রামগতিতে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি
Published: 19th, October 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ১০টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে নগদ অর্থ, মালামাল ও দোকানঘরসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের সুইজগেইট নামক বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
পুরোপুরি নিভেছে বিমানবন্দরের আগুন
বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
স্থানীয়রা জানান, ভোর ৪টার দিকে বিদ্যুৎ শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রামগতি ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের দুটি টিম স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে বাজারের অন্তত ১০টি দোকানপুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। ভোরে বাজারে আগুন লেগেছে বলে খবর পাই। পরে এসে দেখি দোকানগুলো পুড়ে গেছে। এখন আমাদের ভিক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
রামগতি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দেড় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর মধ্যে ১০টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
রামগতি থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, “বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন আগ ন র র মগত
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ড: পরাধীনতাকে জয় করা এক জাতির গল্প
বিশ্বের মানচিত্রে বিজয়ের সংজ্ঞা সব সময় যুদ্ধক্ষেত্র বা বারুদের গন্ধে সীমাবদ্ধ থাকে না। কখনো কখনো বিজয় মানে হলো হাজারো ঝড়ের মধ্যেও মাথা নত না করা। আজ ৫ ডিসেম্বর, আমাদের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের ‘জাতীয় দিবস’। একই সঙ্গে দিনটি উদ্যাপিত হয় দেশটির ‘ফাদার্স ডে’ বা বাবা দিবস হিসেবেও। কারণ, ১৯২৭ সালের এই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার প্রয়াত রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ (নবম রামা)।
ডিসেম্বর মাসের বিজয়ের গল্পে থাইল্যান্ডের নাম উঠে আসে এক অনন্য কারণে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড (সাবেক নাম ‘শ্যামদেশ’) কখনোই ইউরোপীয় কোনো শক্তির উপনিবেশ ছিল না। যখন প্রতিবেশী মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া বা ভিয়েতনাম ব্রিটিশ কিংবা ফরাসি শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী ছিল, তখন থাইল্যান্ড তার কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও জাতীয় ঐক্যের জোরে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। তাদের এই স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিজয়। আর আধুনিক যুগে সেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আগলে রাখার প্রতীক ছিলেন রাজা ভূমিবল।
থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