Samakal:
2025-05-08@23:00:37 GMT

দ্রুত কার্যকর সমাধান চাই

Published: 8th, May 2025 GMT

দ্রুত কার্যকর সমাধান চাই

শিল্প খাতে বিশেষত গ্যাসের সংকটজনিত কারণে যেই ঝুঁকি সৃষ্টি হইয়াছে, উহা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুধবার প্রকাশিত সমকালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেবল তৈয়ারি পোশাক খাতেই গ্যাস মিলিতেছে চাহিদার ৪০ শতাংশেরও কম। ইহার ফলে এই খাতের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে রহিয়াছে। কারখানার চাকা ধুঁকিয়া ধুঁকিয়া ঘুরিবার কারণে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাইতেছে। ব্যয় পোষাইতে না পারিয়া অনেক কারখানা বন্ধ হইয়া গিয়াছে। রপ্তানি আদেশ পালনে বিলম্ব হইবার কারণে বাতিল হইতেছে বহু আদেশ। হ্রাস পাইতেছে রপ্তানি আয়। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলিয়াছেন, গত ফেব্রুয়ারি হইতে এপ্রিলের মধ্যে তিতাস গ্যাস প্রতিদিন শিল্প খাতে ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হ্রাস করিয়াছে। এহেন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকিলে বস্ত্রকলগুলির উৎপাদন আরও হ্রাস পাইয়া একসময় বন্ধ হইয়াও যাইতে পারে। ইস্পাত কারখানাগুলি দিবসে গ্যাসের চাপ না থাকায় চলিতেছে রাত্রিকালে। ইহাতে ব্যয় দাঁড়াইয়াছে দেড় হইতে দ্বিগুণ। বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি ও মুন্নু সিরামিকের ভাইস চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম বলিয়াছেন, এক বৎসরের অধিক কাল ধরিয়া উক্ত খাতেও অনুরূপ ভয়াবহ পরিস্থিতি চলমান। খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পেও উৎপাদন ভয়াবহরূপে ব্যাহত হইতেছে। বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকিয়া থাকিতে ডিজেল ব্যবহার করিয়া উৎপাদন বহাল রাখিতে গিয়া ব্যয় বৃদ্ধির চাপ উদ্বেগজনক পর্যায়ে। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় শিল্পে নূতন গ্যাস সংযোগ প্রায় বন্ধ হইয়া রহিয়াছে। পুরাতন কারখানায় লোড বৃদ্ধির অনুমতিও দুর্লভ হইয়া পড়িয়াছে। মোদ্দাকথা, বিনিয়োগে স্থবিরতা নামিয়া আসিয়াছে, যাহা কর্মসংস্থান-প্রত্যাশীদের জন্য আদৌ সুসংবাদ নহে। উহার ধারাবাহিকতায় বেকারত্ব বৃদ্ধি পাইলে নূতন করিয়া সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা যে অবশ্যম্ভাবী, তাহা বুঝিতে বিশেষজ্ঞ হইতে হয় না।

সত্য, এহেন গ্যাস সংকট রজনীকালেই সৃষ্টি হয় নাই। অন্তর্বর্তী সরকারের উহা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। বিগত সরকারসমূহের ভ্রান্ত নীতির কারণে কয়েক বৎসর ধরিয়াই দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন হ্রাসমান। দেশে এখন দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। মঙ্গলবার পেট্রোবাংলা সরবরাহ করিয়াছে ২৭২ কোটি ঘনফুট গ্যাস। তন্মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলি হইতে সরবরাহ হইয়াছে ১৮৮ কোটি ঘনফুট। এলএনজি আমদানি করিয়া ঘাটতি মিটাইবার চেষ্টা হইলেও আন্তর্জাতিক বাজারে বিবিধ কারণে ইহার মূল্যবৃদ্ধি এবং তৎসহিত ডলার সংকট সেই সকল চেষ্টাকে ব্যর্থ করিয়া দিয়াছে। আমদানীকৃত এলএনজি হইতে প্রত্যহ গড়ে ৭৫-৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যায়। তবে ইহা জানাইয়া রাখা প্রয়োজন, সরকার এক প্রকার এধার-কা মাল ওধার এবং ওধার-কা মাল এধার করিয়া গ্যাস সংকট মোকাবিলায় সচেষ্ট। এতদিন শিল্পে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস করিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করিয়াছিল। এখন শিল্প মালিকদের চাপে বিদ্যুৎ খাতকে বঞ্চিত করিয়া শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে। কিন্তু প্রথমত, ইহাতেও শিল্পের গ্যাস সংকটের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সুরাহা হইবে বলিয়া মনে হয় না। দ্বিতীয়ত, বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পাইলে হয় লোডশেডিং বর্তমান অপেক্ষা বৃদ্ধি করিতে হইবে, নতুবা জ্বালানি তৈল ব্যবহার করিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখিতে গেলে উৎপাদন ব্যয় অত্যধিক বৃদ্ধি পাইবে।

