘুরিবার কারণে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাইতেছে। ব্যয় পোষাইতে না পারিয়া অনেক কারখানা বন্ধ হইয়া গিয়াছে। রপ্তানি আদেশ পালনে বিলম্ব হইবার কারণে বাতিল হইতেছে বহু আদেশ। হ্রাস পাইতেছে রপ্তানি আয়। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলিয়াছেন, গত ফেব্রুয়ারি হইতে এপ্রিলের মধ্যে তিতাস গ্যাস প্রতিদিন শিল্প খাতে ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হ্রাস করিয়াছে। এহেন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকিলে বস্ত্রকলগুলির উৎপাদন আরও হ্রাস পাইয়া একসময় বন্ধ হইয়াও যাইতে পারে। ইস্পাত কারখানাগুলি দিবসে গ্যাসের চাপ...
    শিল্পে সংকট কাটিয়ে উঠতে এ খাতে বাড়তি ২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, শিল্পে বাড়তি এই গ্যাস সরবরাহ করা হবে বাড়তি আমদানি ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহার কিছুটা কমিয়ে। আজ বুধবার সচিবালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান জ্বালানি উপদেষ্টা। ব্রিফিংকালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, জ্বালানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, নিট পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের...
    শিল্প‌ সংকট কাটা‌তে বাড়তি ২৫ কােটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছে জ্বালানি বিভাগ। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের বরাদ্দ থে‌কে ১০ কোটি এবং বাড়তি এলএনজি আমদা‌নি করে ১০ কো‌টি ঘনফুট গ্যাস শি‌ল্পে দেওয়া হবে। বুধবার স‌চিবাল‌য়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণাল‌য়ের স‌ম্মেলন ক‌ক্ষে ব্যবসায়ীদের স‌ঙ্গে সভা শে‌ষে এই তথ্য জা‌নি‌য়ে‌ছেন জ্বালা‌নি উপ‌দেষ্টা ফাওজুল ক‌বির খান। বিস্তারিত আসছে...  
    শিল্প‌ সংকট কাটা‌তে বাড়তি ২৫ কােটি  ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছে জ্বালানি বিভাগ । এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের বরাদ্দ থে‌কে ১০ কোটি এবং বাড়তি এলএনজি আমদা‌নি করে ১০ কো‌টি ঘনফুট গ্যাস শি‌ল্পে দেওয়া হবে। বুধবার স‌চিবাল‌য়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণাল‌য়ের স‌ম্মেলন ক‌ক্ষে ব্যবসায়ীদের স‌ঙ্গে সভা শে‌ষে এই তথ্য জা‌নি‌য়ে‌ছেন জ্বালা‌নি উপ‌দেষ্টা ফাওজুল ক‌বির খান। বিস্তারিত আসছে...  
    গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার পরও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি। তারা মাটির নিচে থাকা গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করে জ্বালানি খাতকে আমদানিনির্ভর করার পাশাপাশি গোষ্ঠীবিশেষকে মোটা অঙ্কের কমিশন–বাণিজ্য করার সুযোগ দিয়েছিল।অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে টেকসই কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা নেই। বরং তাদের নেওয়া কর্মসূচিতেও জন–অসন্তোষ প্রশমনের রাজনৈতিক প্রয়াস লক্ষ করা যাচ্ছে।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবারের গ্রীষ্মে লোডশেডিং সীমিত রাখার কথা বলেছেন। সেটা যদি গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে করা হয়, দেশবাসী স্বাগতই জানাবে। সরকার শিল্প খাতে গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে বাসাবাড়ি বা অন্য খাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে সমস্যা আরও বাড়বে। শিল্প খাতে...
    বস্ত্রকলগুলোতে গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এ খাতের শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে লেখা এক চিঠিতে গতকাল রোববার এ আহ্বান জানান সংগঠনের সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ খাতে  বাড়িয়েছে। এ কারণে নোমান গ্রুপের ২৮টি কারখানার অধিকাংশেরই উৎপাদন প্রায় বন্ধ। গ্রুপের বাকি কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্নকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস সংকটের কারণে মিলগুলো কাঙ্খিত উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। এ কারণে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের বস্ত্র সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বস্ত্রকলগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। পেট্রোবাংলার ওয়েবসাইট থেকে তিতাসের গ্যাস সরবরাহের একটি চিত্র তুলে ধরা হয় চিঠিতে। এতে দেখা যায়,...
    গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা না গেলে লোডশেডিং দিতে হয়। এবার লোডশেডিং সীমিত রাখার চেষ্টা করছে সরকার। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। এই উৎপাদন ধরে রাখতে বিদ্যুৎ খাতে বাড়ানো হয়েছে গ্যাস সরবরাহ। কমানো হয়েছে শিল্প ও আবাসিক খাতের সরবরাহ।বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে মোটামুটি চাহিদা মেটানো যায়। রেশনিং করে (এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়ানো) পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। এখন সরবরাহ হচ্ছে ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে ১০৫ কোটি ঘনফুট যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয়। বিদ্যুৎ খাত এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তাই আবাসিক ও শিল্প গ্রাহকের গ্যাস–সংকট বেড়েছে।বিদ্যুৎ খাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এতে কিছুটা ঘাটতি তৈরি...
    দেশে ছোট-বড় ইস্পাত কারখানা অর্ধশত। এর ৬২ শতাংশ চট্টগ্রামে। শুধু ইস্পাত নয়; গার্মেন্ট সেক্টরেও ঢাকার পরে অবস্থান চট্টগ্রামের। সংকটে পড়ে গত সাত মাসে এসব কারখানার ৫০টি বন্ধ হয়ে গেছে। আর বিনিয়োগের পথে থাকা শতাধিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম থমকে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট এবং দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে শিল্পকারখানায়; বিশেষত টেক্সটাইল, সিরামিক ও ইস্পাত কারখানা। এগুলো গ্যাসনির্ভর। তাই গ্যাসের সরবরাহ ঠিকমতো না পাওয়া, কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় গ্যাসের চাপ না পাওয়া এবং দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  ২০২৩ সালে শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ১৭৮ শতাংশ। চলতি মাসে (১৩ এপ্রিল) নতুন শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম আরও ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, এতে নতুন বিনিয়োগকারীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি পুরোনো...
    মার্চে তাপমাত্রা কম থাকলেও কয়েক দিন ধরে বাড়ছে গরম। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এপ্রিলে দেশজুড়ে বয়ে যেতে পারে একাধিক তাপপ্রবাহ। এই সময়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রমজানে লোডশেডিং করতে হয়নি। গরম বাড়তে থাকায় সামনের দিনে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হবে। অর্থ সংকটে চাহিদা অনুসারে জ্বালানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে নাস্তানাবুদ হতে হবে গরমে। ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যানও। গত বছর এপ্রিলের তাপমাত্রা ছিল দেশে ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এবারও ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা কম। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে ১১ জেলায়। বুধবারও রাজশাহী বিভাগের পাশাপাশি দিনাজপুর, সৈয়দপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এপ্রিলে রয়েছে মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহের আভাসও।  বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন সক্ষমতা ২৭...
    গ্যাসের ঘাটতি দিনে প্রায় ১৩৫ কোটি ঘনফুট। গ্যাস-স্বল্পতায় সবচেয়ে বেশি ধুঁকছে শিল্প খাত। এখন চাহিদার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম গ্যাস পাচ্ছে শিল্পকারখানা। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলে এই সংকট দিন দিন বাড়ছেই। এতে ছেদ পড়ছে উৎপাদনে। বন্ধ হয়েছে শতাধিক কারখানা। অনেকটি বন্ধের পথে। বাধ্য হয়ে চলছে শ্রমিক ছাঁটাই। বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকরা নানা দাবিতে প্রায় দিনই সড়ক অবরোধ, ভাঙচুরসহ বিক্ষোভ করছেন। উৎপাদনে ধাক্কা লাগায় কমছে পণ্য রপ্তানি, বিদেশ থেকে বাড়ছে কাঁচামাল আমদানি। ব্যবসায়ীরা জানান, ভোগান্তি এমন পর্যায়ে ঠেকেছে, কারখানা চালু রাখার চেয়ে বন্ধ রাখলেই লাভ। বারবার শিপমেন্ট বাতিল করতে হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন কারখানার গ্যাসের দর দ্বিগুণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়লে নতুন বিনিয়োগ আসবে না। জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, সহসাই গ্যাস সংকট দূর হবে না। আগে দেশীয়...
    বিনিয়োগসংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ট্রাকোর পরিচালনা পর্ষদ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইন্ট্রাকো অটোমোবাইলসের একটি সিএনজি স্টেশন থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়া হবে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুসারে, সিএনজি স্টশনের জমির মালিকের সঙ্গে লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই বাস্তবতায় কোম্পানিটি মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই সিএনজি স্টেশন আর পরিচালনা করতে চায় না। এই বাস্তবতায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইন্ট্রাকো অটোমোবাইলসের বিনিয়োগ ভোলা নন–পাইপ গ্যাসলাইন ইউনিটে সরিয়ে নেওয়া হবে।বিষয়টি হলো, গত সরকারের সময় ভোলা থেকে সিএনজি আকারে প্রতিদিন পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরিবহনের দায়িত্ব পায় ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। প্রথম পর্যায়ে দৈনিক ৫ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ দিয়ে শুরু করে ইন্ট্রাকো ধীরে ধীরে দৈনিক ২৫ মিলিয়ন গ্যাসে উন্নীত করতে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত অক্টোবরের...
