শুধু ব্যাটসম্যান বলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেই সাকিব
Published: 12th, January 2025 GMT
সাকিব আল হাসান এখন অর্ধেক ক্রিকেটার। সেটা তাঁর নিজের মানদণ্ডেই। ক্রিকেটবিশ্ব এই বাঁহাতিকে চেনে অলরাউন্ডার হিসেবে। কিন্তু অননুমোদিত অ্যাকশনের কারণে সাকিবের এখন বোলিং করার সুযোগ নেই। শুধুই ব্যাটসম্যান। আর শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সাকিবের জায়গা দেখেননি নির্বাচকেরা।
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে স্পষ্ট করেই বলেছেন, শুধু ব্যাটসম্যান বলে সাকিবকে দলে রাখা হয়নি। তবে অন্য দুটি প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচক যা বলেছেন, তাতে সাকিবের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে না থাকা শুধুই ‘অর্ধেক ক্রিকেটার’ বলে নয়।
সাকিব যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকছেন না, সেটি প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় গতকাল সাকিবের দ্বিতীয় দফার অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করার খবরে। আজ দল ঘোষণার সময় সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যায় পরীক্ষায় নেগেটিভ, তাই শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন। আমরা তাকে দল গঠনে ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করেছি। কিন্তু কম্বিনেশনে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে জায়গা দেওয়া যায়নি।’
সাকিব শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।