সাজিদ হত্যার বিচারসহ ১৫ দাবি ইবি সংস্কার আন্দোলনের
Published: 9th, September 2025 GMT
সাজিদ হত্যা ও ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিচার, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ১৫ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংস্কার আন্দোলন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপাচার্যের কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।
আরো পড়ুন:
২৫ ঘণ্টা পর তালা খুললেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা
ইবিতে দুর্গাপূজায় পরীক্ষা স্থগিতসহ ২ দাবি সনাতনী শিক্ষার্থীদের
তাদের দাবিগুলো হলো- সেশনজট নিরসন, সাজিদ হত্যার বিচার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ছাত্র সংসদ গঠন, সেবা খাতে ডিজিটালাইজেশন, আবাসন সংকট নিরসন, চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন, খাবারের মান বৃদ্ধি, ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিচার, পরিবহন সংকট দূরীকরণ, সাপের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ, প্রতিটি বিভাগে মানসম্মত ছাত্রী কমনরুম নিশ্চিত করা, প্রত্যেক বিভাগ ও হলে ফার্স্ট এইড বক্স রাখা, শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার বুলিং বন্ধে নীতিমালা প্রণয়ন করা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য খন্দকার আবু সাঈম, ত্বকী ওয়াসিফ, রাউফুল্লাহ খান, মোসাদ্দেক হোসেন, আব্দুল্লাহ আল কাফী প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগে সেশনজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই জট নিরসনে আমরা তেমন পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যা ঘটনার দেড় মাস হয়ে গেলেও এখনো হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি প্রশাসন। অনতিবিলম্বে সাজিদের খুনিদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ভঙ্গুর অবস্থা প্রমাণিত হয়েছে।
তারা আরো বলেন, ছাত্র সংসদ গঠনে বাস্তবসম্মত, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও মান্ধাতার আমলের মত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালযের সব কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হোক।
ইবি সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে খন্দকার আবু সাঈম বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য স্যারের কাছে ১৫ দফা দাবি জানিয়ে এসেছি। আমরা অতিদ্রুত এসব শিক্ষার্থীবান্ধব দাবির বাস্তবায়ন চাই। আমরা এখান থেকে ইবি সংস্কার আন্দোলনের নামে একটি প্লাটফর্ম ঘোষণা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সংস্কার করতে সর্বদা সোচ্চার থাকব। আমরা শীঘ্রই প্লাটফর্মটি নিয়ে একটি ঘোষণা দেব।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপির জাতীয় ছাত্রশক্তির কমিটি ঘোষণা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জাহিদ–বাকের
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রে সভাপতি হয়েছেন জাহিদ আহসান, সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরীকে সভাপতি ও আল আমিন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাত ১০টায় এই দুই কমিটি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) থেকে নাম বদলে জাতীয় ছাত্রশক্তি হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় সংগঠনটির চার সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হলো। আর সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি তিন সদস্যের।
জাতীয় ছাত্রশক্তির নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার—দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জাহিদ এর আগে বাগছাসের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আর বাকের সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চার সদস্যের আংশিক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন দুজন। সাংগঠনিক সম্পাদক (উত্তরাঞ্চল) পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম আর সাংগঠনিক সম্পাদক (দক্ষিণাঞ্চল) করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহির আলমকে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হবে।
ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকারও বাগছাসের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এই কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাইফুল্লাহকে। তাঁদেরও সাত কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছে।
তাহমিদ আল মুদ্দাসসির