2025-06-16@16:06:46 GMT
إجمالي نتائج البحث: 19

«স শনজট»:

    গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগে শুধু স্নাতক পর্যায়ে পাঠদান চলছে। তবে আজো স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদান চালু হয়নি। এ বিভাগগুলো হলো- কৃষি, অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স। বর্তমানে কৃষি বিভাগে নবম ব্যাচ, ভেটেরিনারি বিভাগে সপ্তম ব্যাচ এবং ফিশারিজ বিভাগে সপ্তম ব্যাচে শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত। এর মধ্যে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কৃষি বিভাগে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু করা হলেও বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। ফিশারিজ ও ভেটেরিনারি বিভাগে এখনো স্নাতকোত্তর চালু করা সম্ভব হয়নি।  আরো পড়ুন: ঈদে জবি শিক্ষার্থীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন শিবিরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশংসা কুড়িয়েছে রাজশাহী কলেজ কৃষি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, “একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থার জন্য স্নাতকোত্তর থাকা জরুরি। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের উচ্চতর...
    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সংঘর্ষের পর ১০০ দিন পার হলেও সংকট কাটেনি। উপাচার্য না থাকায় চলমান অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে সেশনজট নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনা কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। পরে ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক মো. হজরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে শিক্ষকদের বিরোধিতার মুখে তিন সপ্তাহের মাথায় ২২ মে তিনি পদত্যাগ করেন।শিক্ষক সমিতি বলেছে, সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার না হলে তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন না।শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ...
    কোনোভাবেই কাটছে না খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অচলাবস্থা। ১০০ দিন ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থী। তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে আর্থিক কর্মকাণ্ড। ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কুয়েটের ১১ শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর থেকে কুয়েটে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১ মে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ক্লাসে যাননি শিক্ষকরা। এ ছাড়া ১৮ মে থেকে প্রশাসনিক কাজ বর্জন করে...
    সেশনজট নিরসনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শারীরিক শিক্ষা ও খেলাধুলা বিজ্ঞান বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী। শনিবার (২৪ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ আমরণ অনশন শুরু করেন তারা। অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিভাগটির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী আবু রাজিন মন্ডল, হাফসা কাউসার মিশু, তারেক মাহমুদ, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ জাভেদ ও বখতিয়ারুল ইসলাম, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মিফতাহ জাহান মীম, পাবত্রী রানী ও শ্রুতি রাজ চৌধুরী, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্বাধীন বসু মিয়া, ক্যাএসিং মারমা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোহাইমিন আনাম ও ওয়ালিউল্লাহ। আরো পড়ুন: আসনের দাবিতে চবির হলগেটে শিক্ষার্থীদের তালা নটরডেমের শিক্ষার্থী ধ্রুবর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি অনশনে শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি হলো- সেশনজট নিরসন ও সর্বোচ্চ চার মাসের ভেতরে ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করার মাধ্যমে সেমিস্টার শেষ করা; কমপক্ষে...
    জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চবি শাখার’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সুবিধা ও চাকসু নির্বাচনের দাবিসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। পরে চাকসু ঘুরে আবার জিরো পয়েন্ট এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এ সময় চবি ছাত্রশিবির ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের নেতারা বক্তব্য দেন। এর আগে গত বছরের আগস্টের পর চবিতে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তারা।  বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও এখানে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনা ও বৈষম্যের শিকার।...
    দীর্ঘ একযুগ পর প্রকাশ্যে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবির। এ সময় শতভাগ আবাসন, চাকসু নির্বাচন, ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ সাত দফা দাবি জানায় সংগঠনটি। সোমবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (চাকসু) থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন হয়ে শহীদ মিনার অতিক্রম করে জিরো পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। দীর্ঘদিন পর আয়োজিত এ মিছিলে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছেন শাখা শিবিরের অফিস সম্পাদক হাবিুল্লাহ খালেদ। আরো পড়ুন: গোলাপ শাহ মাজার মোড় অবরোধ করে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে রাবিতে মশাল মিছিল বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ‘শিবিরের অপর নাম, আদর্শের সংগ্রাম’, ‘এই ক্যাম্পাসের একক বীর, ইসলামী...
    একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার পঞ্চম দিনেও ক্লাসে ফেরেননি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। কবে থেকে ক্লাস শুরু হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না শিক্ষক, শিক্ষার্থী কিংবা প্রশাসনের কেউ। শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।  বৃহস্পতিবার সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাসরুমগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। শিক্ষকরা ক্লাসে না ফেরায় যাননি শিক্ষার্থীরা। ক্লাসরুমের চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ ও মেঝেতে ধুলা জমেছে। ক্যাম্পাসের সড়কগুলোয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসেননি। হলের শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করছেন। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীকে হলের সামনে আড্ডা দিতে দেখা যায়। প্রধান গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।  কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাহিদুল ইসলাম...
    শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার ৪র্থ দিনেও ক্লাসে যাননি তারা। এ অবস্থায় ক্লাস শুরু হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ১০/১৫ জন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন না। এছাড়া গত সোমবার তারা সিদ্ধান্ত নেন ৭ দিনের মধ্যে শাস্তি কার্যকর না হলে প্রশাসনিক কাজ থেকেও বিরত থাকবেন। এদিকে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় একাধিকবার ক্ষমা চেয়েছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষকরা ক্লাসে না ফেরায় বিপাকে পড়েছেন ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী। কুয়েটে আগে থেকেই প্রায় দেড় বছরের সেশনজট রয়েছে।...
    একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার তৃতীয় দিনেও ক্লাসে ফেরেননি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে কবে নাগাদ ক্লাস শুরু হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। পাশাপাশি সেশনজট বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী।  কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর কিছু শিক্ষার্থী ১০ থেকে ১৫ শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। জড়িতদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন না।  এদিকে, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এরই মধ্যে দুই দফা ক্ষমা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শিক্ষকরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। আগে থেকেই প্রায় দেড় বছরের সেশনজট রয়েছে। এর ওপর গত আড়াই মাস কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা...
    একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার তৃতীয় দিনেও ক্লাসে ফেরেননি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে কবে নাগাদ ক্লাস শুরু হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। পাশাপাশি সেশনজট বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী।  কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর কিছু শিক্ষার্থী ১০ থেকে ১৫ শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। জড়িতদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন না।  এদিকে, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এরই মধ্যে দুই দফা ক্ষমা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শিক্ষকরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। আগে থেকেই প্রায় দেড় বছরের সেশনজট রয়েছে। এর ওপর গত আড়াই মাস কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা...
    একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার তৃতীয় দিনেও ক্লাসে যাননি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। শিক্ষকদের লাঞ্চিতকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন তারা। শিক্ষকরা ক্লাসে না ফেরায় বিপাকে পড়েছেন সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাসরুমগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। শিক্ষকরা ক্লাসে না যাওয়ায় যাননি শিক্ষার্থীরা। হলের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করছেন। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীকে হলের সামনে আড্ডা দিতে ও ক্যাম্পাসের সড়কগুলোতে চলাচল করতে দেখা যায়। ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসেনি। প্রধান গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী কয়েকজন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। তারা এর বিচার দাবি করলেও কুয়েট...
    শিক্ষার্থী ও কুয়েট প্রশাসনের অনড় অবস্থানের কারণে সহসা কাটছে না খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অচলাবস্থা। সংকট নিরসনে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। প্রতিদিন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া শিক্ষক সমিতির নতুন আল্টিমেটামে আগামী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কুয়েট সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে দেড় শতাধিক জন আহত হন। ওই দিন কিছু উশৃঙ্খল ছাত্র উপাচার্যকে মারধর, গালাগাল ও গায়ে থুথু দেয় বলে উপাচার্যের অভিযোগ। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য হল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ১৩ এপ্রিল দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বন্ধ থাকা...
    ভর্তি পরীক্ষা তুমুল প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শুরু হয় স্বপ্নের পথচলা। কিন্তু সেই স্বপ্ন সেশনজটের কবলে পড়ে অনেক সময়ই রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সেশনজট শুধু একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনেই বিঘ্ন ঘটায় না, বরং এর প্রভাব পড়ে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও আর্থ-সামাজিক জীবনেও। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষা জীবন শেষ না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী কর্মজীবনে প্রবেশ করতে দেরি করে ফেলেন। ফলে বাড়ে মানসিক চাপ, আর্থিক অসন্তোষ, এমনকি আত্মহননের মতো চূড়ান্ত পরিণতির দিকেও ঠেলে দেয় অনেককে।  তবে এ বাস্তবতায় এক ভিন্নচিত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি)। দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সেশনজটে নাকাল, সেখানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সময়মতো শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছে এক স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান।   ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যেখানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের একাডেমিক কর্মকাণ্ড...
