জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চবি শাখার’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সুবিধা ও চাকসু নির্বাচনের দাবিসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। পরে চাকসু ঘুরে আবার জিরো পয়েন্ট এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এ সময় চবি ছাত্রশিবির ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের নেতারা বক্তব্য দেন। এর আগে গত বছরের আগস্টের পর চবিতে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তারা। 

বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও এখানে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনা ও বৈষম্যের শিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট, অকার্যকর চাকসু, যাতায়াতের অভাব, আধুনিক শিক্ষা সুবিধার ঘাটতি এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা আজ ছাত্রজীবনের বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন যদি শতভাগ আবাসন সংকট ও সেশনজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে আমরা রাজপথ ছাড়ব না। সাত দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব, ইনশাআল্লাহ।’

সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হ্রদয় চন্দ্র তড়ুয়া ও ফরহাদ হোসেনের রক্তের উপর দিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। আমরা ভেবেছিলাম, এই প্রশাসন আমূল করবে। কিন্তু আমরা সেই ধরনের কোনো পরিবর্তন দেখছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লব ঘটেছিল, সেই ফ্যাসিস্ট চক্র এখনও ক্যাম্পাসে অবাধে চলাফেরা করছে। ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা এখনও শিক্ষকের চেয়ার দখল করে আছে, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এখন থেকে ক্যাম্পাসে যেখানেই আওয়ামী লীগ বা ফ্যাসিস্ট শক্তির উপস্থিতি দেখা যাবে, তাদের “যথাযথ আপ্যায়ন” করে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবি হলো:
১.

শতভাগ আবাসন নিশ্চিতকরণ ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ভাতা প্রদান।

২. সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সেশনজট নিরসন ও শিক্ষার আধুনিকায়ন।

৩. পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

৪. অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন।

৫. টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনঃনির্মাণ ও হলসমূহ সংস্কার।

৬. জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে নির্যাতনে জড়িতদের বহিষ্কার ও চাকরিচ্যুতি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ছ ল সম ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

সোনাক্ষী আর চুপ থাকতে পারলেন না

এরই মধ্যে জহির ইকবালের সঙ্গে সোনাক্ষী সিনহার বিয়ের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তারপরও কিছু মানুষ তাদের সম্পর্ক সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। ভিন্ন ধর্মে বিয়ের কারণে এখনও তীর্যক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে সোনাক্ষীকে। নেটিজেনদের অনেকে সামাজিকমাধ্যমে বলিউড অভিনেত্রীর এই বিয়ে নিয়ে প্রতিনিয়ত নানারকম মন্তব্য করে চলেছেন। এতদিন বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ধরে রেখেছিল অভিনেত্রী। কিন্তু এবার আর পারলেন না, রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়লেন।

 ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও আজকাল জানিয়েছে, মুসলিম ধর্মাবলম্বী অভিনেতা জহির ইকবালকে বিয়ের পর থেকেই সোনাক্ষী নেটিজেনদের তীর্যক মন্তব্যের শিকার হয়ে আসছেন। এমনকি পরিবারেও নাকি ভিন্ন ধর্মের এই বিয়ে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মেনে নিতে শুরু করেছেন। কিন্তু কিছু নিম্নরুচির মানুষ এ নিয়ে মন্তব্য করা ছাড়েনি। আর সেটি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এই বলিউড তারকা। 

এ নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী বলেছেন, সে ‘এখনও আমাদের দিকে নিম্নরুচির কিছু মন্তব্য ধেয়ে আসে। সারা দুনিয়ার লোকজন আমাদের ভিন্ন ধর্মের বিয়ে নিয়ে নানা কথা বলেছে। তার মধ্যেও আমি ও জহির নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছি। বাইরের লোকের কাছ থেকে আমাদের মান্যতার কোনো প্রয়োজন নেই।’ 

জহিরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সোনাক্ষী আরও বলেছেন, ‘আমরা জানি, আমাদের কাছে কী আছে। আমাদের মধ্যে যা রয়েছে, তার পুরোটাই খুব পবিত্র বলে আমরা মনে করি। আমাদের মধ্যে যা রয়েছে, সেটিকে আমরা রক্ষা করি যাবতীয় নেতিবাচকতা এড়িয়ে। আমরা আমাদের সম্পর্ককে উদযাপন করি, উপভোগ করি, খুব ভালোবাসি এবং তা গর্বের সঙ্গে দুনিয়ার কাছে প্রকাশ করি।’

জহিরের সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক থাকার পরে বিয়ে করেন সোনাক্ষী। তাদের সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্তকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। বিয়ে নিয়ে সোনাক্ষী এও বলেছেন, ‘আমরা ঠিক আমাদের মতো করেই বিয়েটা করেছি। ঠিক যেমন চেয়েছিলাম, সেভাবেই বিয়েটা করেছিলাম। পরিকল্পনা ছাড়াই সেদিন যে মুহূর্তগুলো বন্দি করা হয়েছিল, সেগুলি আমাদের কাছে খুবই বিশেষ রকমের।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বালিতে ফেরি ডুবে মৃত ৪, নিখোঁজ ৩০
  • চীন থেকে এলো ১৯ হাজার ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কম্বো কিট
  • অন্ধকারের হয়নি অবসান
  • বুলেটের আঘাত ছাপিয়ে যায় সহোদর হারানোর ব্যথায়
  • উদ্দেশ্য ভালো বলেই ঢাকা ব্যাংক সুনামের সঙ্গে টিকে আছে
  • সাগর-রুনিকে ঘিরে নির্মিত ‘অমীমাংসিত’ পেল ছাড়পত্র
  • সোনাক্ষী আর চুপ থাকতে পারলেন না
  • ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার দেড় হাজার নারী-কন্যাশিশু
  • জামায়াতের সঙ্গে জোট ও পিআরে একমত নুর
  • সোনারগাঁয়ের রাস্তার প্রশস্তকরণ কাজের পরিদর্শনে ইউএনও