সোনারগাঁয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচারে ক্যাম্পেইন
Published: 13th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন বছরের শুরুতে নবায়নযোগ্য শক্তির স্বপ্ন: ইএসএডিএস, ক্লিন ও বিডাব্লিউজিইডি এর আয়োজনে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের আহ্বানে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। ইএসএডিএস, ক্লিন ও বিডাব্লিউজিইডি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই ক্যাম্পেইনে "ডব ঐধাব ধ উৎবধস: গড়ৎব ঋঁহফ রহ জবহবধিনষব ঊহবৎমু" এই থিমটি নিয়ে সারা দেশে একটি নতুন চিন্তার সূচনা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনে বিভিন্ন নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস, যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তির সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তিই হবে ভবিষ্যতের শক্তির উৎস। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সরকার ও বেসরকারি খাতকে নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে আরো বেশি বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইএসএডিএসের চেয়ারম্যান বলেন, "নবায়নযোগ্য শক্তি আমাদের পরিবেশ রক্ষা করবে এবং দেশের অর্থনীতির বিকাশ ঘটাবে। আমরা আশা করি এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সরকার ও বেসরকারি খাত নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে আরো বেশি মনোযোগ দেবে।"
এই সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, মহাসচিব মীযানুর রহমান,মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু জাহের মেম্বার,প্রতিবন্ধী শিশু ও যুব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মহিন সরদার,এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ, অভিনেতা বোরহান বকুল প্রমুখ।
ক্যাম্পেইনে সুশীল সমাজ ও পরিবেশকর্মীরা অংশগ্রহণ করে। তারা নবায়নযোগ্য শক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
আজমির ওসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার মাসুম প্রকাশ্যে. আতঙ্ক
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এখনো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে তাদের ব্যবসা পরিচালনা ও দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে। এরা ভুমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য থেকে শুরু করে স্থানীয় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছে বলে এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে।
অনেকের ধারনা গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র জনতার উপর হামলা করা অবৈধ অস্ত্রগুলো এখনো এ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সুরক্ষিত রয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তল্লা, হাজীগঞ্জ, পাঠানটুলী এলাকায় ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীর এ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি চলছে পূর্ণোদ্যমে। বুক ফুলিয়ে তার সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এখনো।
এ সূত্র ধরে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি খালিদ মনসুরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গুপ্তি মেরে থাকা বা কারো ছত্রছায়া থাকা এ ধরনের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রশাসনের কাছেও তথ্য রয়েছে। এই পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান। ক্রমান্বয়ে সব জায়গায় অভিযান চালানো হবে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, আজমির ওসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার হাজীগঞ্জের মাসুম প্রকাশ্যে এখনো বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং এলাকাবাসীদের জিম্মি করে তার নেট ব্যবসা পরিচালনা করে চলছে। নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের হিংস্রতার কথা সকলেরই কমবেশি জানা।
প্রায় ১৭ বছর নারায়ণগঞ্জটিকে দখল করে রেখেছিল তারা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা তো দূরের কথা, চিন্তা করলেও হতে হতো হামলা এবং মামলার শিকার।
নারায়ণগঞ্জ তথা প্রতিটা পাড়া মহল্লাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য এক একটা ক্যাডার গ্যাং তৈরি করে রেখেছিলো আজমেরী উসমান। এই বাহিনী গুলি ভাইয়াজান ও আম্মাজান পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে দাবরিয়ে বেড়াতো।
তার নির্দেশনায় চলতো ওই বিশাল বাহিনীর বহর। বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দেওয়া হয়েছিল একটি করে ইজিবাইক এবং বাইকের মাথায় স্টিকার ছিল আজমির ওসমান ফাউন্ডেশন।
এ গ্রুপের সদস্যরা জবরদখল ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ এমন কোন অপকর্ম ছিল না যা তাদের দাঁড়া অসম্ভব ছিলো । তাদের দেখলে সাধারণ জনতা থাকতো আতঙ্কে।
কারণ তাদের সাথে সামান্য কিছু ঘটলেই চলে আসতো বিশাল বিশাল হুন্ডা বাহিনী । তাদের কথার অবাধ্য হলেই করা হতো সাধারণ মানুষকে নাজেহাল, শারীরিক টর্চা।
তবে হাজিগঞ্জ, পাঠানটুলি, তল্লা, এনায়েত নগর এই অঞ্চলগুলিতে একটি বাহিনীর নেতৃত্ব স্থানে ছিলেন হাজীগঞ্জ এলাকার মাসুম ও রাজু এরা দুজন। মাসুম ও রাজুকে আজমিরী ওসমান ওরফে ভাইয়া জান এবং তার মা আম্মাজান নিজেই এই গ্রুপটাকে পরিচালনা করত। অনেকের মতে আম্মাজানের অর্থের যোগানদাতা ছিল এরা দুইজন।
রাজু কিছুটা নিরব থাকলেও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতা এবং সব অপকর্ম করে চলছে মাসুম । মাসুম জাতীয় পার্টি যুব সমাজের নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক।
৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নারায়ণগঞ্জের গডফাদার এ.কে.এম শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা শীর্ষ সন্ত্রাসী আজমির ওসমান বাহিনীর অনেকে পালিয়ে গেলেও এই সন্ত্রাসীরা কারো না কারো ছত্রছায়ায় প্রকাশে ঘোরাফেরা ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
কিছুদিন ডুবদিয়ে থাকলেও এই মাসুম এখন আবার এলাকায় প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। সে তার সুবিধার জন্য ব্যবহার করছে কিছু সাংবাদিক ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের নাম। অত্র এলাকার মানুষ হতবাক কিভাবে এত বড় সন্ত্রাসী এখনো প্রকাশে ঘোরাফেরা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভূমিধস্যু চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য ছাড়াও হাজিগঞ্জ, তল্লা, পাঠানতলী, এনায়েত নগর ওয়াবদারপুল ও এমসারকেস এই এলাকাগুলোতে মাসুম ও রাজুর একক নিয়ন্ত্রণে একেএম শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে ইন্টারনেট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার করতো, যা এখনো বহাল।
বিশেষ পেশার কয়েকজন ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীর ছত্রছায়া এই ব্যবসা এখনো চলমান বলে জানা যায়। যার সেন্টার দাতা ছিল এটিএম শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান।আজমির ওসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার মাসুম প্রকাশ্যে. আতঙ্ক
নারায়ণগঞ্জ টাইমস সর্বশেষ জনপ্রিয় ১আরো পড়ুন
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
সোনারগাঁয়ে অটোরিকশা-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার মেয়ের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল
নবায়নযোগ্য শক্তির দাবিতে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন
সোনারগাঁয়ে চোর আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
বন্দরে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে যুবককে হত্যা
বন্দরে সোহান হত্যা মামলার আসামি কাজলকে আদালতে প্রেরণ
বন্দর প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
২৩১/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক (৬ষ্ঠ তলা, লিফটের ৫)
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবন, নারায়ণগঞ্জ
নির্বাহী সম্পাদক: মোশতাক আহমেদ (শাওন)
ফোন:+৮৮০১৯৩৩-৩৭৭৭২৪
ইমেইল : [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
© ২০২৫ | সকল স্বত্ব নারায়ণগঞ্জ টাইমস কর্তৃক সংরক্ষিত | উন্নয়নে ইমিথমেকারস.কম