অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সেশনজট নিরসনের দাবিতে অনশনের বসেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা। তারা সেমিস্টারের মেয়াদকাল সর্বসাকুল্যে ৪ মাস করার দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

আরো পড়ুন:

‘কাশির সূত্র ধরে’ খাদ্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ৩

ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়: প্রধান বিচারপতি

এ সময় তারা হাতে থাকা প্লাকার্ডে ‘মোদের দাবি একটাই চার মাসে সেমিস্টার চাই’, ‘ডিগ্রি নিতে ১০ বছর চাকরি নিব কোন বছর’, ‘এক দফা এক দাবি ৪ মাসে সেমিস্টার দিবি’, ‘সেশনজটে পুড়ছে প্রাণ এবার চাই সমাধান’ ইত্যাদি লেখা দেখা যায়। 

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। আলোচনায় শেষে বিকেল ৪টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো.

নাঈম মিয়া বলেন, “ভেটেরিনারি অনুষদের সেশনজট নিরসনে সেমিস্টার সময়কাল ৪ মাসে করার জন্য গত ১২ অক্টোবর আমরা উপাচার্য স্যার বরাবর স্মারকলিপি জমা দেই। পরবর্তীতে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমরা জানাই ২৪ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হলে ২৫ তারিখ থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছি।”

দুপুরের পর উপাচার্যের সঙ্গে হওয়া আলোচনায় তাদের দাবি না মানায় আমরণ অনশন শুরু করেন বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, “আমরা তাদের দাবির প্রতি যথেষ্ঠ নমনীয়। আমরা প্রায় ২ ঘন্টা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সবকিছু তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা ভাবতে পারিনি তারা অনশনে বসবে।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে যথাযথ আইন মেনে আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি।”

এর আগে, গত ১২ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সেশনজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সময়সীমা বেধে দেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/কাওছার/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অনশন স শনজট ন রসন র উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে বই নিয়ে বিজয় মেলা

বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে বই নিয়ে প্রাণস্পন্দন জাগল আবার। আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ‘বিজয় বইমেলা’। মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়ের মাস উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) প্রথমবারের মতো বিজয় বইমেলার আয়োজন করল।

সন্ধ্যায় একাডেমির বর্ধমান হাউসের পাশে বিজয় মঞ্চে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাপুসের সভাপতি রেজাউল করিম। মেলার উদ্বোধনের নির্ধারিত সময় ছিল বিকেল চারটা। প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিজয় বইমেলা উদ্বোধনের কথা ছিল। তবে তিনি সন্ধ্যা ছয়টা অবধি আসতে না পারায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

উদ্বোধন করে বাপুসের সভাপতি রেজাউল করিম শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছি বলেই আজ আমরা এই বিজয় বইমেলা করতে পারছি।’ জাতি গঠনের জন্য বইয়ের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাপুস জনগণের, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এখন থেকে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে বিজয় বইমেলা আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া আগামী বছর সারা দেশের ৬৪ জেলায় বইমেলার পরিকল্পনা রয়েছে।

সন্ধ্যায় একাডেমির বর্ধমান হাউসের পাশে বিজয় মঞ্চে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