নোবিপ্রবিতে শূন্য আসনে ভর্তির তারিখ ঘোষণা
Published: 13th, January 2025 GMT
গুচ্ছভুক্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্যের শূন্য আসনে ভর্তির তারিখ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আগামী ১৫ জানুয়ারি ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের শিক্ষা শাখা থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুচ্ছভুক্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে অনুষদভুক্ত (বিভিন্ন ইউনিটে) বিভিন্ন ইনস্টিটিউট/বিভাগের শূন্য আসনে ইউনিট ভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী (আসন খালি থাকা সাপেক্ষে) আগামী ১৫ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার পর্যবেক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র, ইউনিট ভিত্তিক চয়েস ফরম অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে প্রিন্ট কপি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল মার্কশিট অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে। চূড়ান্ত ভর্তির লক্ষ্যে বিষয়প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ এবং ব্যাংকে ফি প্রদান করে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।
নির্ধারিত তারিখে ফরম পূরণ এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা প্রদান না করলে পরবর্তীতে আর ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে না। মেধাক্রম অনুযায়ি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে পাওয়া না গেলে পরবর্তী মেধাক্রম থেকে শূন্য আসনে ভর্তি করানো হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পাঁচটি, বাংলায় ১০টি, সমাজকর্মে ১২টি, শিক্ষা বিভাগে ১৭টি, শিক্ষা প্রশাসনে দুইটি ও ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্টে তিনটি,শিক্ষা বিভাগে তিনটি ও শিক্ষা প্রশাসনে একটি আসন শূন্য রয়েছে।
এ ইউনিটে ৪৯টি শূন্য আসনের বিপরীতে মেধাক্রম ১৯৪৬২ থেকে ২২০৯৪ পর্যন্ত ৫০০ জন, বি ইউনিটে তিনটি শূন্য আসনের বিপরীতে মেধাক্রম ৩৬০৩ থেকে ৪২৫৮ পর্যন্ত ৩০ জন এবং সি ইউনিটে একটি শূন্য আসনের বিপরীতে মেধাক্রম ৬১১৮ থেকে ৬৫৫৭ পর্যন্ত ৭০ জনকে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভর্তির জন্য উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়েছে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে কেন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এসব দেশ
কখনো বিমান হামলা করে, কখনো অভুক্ত রেখে, কখনো তিলে তিলে, আবার কখনো দ্রুত—সব রকমভাবে অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে চলেছে ইসরায়েল। এর মধ্যেই ২৮টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসানের দাবিতে একটি বিবৃতি স্বাক্ষর করেছেন।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থা গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা জানানোর কয়েক মাস পর এখন এসব দেশ কেবল বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু সংকট সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
যেসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন, সেসব দেশের কয়েকটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত সপ্তাহে ফ্রান্সও ঘোষণা দিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে দেশটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। এ ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
তবে সমালোচকেরা বলছেন, এসব দেশ মুখে যতই ইসরায়েলের সমালোচনা করুক না কেন, তারা এখনো ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসা–বাণিজ্য করে লাভবান হচ্ছে। তারা ইসরায়েলের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বা এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা ইসরায়েলকে গাজায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে পারে।
এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার ও নৃশংস হামলায় অন্তত ৫৯ হাজার ৮২১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৭ জন।
জেনে নেওয়া যাক, কোন দেশগুলো ইসরায়েলকে একদিকে তাদের সামরিক আগ্রাসনের জন্য দোষারোপ করছে, অন্যদিকে তাদের সঙ্গে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্যভিত্তিক উন্মুক্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম অবজারভেটরি অব ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটির (ওইসি) ২০২৩ সালের তথ্যানুসারে, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য—প্রতিটি দেশ ওই বছর ইসরায়েলের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আমদানি-রপ্তানি বা উভয় ধরনের বাণিজ্য করেছে।
এসব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কী ধরনের বাণিজ্য করে
এসব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে প্রধানত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (চিপ), টিকা ও সুগন্ধির মতো বিভিন্ন পণ্য বাণিজ্য করে।
ইসরায়েল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব পণ্য রপ্তানি করে, সেগুলোর একটির নাম ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট। এগুলো আসলে ছোট আকারের চিপ, যা কম্পিউটার, মুঠোফোন, টেলিকম যন্ত্রপাতি, মেডিকেল ডিভাইসসহ নানা ইলেকট্রনিক পণ্যে ব্যবহৃত হয়।
এই চিপগুলোর একটি বিশাল অংশ আয়ারল্যান্ডে রপ্তানি হয়। শুধু ২০২৩ সালে দেশটিতে প্রায় ৩৫৮ কোটি ডলার মূল্যের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট রপ্তানি করেছিল ইসরায়েল। আয়ারল্যান্ড ইসরায়েল থেকে মোট যত পণ্য আমদানি করে, তার মধ্যে এই চিপই সবচেয়ে বেশি দামে এবং বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েলে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে ইতালি।
২০২৩ সালে ইসরায়েলে মোট ৩৪৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ইতালি। এর মধ্যে গাড়ি রপ্তানি করা হয় ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে ইতালি ইসরায়েলে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে।আগামী সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