রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ব্যতিক্রমী প্রার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মোর্শেদ খান। ৫১ বছর বয়সেও থেমে থাকেননি তিনি, উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন লেখাপড়া। এবারের রাকসু নির্বাচনে তিনি লড়ছেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে।

রাইজিংবিডির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আসন্ন রাকসু নির্বাচন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সংকট, নিজের অবস্থান ও ব্যক্তিগত লক্ষ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

আরো পড়ুন:

রাবি ছাত্রীদের নিয়ে ছাত্রদল নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে ইবিতে মানববন

সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ হচ্ছে: রাবি উপাচার্য

রাইজিংবিডি: আপনি ৫১ বছর বয়সে রাবির শিক্ষার্থী—এটা কীভাবে সম্ভব হলো?

শাহরিয়ার: আমি ২০০২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলাম। কিন্তু পারিবারিক কারণে শেষ বর্ষে গিয়ে আমাকে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়। এরপর প্রায় ১৮ বছর বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করেছি, চট্টগ্রাম ইপিজেডসহ নানা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি।

একসময় মনে হলো—স্বপ্ন তো থেমে থাকতে পারে না। তাই নতুন করে পড়াশোনা শুরু করি। ২০১৭ সালে এসএসসি, ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করি। তারপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হই।

রাইজিংবিডি: অনেকেই ভাবেন, এত বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসা কঠিন। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

শাহরিয়ার: সত্যি বলতে, সহজ ছিল না। তবে মানসিক শক্তি সবচেয়ে বড় বিষয়। আমি মনে করি, স্বপ্ন দেখার কোনো বয়স নেই। সহপাঠীরা আমাকে শুধু বন্ধু হিসেবেই নয়, অনুপ্রেরণা হিসেবেও দেখেন। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।

রাইজিংবিডি: এবার রাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন?

শাহরিয়ার: আমার ব্যাক্তিগত পরিচয় ও অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে মনোনয়ন নিয়েছি। ক্যাম্পাসের মোটামুটি সবাই আমাকে চেনে। সবার পরিচিত মুখ আমি। আমার ছোটভাই, বড়ভাইসহ হলের অনেকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তাদের কথাগুলো আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।

রাইজিংবিডি: পরিবারকে কি এই প্রার্থিতার কথা জানিয়েছেন?

শাহরিয়ার: না, এখনো জানাইনি। তবে সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে আজ হোক বা কাল, জেনে যাবে।

রাইজিংবিডি: আপনার চোখে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা গুলো কি কি?

শাহরিয়ার: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান যারা অধ্যয়নরত আছেন, তারা বেশিরভাগই গরিব পরিবার থেকে উঠে আসা। এজন্য তারা চায়, সঠিক সময়ে পড়াশোনা শেষ করে একটা চাকরি করতে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের কারণে তো সেটা হয়ে ওঠে না। আমাদের এখানে ১৮ মাসে বছর হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে পড়ে। এছাড়া যদি ডাইনিং এর কথা বলি বিশ্ববিদ্যালয় খাবারের মান দিনদিন অবনতি হচ্ছে। অথচ খাবারের দাম ঊর্ধ্ব গতিতে। এছাড়া আমাদের শিক্ষার্থীরা মেডিকেল থাকার পরও সেখান থেকে কোনো সুবিধা পায় না।

রাইজিংবিডি: নির্বাচন নিয়ে কতটা আশাবাদী?

শাহরিয়ার: নির্বাচনের তফসিল বারবার পরিবর্তন করার কারণে সবার মধ্যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, নির্বাচন হবে কি না। তবে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন বিতরণ শেষ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন হবে বলে আমি আশাবাদী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বড় ভাই, ছোট ভাই সবাই আমাকে চেনে, আশা করি তারা আমাকে নির্বাচিত করবে।

রাইজিংবিডি: নির্বাচিত হলে কি কি কাজ করবেন?

শাহরিয়ার: আমি যদি নির্বাচিত হই, সবার প্রথমে আমি সেশনজট নিয়ে কাজ করব। এছাড়া আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নয়নের চেষ্টা করব। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলের অবস্থা বেহাল। আমি চেষ্টা করব সর্বোচ্চটা দিয়ে এগুলো দ্রুত সমাধান করার। শিক্ষার্থীদের কোন কোন জায়গায় সমস্যা, সেটা ‍উদঘাটন করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী তালিকায় থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত এবং একই অভিযোগে ৩৩ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার বা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

ববির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সিন্ডিকেট সভা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভূমিকায় থাকা ইবির ১৯ জন শিক্ষক, ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ‘শাস্তি নির্ধারণ কমিটি’ করবেন উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

এদিকে একই অপরাধে জড়িত থাকায় ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। যাদের পড়াশোনা শেষ হয়েছে, সেই শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল করা হবে। আর যারা অধ্যয়নরত, তাদের বহিষ্কার করা হবে।

এর আগে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভূমিকায় অবতীর্ণ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিতকরণে গত ১৫ মার্চ আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। 

এই কমিটি প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ, বিভিন্ন তথ্যচিত্র, ভিডিও এবং পত্রিকার খবর পর্যালোচনা করে তালিকায় থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানবিরোধী এবং নিবর্তনমূলক কার্যকলাপের সংশ্লিষ্টতা পায়।

কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সর্বশেষ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় থাকা শিক্ষকরা হলেন: ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ও অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম আক্তারুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মিয়া রাশিদুজ্জামান।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনসহ আরো রয়েছেন, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল ও অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল হক, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন।

সাসপেন্ড হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকায় রয়েছেন প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেন খান ও আব্দুল হান্নান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট, একই দফতরের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম সেলিম, প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার ড. ইব্রাহীম হোসেন সোনা। 

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শাখা কর্মকর্তা উকীল উদ্দিনসহ তালিকায় নাম রয়েছে ফার্মেসি বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম (শিমুল), আইসিটি সেলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জে এম ইলিয়াস, অর্থ ও হিসাব বিভাগের শাখা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার (ফটোগ্রাফি) শেখ আবু সিদ্দিক রোকন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদুর রহমানের।

বহিষ্কার ও সদন বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের বিপুল খান, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের মেহেদী হাসান হাফিজ ও শাহীন আলম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের রতন রায়। 

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের মুন্সি কামরুল হাসান অনিকসহ তালিকায় রয়েছেন, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের হুসাইন মজুমদার, বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের তরিকুল ইসলাম।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের মৃদুল রাব্বী, ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের ফজলে রাব্বী, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শাকিল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিমুল খান, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের কামাল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মাসুদ রানা, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মেজবাহুল ইসলাম বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের তালিকায় রয়েছেন। 

সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের অনিক কুমার, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের আব্দুল আলিম, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বিজন রায়, শেখ সোহাগ ও শাওনও এই শাস্তি পেয়েছেন। 

জুলাই অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করায় শাস্তি পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের তানভীর ও শেখ সাদি, সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মাজহারুল ইসলাম, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের মনিরুল ইসলাম আসিফ, সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের মারুফ ইসলাম, চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের পিয়াস, বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের ফারহান লাবিব ধ্রুব, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের প্রাঞ্জল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের নাবিল আহমেদ ইমন।

ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের রাফিদ, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের আদনান আলি পাটোয়ারি, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের লিয়াফত ইসলাম রাকিব এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের ইমামুল মুক্তাকী শিমুলও শাস্তির তালিকায় রয়েছেন। 

এদিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে প্রকাশ্যে বিরোধিতাকারী হিসেবে এই ৬৩ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও তাদের উস্কানিদাতা এবং পেছন থেকে আন্দোলন দমনকারী অনেকেই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই অভিযোগ অভিযুক্তদেরও। তবে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলমান রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা/তানিম/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’