যদি বলা হয়, গ্যাসের ঘাটতি সরকারকে এক প্রকার উভয় সংকটে ফেলিয়াছে, তাহা হইলে নিশ্চয় ভুল হইবে না। অথচ আমাদের বিশ্বাস, যথাসময়ে উদ্যোগ লইলে এই সংকট সম্পূর্ণ নিরসন না হইলেও অন্তত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা যাইত। বিগত সরকারের সময় আমরা ডলার সংকটে জ্বালানি তৈল বা এলএনজি আমদানির জন্য আমদানিপত্র খুলিতে সমস্যা হইবার কথা প্রায়শ শুনিতাম। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ অহরহ বলিতেছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাইয়াছে, ডলারের প্রাপ্যতাও সহজ হইয়াছে। তবে কেন যথেষ্ট পরিমাণে এলএনজি আমদানি হইল না? যাহাই হউক, সরকারকে অবিলম্বে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে যেন শিল্পে গ্যাস সরবরাহ যথেষ্ট হয়, অধিকন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনও পর্যাপ্ত হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ য স সরবর হ সরবর হ হ ঘনফ ট আমদ ন সরক র হইয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের এপ্রিলে লোডশেডিং কেন কমল

দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এ মাসে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে যায়। তাই বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিতে হয়। গত দুই বছর এপ্রিলে বড় ধরনের লোডশেডিং দেখা গেছে। তবে এ বছরের এপ্রিলে তেমন লোডশেডিংয়ের মুখে পড়তে হয়নি।

এ বছরের এপ্রিলে লোডশেডিং কম হওয়ার পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন কিছুটা বাড়লেও লোডশেডিং কমাতে বড় ভূমিকা রেখেছে আবহাওয়া পরিস্থিতি।

গত বছরের এপ্রিলজুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল। গত বছরের এপ্রিলে দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে এবারের এপ্রিলে তা কমে আসে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অর্থাৎ এবারের এপ্রিলে গড় তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়ার কারণে কিছুটা সুবিধা পাওয়া গেছে। তবে এবার চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এপ্রিলের আগেই সব বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি রাখা হয়েছিল। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। সরবরাহব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া হয়। চাহিদা আরও বেশি হলে সে অনুসারে উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছিল।

গত এপ্রিলে তাপমাত্রা কম থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে স্বস্তিতে ছিল পিডিবি ও বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। পিডিবি ও পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির তথ্য বলছে, গত বছরের এপ্রিলের অধিকাংশ দিনে ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেও লোডশেডিং দিতে হয়েছে। এবারের এপ্রিলে একই রকম উৎপাদন করেই চাহিদা মেটানো গেছে।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় গত বছরের ৩০ এপ্রিল। সেদিন ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেও ৪৯৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং দিতে হয়। আর এ বছর সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় গত ২৪ এপ্রিল, ১৬ হাজার ৩৬৪ মেগাওয়াট। একই সময়ে লোডশেডিং হয়েছে ১৩৯ মেগাওয়াট। এ বছরের এপ্রিলে দিনে সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয়েছে ৪২৮ মেগাওয়াট। গত বছরের এপ্রিলে তা ছিল ৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত বছর টানা বেশ কিছু দিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। গত বছরের এপ্রিলে মোট ২০ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ এপ্রিল—৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবারের এপ্রিলে এক দিনের জন্যও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়নি। এবারের এপ্রিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ ও ২৫ তারিখে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরির পর টানা কয়েক বছর দেশে তেমন লোডশেডিং ছিল না। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি সংকট তৈরি হয়। জ্বালানির অভাবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারায় দেখা দেয় লোডশেডিং। এর পর থেকে গরম বাড়লেই লোডশেডিংয়ে ভুগতে হচ্ছিল সাধারণ ভোক্তাদের। গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে এবার বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আরও বাড়ে। তবু লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা ছিল। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়, গ্রীষ্ম মৌসুম লোডশেডিংমুক্ত রাখা যাবে না। তবে লোডশেডিং সীমিত রাখার চেষ্টা করা হবে।

এবার উৎপাদন তেমন বাড়েনি

গত বছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে অল্প করে লোডশেডিং শুরু হয়। মাসটির শেষ দিকে কোনো কোনো দিন তা বেড়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার মেগাওয়াটের মতো হয়। এরপর এপ্রিলে লোডশেডিং বাড়তে থাকে। কোনো কোনো দিন তা ৩ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যায়।

এবারের গ্রীষ্ম মৌসুম মোকাবিলায় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি নেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে জ্বালানি খাতের সব বকেয়া শোধ করা হয়। বিদ্যুৎ খাতের বকেয়াও কমিয়ে আনা হয়। এ ছাড়া আগের চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাও বাড়ে ১ হাজার মেগাওয়াট। গত বছরের এপ্রিলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ২৬ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার মেগাওয়াট।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ ভবনে গ্রীষ্মের প্রস্তুতি নিয়ে সভা হয়। সভা শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এবারের গ্রীষ্মে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে। বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ব্যবহারে সতর্ক করেন তিনি। পবিত্র রমজান ও গরমের মৌসুমে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন উপদেষ্টা। এ নিয়ে পরে পরিপত্রও জারি হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, এবারের গ্রীষ্ম সামনে রেখে এপ্রিলে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা ধরা হয়েছিল। যদিও এপ্রিলে সর্বোচ্চ চাহিদা পাওয়া যায় ১৭ হাজার মেগাওয়াট, তাও মাত্র এক দিন। এবারের এপ্রিলে অধিকাংশ দিনেই বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল ১৪ হাজার মেগাওয়াটের নিচে।

