২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বড় আকর্ষণ সম্প্রতি লাল সবুজের জার্সিতে খেলার অনুমতি পাওয়া লিস্টার সিটির হামজা চৌধুরী। তার খেলা এবং দলের সঙ্গে ক্যাম্পে যোগ দেয়া নিয়ে এখনো পরিস্কার কিছু বলতে পারছেন না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। 

মার্চ উইন্ডোকে সামনে রেখে সৌদি আরবে ক্যাম্প যে পরিকল্পনা নিয়েছে বাফুফে, সেখানে হামজা চৌধুরী থাকতে পারবেন কিনা তা চূড়ান্ত হয়নি। তারপরেও ইংলিশ প্রবাসী এ ফুটবলারকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে পাওয়ার আশা করছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। 

নতুন চুক্তি হওয়ার পর সোমবার বাফুফে ভবনের সামনে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে হামজাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন এ স্প্যানিয়ার্ড, ‘ক্যাম্প শুরুর দিনক্ষণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নই আমি। আশা করি ফেব্রুয়ারিতে। আসলে ম্যাচের আগে আমরা প্রস্তুতির জন্য অন্তত চার সপ্তাহ সময় পেতে চাই। হামজা কবে আসবে সে ব্যাপারে আমার মনে হয়, কর্তৃপক্ষ আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিতে পারবে, আমি আসলেই এ বিষয় জানি না। তবে, সম্ভবত ফিফা উইন্ডো যখন খুলবে (তখন সে আসবে)। তবে হামজার সঙ্গে আমার এখনো কথা হয়নি।’

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপ ‘সি’তে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর ও হংকং। প্রতিবেশি দেশের চেয়ে এই দুটি দল আরও শক্তিশালী। সে হিসেবে বাংলাদেশের বাছাইয়ের পথচলা কঠিন হবে বলে মনে করছেন ক্যাবরেরা, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অতীতের মতো এবারও সৌদি আরবের ক্যাম্প করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা, যেটা আমাদের জন্য অতীতে উপকারী ছিল। আর গ্রুপ পর্বটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। বলতে পারেন কঠিনও। তারপরও আমি আশাবাদী এই দলকে নিয়ে।’

ক্যাম্পের তারিখ নির্ধারন না হওয়ায় এখনো দলও ঘোষনা করেননি ক্যাবরেরা। তবে নতুন মৌসুমের শুরু থেকে বিভিন্ন ভেন্যুতে গিয়ে ম্যাচ দেখেছেন তিনি। সেখানে স্থানীয় অনেকের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে তাকে, ‘স্থানীয় কোচিং স্টাফদের নিয়ে ঘরোয়ার ম্যাচগুলো আমরা অনুসরণ করেছি। হাসান ও মেহেদী ফেডারেশন কাপের ম্যাচগুলো অনুসরণ করেছে। ঘরোয়ার ম্যাচগুলো দেখে আমি বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান, আবাহনী, এমনকি ফর্টিসের স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে খুশি। আমি বিশ্বাস করি, তারা যথেষ্ট ভালো করেছে। আবাহনী পুরোপুরি স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে খেলছে। লিগ টেবিলে শীর্ষে আছে মোহামেডান, যেটা আমি মনে করি, বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ভালো। এটা ঠিক যে, এখানকার ফুটবল বাকবদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, বসুন্ধরা কিংসের পারফরম্যান্সের মান কমেছে, তা সত্ত্বেও স্থানীয় ফুটবলাদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুশি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ য ভ য় র ক য বর র ফ টবল র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়

অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।

তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।

প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।

তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।

এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।

তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।

চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।

২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।

অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