    উত্তাল হয়ে উঠেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাস। উপাচার্যকে অপসারণের দাবির পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা। উপাচার্যকে অপসারণ করা না হলে সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আর বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি না হলে ক্লাসে ফিরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। এদিকে গত প্রায় ২ মাস ধরে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাড়ছে সেশনজট।  কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কুয়েট ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা চত্বরে জড়ো হন একশ’র মতো শিক্ষার্থী। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের সময় দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগানো হয়।  শিক্ষার্থীরা বলেন, মঙ্গলবার তারা তালা ভেঙে ৬টি হলে উঠলেও কর্তৃপক্ষ খাবার, পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়নি। ২...
    দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণের প্রতিবাদ, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে দিনব্যাপী উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৬টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের এই আন্দোলনের ফলে সেশনজটে পড়তে হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। রবিবার (৯ মার্চ) ঢাবির আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়বে কি-না জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “ধর্ষণের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের একটি সংবেদনশীল বিষয়। যেসব বিভাগ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে, তাদের সেশনজটের শঙ্কা নেই।” তিনি বলেন, “যেকোন পরিস্থিতিতে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের শঙ্কায় পড়েন, তাহলে আমরা বেশ...
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো পূর্ণতা পায়নি। শ্রেণিকক্ষের সংকট, শিক্ষকের সংকট, আবাসন সমস্যা, ল্যাব ও গ্রন্থাগারের অপ্রতুলতা এবং গবেষণার অভাব—এসব সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।বিশেষ করে শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের খোলা মাঠে পাঠদান করতে হচ্ছে, যা শিক্ষার পরিবেশ ও মানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ছাড়া সেশনজটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এই সংকট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা হলো অবকাঠামোগত সংকট। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫টি বিভাগের জন্য মাত্র ৩৬টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে, যেখানে প্রয়োজন ৭৫টি। এ ছাড়া শিক্ষকসংকটও একটি বড় সমস্যা। ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ১৬৭ জন শিক্ষক রয়েছেন, যার মধ্যে অনেকে শিক্ষাছুটিতে আছেন। ফলে পাঠদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।...
    কীর্তনখোলা নদীর তীরে গড়ে তোলা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পার হলেও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ৭৫টি কক্ষ প্রয়োজন; কিন্তু আছে মাত্র ৩৬টি। কক্ষসংকটের কারণে অনেক সময় খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকসংকটের কারণে অধিকাংশ বিভাগে সেশনজট বাড়ছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ১৪ বছরেও পূর্ণাঙ্গতা পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও গড়ে ওঠেনি। নানা সংকটের মধ্যেই পড়াশোনা চালিয়ে নিতে হচ্ছে। আবাসন, পাঠদান কক্ষ, শিক্ষক, পরিবহন ও গ্রন্থাগারে বইয়ের সংকট প্রকট। এর মধ্যে বেশি ভোগাচ্ছে পাঠদান কক্ষসংকট। অবকাঠামোগত সংকটে শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একটি গুচ্ছ ভবনেই চলে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম। শিক্ষকদের অফিসকক্ষ, ল্যাব ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের কক্ষসংকট থাকায় বিভিন্ন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ার দশায় আছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান...
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৪ বছর পার হলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, বাড়ছে সেশনজট, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থমকে যাচ্ছে। উপাচার্যদের পদত্যাগ দাবিসহ নানা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় প্রত্যেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। এর মূলে রয়েছে শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্তৃত্বের লড়াই, ব্যক্তিস্বার্থ ও দলাদলি।সর্বশেষ উপাচার্য শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নাম করে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাসভবনে তালা দেওয়া, ফটক ভাঙচুরের ঘটনা কেবল একটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভ নয়; বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ব্যর্থতার প্রতিচিত্র। শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্বন্দ্বের কারণেই শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন এবং তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে আন্দোলনের দায়িত্ব।শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা, সেশনজট নিরসন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন...
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে সেশনজট, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা। ব্যাহত হচ্ছে অবকাঠামোসহ নানা উন্নয়নকাজ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরে যাঁরা উপাচার্য হয়েছেন, তাঁরা সবাই বিভিন্ন কারণে আন্দোলনের মুখে পড়েছেন। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বে শুরু হওয়া আন্দোলনে শিক্ষার্থীদেরও উসকে দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে মনোযোগ দিতে পারেননি উপাচার্যরা। বেশির ভাগ সময় অস্থিরতা সামলাতে ব্যয় হয়েছে তাঁদের। সর্বশেষ উপাচার্য শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবি করে দুই দফায় তাঁর কার্যালয় ও বাসভবনে তালা দেওয়ার পাশাপাশি বাসভবনের মূল ফটক ভাঙচুর করা হয়েছে।সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সব বিভাগের একাডেমিক অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একটি সভা ডেকেছিলেন সহ–উপাচার্য।...
۱