একযুগ পর প্রকাশ্যে চবি শিবিরের বিক্ষোভ-সমাবেশ
Published: 19th, May 2025 GMT
দীর্ঘ একযুগ পর প্রকাশ্যে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবির। এ সময় শতভাগ আবাসন, চাকসু নির্বাচন, ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ সাত দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।
সোমবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (চাকসু) থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন হয়ে শহীদ মিনার অতিক্রম করে জিরো পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
দীর্ঘদিন পর আয়োজিত এ মিছিলে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছেন শাখা শিবিরের অফিস সম্পাদক হাবিুল্লাহ খালেদ।
আরো পড়ুন:
গোলাপ শাহ মাজার মোড় অবরোধ করে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ
সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে রাবিতে মশাল মিছিল
বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ‘শিবিরের অপর নাম, আদর্শের সংগ্রাম’, ‘এই ক্যাম্পাসের একক বীর, ইসলামী ছাত্রশিবির’, ‘আমার তোমার অধিকার, চাকসু চাকসু’, ‘জনে জনে খবর দে, সেশন জটের কবর দে’, ‘জুলাইয়ের প্রশাসন, দাও শতভাগ আবাসন’, ‘চবি শিবিরের কয় দফা, সাত দফা সাত দফা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, “ড.
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে রয়েছে। তারা আমার ভাই মুজাহিদ-মাসুদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মামুনকে জবাই করে এবং জোবায়েরকে গুলি করে হত্যা করেছে। তারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে। অতিদ্রুত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ক্যাম্পাস থেকে বের করতে হবে।”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “চবি শিবিরের সাত দফা শুধু আমাদের নয়, এগুলো প্রতিটি চবিয়ানদের প্রাণের দাবি। আমরা ভেবেছিলাম, জুলাইয়ের উপর আসা প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অধিকারগুলো পূরণ করবে। কিন্তু তারা কিছু কাজ করলেও বেশিরভাগই পূরণ করেননি। এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ ইব্রাহিম রনি এবং শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক খলীল আনোয়ার।
চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে; সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে; পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে; দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে।
অন্য দাবিগুলো হলো- জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে; বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ চ ত করত
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চায় ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরামর্শমূলক আলোচনা করার জন্য সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে পুনরায় চিঠি দিরেয়ছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারী ও অংশীজনদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
শনিবার (১৭ মে) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল পরামর্শমূলক আলোচনায় বসার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চিঠি ছিলেন সংগঠনটি সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে শাইনপুকুর সিরামিকস
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শমূলক আলোচনা করার জন্য সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে পুনরায় চিঠি প্রদানের বিষয়টি রাইজিংবিডি ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েসনের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র নুরুল ইসলাম মানিক।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর পূর্ববর্তী সরকারের শাসনামলে চরম নাজুক অবস্থায় ছিল দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু খুবই দুঃখজনক যে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের পর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, সেই প্রত্যাশা চরমভাবে হতাশায় পর্যবেশিত হয়েছে।দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মেরুদণ্ড পুঁজিবাজার আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারী ও অংশীজনের জীবন রক্ষার্থে আপনার সাথে পরামর্শমূলক আলোচনার জন্য অধীর আগ্রহ ও উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সাথে অপেক্ষমান বিনিয়োগকারীদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল আপনার দপ্তরে এ বিষয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায় পুনরায় আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম। আপনার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।
ঢাকা/এনটি/এসবি