রূপগঞ্জে যুবদলের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট
Published: 19th, October 2025 GMT
রূপগঞ্জে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, মাছের ঘের দখল ও মহিলা দলের সমাবেশে লোকজন না নেওয়া কে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কেন্দয়া, (মস্তাপুর) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও মাছ চাষের ঘের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় যুবদল নেতা কাউসার মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ যুবদল নেতা বাদশা মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
এছাড়া শনিবার দুপুরে কাঞ্চন ভারত চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলা দলের সমাবেশে লোকজন না নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাদশা মিয়ার ওপর কাউসার মিয়ার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়।
এসব ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাদশা, খোকন, তরিকুল, ডালিমসহ কয়েকজনের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পুলিশের দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ র পগঞ জ য বদল ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
ঝাড়ু হাতে ‘পরিচ্ছন্নকর্মীদের’ ডিসির বিরুদ্ধে মিছিল
‘পরিচ্ছন্নকর্মী’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ লালমনিরহাটের হরিজন সম্প্রদায়। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিসে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ব্যানার ও ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ করেছে জেলার দুটি কলোনীর শতাধিক মানুষ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের সুইপার কলোনী থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন আন্দোলনকারীরা। সেখানে ‘বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ ও হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন’ জেলা শাখার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
বক্তারা ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এচইএম রকিব হায়দার ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন প্রশ্নপত্র তৈরি করে কৌশলে তাদের নিয়োগ বাতিল করার চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য গত ১৩ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংস্থাপন শাখায় মোট ৭টি পদের অনুকূলে ৩৯ জনকে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ‘পরিচ্ছন্নকর্মী’ পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বক্তারা বলেন, গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় হরিজন সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের প্রতি চরম বৈষম্য করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ডিসি অফিস ওই ৩৯ জন স্টাফ নিয়োগে তাদের সঙ্গে যে বৈষম্য করেছে, তার প্রমাণ প্রশ্নপত্রের কাঠিন্য। অথচ এই পদে ঐতিহ্যগতভাবে এবং পেশাগত দিক দিয়ে হরিজনদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা বলেও জানান তারা।
আগামীকাল রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এই নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই, বৈষম্যের প্রতিবাদে সরব হলেন হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্র নির্দিষ্ট কারো জন্য করা হয় না। সকল প্রার্থী বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে কেউ যদি আন্দোলন করে তাতে কিছু করার নেই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘মাত্র ফাইনাল হলো, অপেক্ষা করেন! অস্থির হওয়ার কিছু নেই। আর পরীক্ষায় টেকেনি কে বলেছে? হরিজন সম্প্রদায়ের তিনজন টিকেছে বলে আমি জেনেছি।’’
ঢাকা/সিপন//