পিনিকে খাঁচায় বন্দি বুবলীকে দেখা গেল
Published: 19th, January 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল ফিতরে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী অভিনীত ‘জংলি’ ছবি মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত আরও একটি ছবি নাম ‘পিনিক’। গত বছরের নভেম্বরে কক্সবাজারে শুটিং শুরু হয় ছবিটির।
শুটিংয়ের মাঝপথে ছবির নায়ক আদর আজাদের ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশিত হয়। হাতে রাখা হয় বুবলীকে।
এবার এলো বুবলীর ফার্স্ট লুক। যেখানে দেখা গেছে, স্কার্ফে আবৃত নায়িকার মাথা। চোখে রোদচশমা। বুবলীর মুখমণ্ডল খাঁচায় বন্দী। তার কাঁধ থেকে নিচের অংশ কালো পোশকে আবৃত।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ জুয়েল। ছবিটিতে শবনম বুবলীকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে। ছবির অন্যতম প্রযোজক শিমুল খান জানান, ‘এমন বুবলীকে এর আগে কেউ দেখেননি। একেবারে নতুন, অন্য রকম একজন। পর্দায় তাঁকে দেখার পর যে কেউ চমকে যাবেন। এমনিতে আমাদের এই ছবির একটি চরিত্র ছাড়া সব কটিই নেগেটিভ। প্রতিশোধ ও পাল্টা–প্রতিশোধের গল্প।’
এই সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন আলী রাজ, ফজলুর রহমান বাবু, জয়িতা মহলানবীশ, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী, মাসুম বাশার, সমু চৌধুরী, শরীফ সিরাজ, এ কে আজাদ সেতু, নাজনীন শবনম, নাফিস আহমেদ বিন্দুসহ অনেকেই।
সিনেমাটি প্রযোজনা করছে ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট এবং সহপ্রযোজনায় আছেন অভিনয়শিল্পী শিমুল খান। রোজার ঈদের মুক্তি কথা ছবিটির।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।