    যখন গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট বিশেষ কোনো খাতে থাকে, অন্য খাতে সরবরাহ কিছুটা কমিয়ে সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু সংকটটা সব খাতে বিস্তৃত থাকলে আর সামাল দেওয়ার সুযোগ থাকে না। বহু বছর ধরেই দেশে গ্যাসের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে এক খাতে সরবরাহ কমিয়ে অন্য খাতে বাড়ানোর কৌশল নিয়েছিল সরকার। বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে কোনো হিসাব-নিকাশই মিলছে না।বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এখন সরবরাহ হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৬৫ কোটি ঘনফুট। পবিত্র রমজান মাসে এটি বেড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট হতে পারে। শীতের মৌসুমে বাসাবাড়ি ও দাপ্তরিক কাজে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় শিল্প খাতে সরবরাহ কিছুটা বাড়ানো গিয়েছিল। কিন্তু গরম শুরু হতেই বাসাবাড়ি ও সরকারি–বেসরকারি দপ্তরে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে...
    দেশে গ্যাসের উৎপাদন টানা কমছে। আমদানি করেও চাহিদামতো সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তাই রেশনিং করে (এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়ানো) পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে বিদ্যুৎ ও শিল্প খাত। এতে আবাসিক খাতের অনেক গ্রাহক দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাসেও ভোগাতে পারে রান্নার চুলা। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে মোটামুটি চাহিদা মেটানো যায়। এখন সরবরাহ হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৬৫ কোটি ঘনফুট। রমজান মাসে এটি বেড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট হতে পারে। বিগত বছরে একই সময়ে গ্যাসের সরবরাহ প্রায় একই পরিমাণ ছিল। তবে এবার বিদ্যুৎ খাতে গত বছরের চেয়ে বাড়তি সরবরাহ করা হবে।পেট্রোবাংলার...
    বাড়তি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন দফায় গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে গত আওয়ামী লীগ সরকার। তবে আমদানি হয়েছে কম, এতে বাড়তি দাম দিয়েও গ্যাস পাননি গ্রাহকেরা। এখন এক বছরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ আমদানির কথা বলে শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম বাড়াতেই আমদানির অবাস্তব আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।দেশে দুটি উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে দেশি গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন করে সরবরাহ করা হয় ৭৫ শতাংশ। আর ২৫ শতাংশ আসে আমদানি করা এলএনজি থেকে। দিনে সর্বোচ্চ ১১০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের অবকাঠামো আছে দেশে। যদিও কারিগরি কারণে পুরোটা ব্যবহার করা যায় না। এটি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১০৫ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ করা সম্ভব।দিনে গড়ে ৮৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করার কথা বলে ২০১৯ সালে গ্যাসের দাম বাড়ানো...
    এবার গরমের সময় দেশে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের এই ঘাটতি মেটাতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গণি রোডের বিদ্যুৎ ভবনে পবিত্র রমজান মাস ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির। তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে আমদানি করা গ্যাসের ওপর নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা করা হবে। এলএনজি থেকে এখন দিনে ৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। রমজানে তা ৩০ কোটি ঘনফুট বাড়িয়ে ১২০ কোটি ঘনফুট দেওয়া হবে। বাড়তি গ্যাস দিতে পেট্রোবাংলাকে বলা হয়েছে।আসন্ন রমজানে ১৫...
    বছরে ৫০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে মার্কিন কোম্পানি আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে নন-বাইন্ডিং চু‌ক্তি ক‌রে‌ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এলএন‌জি আমদা‌নিকারক পে‌ট্রোবাংলা এ সম্প‌র্কে অব‌হিত নয়। তবে জ্বালা‌নি বিভাগ মনে করছে এই চুক্তির ফলে কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়নি।   এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালা‌নির বি‌শেষ বিধান বাতি‌লের পর টেন্ডার ছাড়া চুক্তি করা হলো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের মতোই হয়ে গেল বিষয়টি। এতে কোনো স্বচ্ছতা থাকল না। গতকাল শ‌নিবার বিডার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং আর্জেন্ট এলএলসির চেয়ারম্যান ও সিইও জনাথন ব্যাস এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্জেন্ট এলএনজি বছরে আড়াই কোটি...
    বছরে ৫০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে মার্কিন কোম্পানি আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে নন-বাইন্ডিং চু‌ক্তি ক‌রে‌ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এলএন‌জি আমদা‌নিকারক পে‌ট্রোবাংলা এ সম্প‌র্কে অব‌হিত নয়। তবে জ্বালা‌নি বিভাগ মনে করছে এই চুক্তির ফলে কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়নি।   এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালা‌নির বি‌শেষ বিধান বাতি‌লের পর টেন্ডার ছাড়া চুক্তি করা হলো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের মতোই হয়ে গেল বিষয়টি। এতে কোনো স্বচ্ছতা থাকল না। গতকাল শ‌নিবার বিডার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং আর্জেন্ট এলএলসির চেয়ারম্যান ও সিইও জনাথন ব্যাস এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্জেন্ট এলএনজি বছরে আড়াই কোটি...
    বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধানে বিদেশি তৈল-গ্যাস কোম্পানি তথা আইওসিসমূহের অনাগ্রহ সম্পর্কে বুধবার সমকাল যেই সংবাদ দিয়াছে, উহা শুধু হতাশাজনক নহে; উদ্বেগজনকও বটে। প্রতিবেদনমতে, অনেক পথ পার হইয়া বঙ্গোপসাগরে তৈল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে গত মার্চে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করিয়াছিল পেট্রোবাংলা। সাতটি বিদেশি আইওসি দরপত্রের নথি ক্রয়ও করিয়াছিল। দরপত্র জমা প্রদানের সময়সীমা গত বৎসরের সেপ্টেম্বর হইতে বর্ধিত করিয়া ডিসেম্বর নির্ধারণ করিবার পরও কেহ কোনো প্রস্তাব জমা দেয় নাই। উপরন্তু, এই অনাগ্রহের কারণ জানিতে চাহিয়া সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলিকে প্রেরিত চিঠিরও উত্তর মিলে নাই। স্থলভাগে তৈল-গ্যাস প্রাপ্তির নূতন সম্ভাবনা কম থাকায় দেশের গ্যাস সংকট সমাধানের অন্যতম ভরসা হিসাবে দেখা হয় বঙ্গোপসাগরকে। দর প্রক্রিয়ায় কোনো বিদেশি কোম্পানির অংশগ্রহণ না করা তাই দেশের জ্বালানি খাতের জন্য দুঃসংবাদ। ইহার ফলে একদিকে বিদ্যমান গ্যাস ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পাইবে,...
    যেখানে দেশে গ্যাসের চাহিদা দিনে ৩৮০ কোটি ঘনফুট, সেখানে ২৫০ কোটি ঘনফুট দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও অন্তর্বর্তী সরকার জোড়াতালি দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছে, যদিও তার সফলতা নিয়ে সংশয় আছে।মানুষ এখন দ্বিমুখী সংকটে আছে। একদিকে গ্যাসের সরবরাহ কম, অন্যদিকে নতুন শিল্পকারখানায় দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে। এটি বৈষম্যমূলক প্রস্তাব। পুরোনো শিল্পের সঙ্গে নতুন শিল্প প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। এতে বিনিয়োগে উৎসাহ কমে যাবে। ইতিমধ্যে সরকার যে ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর বাড়িয়ে দিয়েছে, তা জনজীবনে প্রভাব ফেলবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম আগে থেকেই চড়া ছিল, ভ্যাট বাড়ানোর পর আরও অনেক পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যাবে।মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, কলাবাগান, উত্তরাসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ নেই।...
    রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের ব্যাপক সংকটে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। অনেক জায়গায় দিনের বেলায় গ্যাস থাকছে না। রান্নার চুলা জ্বালাতে রাতের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। প্রয়োজনীয় গ্যাস পাচ্ছেন না শিল্পের গ্রাহকেরাও। ফলে রপ্তানিমুখী কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।সাধারণত শীতের সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। এতে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা কমে যায়। ফলে শিল্প, আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এবার গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন টানা কমছে। ফলে শীতেও গ্যাস–সংকট ভোগাচ্ছে গ্রাহকদের। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, সামনে এটি আরও ভোগাবে।দিনে এখন গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হলে পরিস্থিতি সামলানো যায়। তবে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫০ কোটি ঘনফুট।দেশে একসময় দিনে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হতো।...
    ঢাকা শহরের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা গ্যাস-সংকট, যা সাম্প্রতিক সময়ে আরও গুরুতর আকার ধারণ করেছে। রাজধানীর মিরপুর, বাসাবো, রামপুরা, খিলগাঁও, বনশ্রী, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, উত্তরাসহ অনেক এলাকায় প্রতিদিনই গ্যাসের অভাব দেখা দিচ্ছে। দিনের বেশির ভাগ সময়ে গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় নগরবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।সকাল ও সন্ধ্যায় গ্যাসের চাপ এতটাই কম থাকে যে অনেক পরিবারকে চুলা জ্বালানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ-চালিত চুলা বা এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করছেন। কিন্তু সেটাও আর্থিকভাবে অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার অনেক এলাকায় গভীর রাতে গ্যাস আসে, যা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। ফলে বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে রাতেই রান্নার কাজ সারছেন। এ ছাড়া শিল্পকারখানার উৎপাদন এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।গ্যাসের এই সংকটের প্রধান...
۱