আরও পড়ুনএবার এপ্রিলে গরম কম ছিল, কারণ কী০৬ মে ২০২৫

পিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদনের তথ্য বলছে, গত বছরের এপ্রিলে ভারত থেকে আমদানিসহ মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৯ হাজার ২২৭ মিলিয়ন ইউনিট (কিলোওয়াট ঘণ্টা)। গত বছরের এপ্রিলে ঈদের ছুটি থাকায় এক সপ্তাহ বিদ্যুৎ চাহিদা কম ছিল, উৎপাদনও কম হয়। এবারের এপ্রিলে টানা ছুটি ছিল না। তাই একই হারে উৎপাদন হয়েছে। মোট উৎপাদন হয় ৯ হাজার ২৭৯ মিলিয়ন ইউনিট। আগের বছরের এপ্রিলের চেয়ে এবার উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫২ মিলিয়ন ইউনিট, যা এক শতাংশেরও কম। তার মানে উৎপাদন তেমন না বাড়িয়েও এবার পরিস্থিতি সামলানো গেছে।

বৈশাখী ঝড়বৃষ্টিতে ‘স্বস্তি’

পিডিবির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আবহাওয়ার তারতম্যের সঙ্গে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে-কমে। শীতের সময় দেশে বিদ্যুৎ চাহিদা ৮ থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াটে নেমে যায়। সে সময় লোডশেডিং করার প্রয়োজন হয় না। সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে গরমের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে হিমশিম খায় পিডিবি। এরপর বর্ষার কারণে জুন-জুলাইয়ে বিদ্যুৎ চাহিদা আবার কমে যায়। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। অক্টোবর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে তখন লোডশেডিংও কমে।

আরও পড়ুনদেশে ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গত বছরের এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল, তা ৭৬ বছরে হয়নি। তখন তাপপ্রবাহ হয়েছিল ১ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত—টানা ৩৫ দিন।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, গ্রীষ্মের উষ্ণতা প্রশমিত করে কালবৈশাখী ঝড়। এতে প্রবল বৃষ্টি হয়। ফলে কয়েক দিনের জন্য হলেও কমে যায় তাপ। তারপর আবার তাপ বাড়ে। গত বছর এপ্রিল-মে মাসে অস্বাভাবিক ও টানা তাপপ্রবাহের কারণ কালবৈশাখী কম হওয়া। সাধারণত এপ্রিল মাসে ৯ দিন ও মে মাসে ১৩ দিন কালবৈশাখী হয়। কিন্তু গত বছরের এপ্রিলে মাত্র ২টি, মে মাসে ৪টি কালবৈশাখী হয়েছিল। এ বছরের এপ্রিলে কালবৈশাখী হয়েছে অন্তত ৯টি। তা ছাড়া এপ্রিলজুড়ে প্রায়ই বৃষ্টির দেখা মিলেছে।

আরও পড়ুনদক্ষিণের সেই ১০টি জেলার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তবে কিছু জায়গায় লোডশেডিং ২৬ এপ্রিল ২০২৫

পিডিবি সূত্র বলছে, এবার এপ্রিলে বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল নাগালের মধ্যে, যা সহজেই পূরণ করতে পেরেছে পিডিবি। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ধরে রাখতে গিয়ে এবার আগের চেয়ে ভর্তুকি বেড়েছে সংস্থাটির।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বিদ্যুৎ উৎপাদন তেমন বাড়াতে হয়নি। অথচ ভর্তুকি বেড়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বিদ্যুৎ খরচ কমানোর বদলে বেড়ে গিয়ে তা আরও জটিলতা তৈরি করল এই খাতে।

আরও পড়ুনগরমে লোডশেডিং হলে প্রথমে ঢাকা শহরেই হবে১১ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনলোডশেডিং সহনীয় মাত্রায় থাকবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা২৬ এপ্রিল ২০২৫গ্রীষ্মে এবারও ভোগাতে পারে লোডশেডিংএত বিদ্যুৎকেন্দ্র, তবু কেন লোডশেডিং

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের শেয়ারবাজারে রক্তপাত হলেও গতকাল দিনশেষে বাড়ল ভারতের সূচক
  • অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: যশোরে ‘কাচ্ছি ভাই’সহ তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
  • এবারের এপ্রিলে লোডশেডিং কেন কমল
  • দাম কমেছে, সিঙ্গাপুর থেকে আসছে দুই কার্গো এলএনজি
  • গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন
  • দুই কার্গো এলএনজি ক্রয়ে অনুমোদন, ব্যয় ১১০৪ কোটি
  • এলএনজি: নতুন ঔপনিবেশিক হাতিয়ার?
  • ১১০৪ কোটি ৪১ লাখে দুই কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার