শিক্ষার্থীদের আবাসন-নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে ৩৩ দফার ইশতেহার দিল শিবির
Published: 8th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে ৩৩ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’। আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রশিবির জানায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর ভিত্তি করে ইশতেহারে ৯টি মূল পয়েন্টের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আবাসনসংকট নিরসন, নিরাপদ ও সবুজ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা, গবেষণা জোরদার, যাতায়াতব্যবস্থা উন্নত করা, সেশনজট নিরসন, নারীবান্ধব ক্যাম্পাস নির্মাণ, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ, দাপ্তরিক কাজের স্বয়ংক্রিয়করণ (অটোমেশন) এবং কল্যাণমূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।
সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো.
ইশতেহারে বলা হয়, আগামী ১২ মাসে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ কল্যাণে ৩৩টি সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে আবাসনসংকট নিরসন। বিদ্যমান হলগুলো সংস্কার, এক্সটেনশন ব্লক বৃদ্ধি ও নতুন টিনশেড নির্মাণের মাধ্যমে হলে অন্তত ১০ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি সিট বণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।
যাতায়াতব্যবস্থায় শাটল ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এতে শাটলের বগি বাড়ানো, প্ল্যাটফর্ম আধুনিকায়ন, শাটল ট্র্যাকার অ্যাপ চালু ও নগর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত দ্বিতীয় রেললাইন স্থাপন প্রকল্প ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের ভেতরে ই-কার বৃদ্ধি ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে শাটল বাস সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে। শিক্ষার্থীদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।
হলে খাবারের মান যাচাইয়ের স্কেল প্রবর্তন, ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার এবং হোটেল-বাজার তদারকি করে মান ও মূল্য নির্ধারণের পরিকল্পনাও রয়েছে ইশতেহারে। একাডেমিক জটিলতা নিরসনে সেশনজট দূরীকরণ ও ডিজিটাল একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নের উদ্যোগ ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি বিভাগে সময়মতো পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ, রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল ব্যবস্থায় সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করা হয়।
এ ছাড়া ইশতেহারে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি, নারীদের কমনরুমে শিশুর যত্নকেন্দ্র (চাইল্ডকেয়ার কর্নার) ও ব্রেস্টফিডিং জোন স্থাপন এবং ক্যাম্পাসে নারীবান্ধব অবকাঠামো তৈরির কথা বলা হয় ইশতেহারে। পাশাপাশি যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধে বিদ্যমান সেলকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গবেষণার মান উন্নয়নে গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণা বৃত্তির ব্যবস্থা করা, সেমিনার ও গবেষণা উৎসব (রিসার্চ ফেস্ট) আয়োজন এবং বিদেশি বৃত্তির (স্কলারশিপ) ক্ষেত্রে সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে ইশতেহারে জানানো হয়। বিভাগীয় লাইব্রেরি আধুনিকায়ন, ডিজিটাল রিসোর্স সংযোজন ও পাঠদানের মান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ইশতেহারে।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রকে ৫০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর এবং অনলাইনে চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চিকিৎসা সহযোগিতা চুক্তি (এমওইউ) করে কম খরচে সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিষয়ে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, রেলগেটে পুলিশ বক্স স্থাপন ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পার্টটাইম নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সবুজ ক্যাম্পাস কর্মসূচি চালু, প্লাস্টিকবিরোধী প্রচারণা ও সৌরশক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
ইশতেহারে আরও রয়েছে নিয়মিত চাকসু নির্বাচন, স্বৈরাচারমুক্ত ক্যাম্পাস বিনির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা বিকাশ করা, সব জাতিগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালার আয়োজন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা, টিএসসি ও কেন্দ্রীয় অডিটরিয়াম নির্মাণ, আইনি সহায়তা সেল (লিগ্যাল এইড সেল) গঠন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী (অ্যালামনাই) সমন্বয়, মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠন ও ক্যাম্পাসের ভেতরে চাকরির সুযোগ তৈরির অঙ্গীকার। ইশতেহার ঘোষণার সময় প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী সাইদ বিন হাবিবও উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর চাকসু নির্বাচনের জন্য প্যানেল ঘোষণা করে ইসলামী ছাত্রশিবির। তাদের প্যানেলের নাম ‘সম্প্রীতি শিক্ষার্থী জোট’। এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের এমফিলের শিক্ষার্থী। জিএস পদে প্রার্থী করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সাঈদ বিন হাবিবকে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর র ব যবস থ র উদ য গ উদ য গ ন ন রসন
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের আবাসন-নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে ৩৩ দফার ইশতেহার দিল শিবির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে ৩৩ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’। আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রশিবির জানায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর ভিত্তি করে ইশতেহারে ৯টি মূল পয়েন্টের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আবাসনসংকট নিরসন, নিরাপদ ও সবুজ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা, গবেষণা জোরদার, যাতায়াতব্যবস্থা উন্নত করা, সেশনজট নিরসন, নারীবান্ধব ক্যাম্পাস নির্মাণ, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ, দাপ্তরিক কাজের স্বয়ংক্রিয়করণ (অটোমেশন) এবং কল্যাণমূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।
সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্রশিবিরের প্যানেলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা নিজ নিজ জায়গায় সেরা। আজকে আমরা ৩৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছি। আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করব। প্যানেল দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সবার স্বতন্ত্র দক্ষতা বিবেচনা করেছি। ইশতেহারের সব বিষয় এক বছরে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তবে আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা কাজ করব।’
ইশতেহারে বলা হয়, আগামী ১২ মাসে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ কল্যাণে ৩৩টি সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে আবাসনসংকট নিরসন। বিদ্যমান হলগুলো সংস্কার, এক্সটেনশন ব্লক বৃদ্ধি ও নতুন টিনশেড নির্মাণের মাধ্যমে হলে অন্তত ১০ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি সিট বণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।
যাতায়াতব্যবস্থায় শাটল ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এতে শাটলের বগি বাড়ানো, প্ল্যাটফর্ম আধুনিকায়ন, শাটল ট্র্যাকার অ্যাপ চালু ও নগর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত দ্বিতীয় রেললাইন স্থাপন প্রকল্প ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের ভেতরে ই-কার বৃদ্ধি ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে শাটল বাস সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে। শিক্ষার্থীদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।
হলে খাবারের মান যাচাইয়ের স্কেল প্রবর্তন, ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার এবং হোটেল-বাজার তদারকি করে মান ও মূল্য নির্ধারণের পরিকল্পনাও রয়েছে ইশতেহারে। একাডেমিক জটিলতা নিরসনে সেশনজট দূরীকরণ ও ডিজিটাল একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নের উদ্যোগ ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি বিভাগে সময়মতো পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ, রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল ব্যবস্থায় সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করা হয়।
এ ছাড়া ইশতেহারে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি, নারীদের কমনরুমে শিশুর যত্নকেন্দ্র (চাইল্ডকেয়ার কর্নার) ও ব্রেস্টফিডিং জোন স্থাপন এবং ক্যাম্পাসে নারীবান্ধব অবকাঠামো তৈরির কথা বলা হয় ইশতেহারে। পাশাপাশি যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধে বিদ্যমান সেলকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গবেষণার মান উন্নয়নে গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণা বৃত্তির ব্যবস্থা করা, সেমিনার ও গবেষণা উৎসব (রিসার্চ ফেস্ট) আয়োজন এবং বিদেশি বৃত্তির (স্কলারশিপ) ক্ষেত্রে সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে ইশতেহারে জানানো হয়। বিভাগীয় লাইব্রেরি আধুনিকায়ন, ডিজিটাল রিসোর্স সংযোজন ও পাঠদানের মান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ইশতেহারে।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রকে ৫০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর এবং অনলাইনে চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চিকিৎসা সহযোগিতা চুক্তি (এমওইউ) করে কম খরচে সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিষয়ে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, রেলগেটে পুলিশ বক্স স্থাপন ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পার্টটাইম নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সবুজ ক্যাম্পাস কর্মসূচি চালু, প্লাস্টিকবিরোধী প্রচারণা ও সৌরশক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
ইশতেহারে আরও রয়েছে নিয়মিত চাকসু নির্বাচন, স্বৈরাচারমুক্ত ক্যাম্পাস বিনির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা বিকাশ করা, সব জাতিগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালার আয়োজন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা, টিএসসি ও কেন্দ্রীয় অডিটরিয়াম নির্মাণ, আইনি সহায়তা সেল (লিগ্যাল এইড সেল) গঠন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী (অ্যালামনাই) সমন্বয়, মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠন ও ক্যাম্পাসের ভেতরে চাকরির সুযোগ তৈরির অঙ্গীকার। ইশতেহার ঘোষণার সময় প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী সাইদ বিন হাবিবও উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর চাকসু নির্বাচনের জন্য প্যানেল ঘোষণা করে ইসলামী ছাত্রশিবির। তাদের প্যানেলের নাম ‘সম্প্রীতি শিক্ষার্থী জোট’। এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের এমফিলের শিক্ষার্থী। জিএস পদে প্রার্থী করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সাঈদ বিন হাবিবকে।