বিসিবিতে আসার গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন তামিম
Published: 16th, January 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। সাবেক এই অধিনায়ক পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জার্সি পরে আর মাঠে নামবেন না। তবে তার অবসর পরবর্তী জীবন নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। এর মধ্যেই বিসিবিতে তার যোগ দেওয়ার গুঞ্জন চাউর হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ তামিম।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে তামিমের ফরচুন বরিশাল। ১৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিমের ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ম্যাচ সেরা হয়ে জয় নিশ্চিত করে তার দল।
পয়েন্ট টেবিলে চার জয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বরিশালের অধিনায়ক তামিম ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তাকে ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত হওয়ার গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তামিম বলেন, ‘এই মুহূর্তে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই।’
যদিও এখনই ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই তামিমের, তবে তিনি ঘরোয়া এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। বিপিএলের ভবিষ্যৎ আসরগুলোতে খেলার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘আমি যতদিন সম্ভব খেলার চেষ্টা করব। এখন তো অবসর নিয়েছি, লিজেন্ডস লিগের জন্যও কোয়ালিফাই করব। সেগুলো খেলব। যদি প্রিমিয়ার লিগটা সময়মতো হয়, সেটাও খেলব। আর ফিট থাকলে বিপিএলও খেলে যাব।’
আপাতত ব্যাট হাতে বরিশালকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তামিম। তবে ভবিষ্যতে ক্রিকেট প্রশাসনে তাকে দেখা যাবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
আসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট
সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে আদালতে আনা হয়। সকাল ৯টার দিকে তাঁকে রাখা হয় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায়। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে নয়টার আগে হাজতখানার ভেতর থেকে এ বি এম খায়রুল হককে বের করা হয়। এ সময় তাঁর মাথায় ছিল পুলিশের হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট।
হাজতখানার ভেতর থেকে হাঁটিয়ে আদালতের ভেতরের একটি সরু রাস্তা দিয়ে খায়রুল হককে নিচতলায় সিঁড়ির সামনে আনা হয়। পরে দুজন পুলিশ কনস্টেবল সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের হাত ধরে রাখেন। তিনি হেঁটে হেঁটে নিচতলা থেকে দোতলায় ওঠেন। পরে দোতলা থেকে আবার হেঁটে হেঁটে তিনতলায় ওঠেন। পরে তাঁকে নেওয়া হয় আসামির কাঠগড়ায়। তখন সময় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট। নিজের দুই হাত পেছনে রেখে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। তখনো বিচারক আদালতকক্ষে আসেননি। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তখন দেখা যায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক মাথা উঁচু করে সামনের দিকে তাকাতে থাকেন। কিছুক্ষণ দেখার পর আবার মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন।
সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে আদালতকক্ষে আসেন ঢাকার সিএমএম আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. ছানাউল্লাহ। এ সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা এ বি এম খায়রুল হকের নাম ধরে ডাকেন।
তখন রায় জালিয়াতির অভিযোগে করা শাহবাগ থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালেক মিয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এসআই খালেক মিয়া আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায় বাতিল করে ২০১১ সালের ১০ মে একটি সংক্ষিপ্ত রায় দেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। সেই সংক্ষিপ্ত রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক মতপ্রকাশ করেন যে পরবর্তী ১০ম ও ১১তম সংসদ নির্বাচন দুটি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাবেক প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না বলেও সংবিধান সংশোধনের জন্য মত দেন। ওই সংক্ষিপ্ত আদেশটি সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে দেওয়া হয়। সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আদেশের পক্ষে বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন (পরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতি), সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (পরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতি) ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (পরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতি) মত দেন। তবে আপিল বিভাগের বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। অর্থাৎ আপিল বিভাগের এই তিন বিচারপতি ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ মর্মে ঘোষণার বিপক্ষে মত দেন।’
প্রিজন ভ্যানে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। আজ বুধবার ঢাকার আদালত এলাকায়