ক্যাম্পে হামজাকে পাওয়ার আশা ক্যাবরেরার
Published: 20th, January 2025 GMT
২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বড় আকর্ষণ সম্প্রতি লাল সবুজের জার্সিতে খেলার অনুমতি পাওয়া লিস্টার সিটির হামজা চৌধুরী। তার খেলা এবং দলের সঙ্গে ক্যাম্পে যোগ দেয়া নিয়ে এখনো পরিস্কার কিছু বলতে পারছেন না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
মার্চ উইন্ডোকে সামনে রেখে সৌদি আরবে ক্যাম্প যে পরিকল্পনা নিয়েছে বাফুফে, সেখানে হামজা চৌধুরী থাকতে পারবেন কিনা তা চূড়ান্ত হয়নি। তারপরেও ইংলিশ প্রবাসী এ ফুটবলারকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে পাওয়ার আশা করছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।
নতুন চুক্তি হওয়ার পর সোমবার বাফুফে ভবনের সামনে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে হামজাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন এ স্প্যানিয়ার্ড, ‘ক্যাম্প শুরুর দিনক্ষণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নই আমি। আশা করি ফেব্রুয়ারিতে। আসলে ম্যাচের আগে আমরা প্রস্তুতির জন্য অন্তত চার সপ্তাহ সময় পেতে চাই। হামজা কবে আসবে সে ব্যাপারে আমার মনে হয়, কর্তৃপক্ষ আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিতে পারবে, আমি আসলেই এ বিষয় জানি না। তবে, সম্ভবত ফিফা উইন্ডো যখন খুলবে (তখন সে আসবে)। তবে হামজার সঙ্গে আমার এখনো কথা হয়নি।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপ ‘সি’তে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর ও হংকং। প্রতিবেশি দেশের চেয়ে এই দুটি দল আরও শক্তিশালী। সে হিসেবে বাংলাদেশের বাছাইয়ের পথচলা কঠিন হবে বলে মনে করছেন ক্যাবরেরা, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অতীতের মতো এবারও সৌদি আরবের ক্যাম্প করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা, যেটা আমাদের জন্য অতীতে উপকারী ছিল। আর গ্রুপ পর্বটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। বলতে পারেন কঠিনও। তারপরও আমি আশাবাদী এই দলকে নিয়ে।’
ক্যাম্পের তারিখ নির্ধারন না হওয়ায় এখনো দলও ঘোষনা করেননি ক্যাবরেরা। তবে নতুন মৌসুমের শুরু থেকে বিভিন্ন ভেন্যুতে গিয়ে ম্যাচ দেখেছেন তিনি। সেখানে স্থানীয় অনেকের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে তাকে, ‘স্থানীয় কোচিং স্টাফদের নিয়ে ঘরোয়ার ম্যাচগুলো আমরা অনুসরণ করেছি। হাসান ও মেহেদী ফেডারেশন কাপের ম্যাচগুলো অনুসরণ করেছে। ঘরোয়ার ম্যাচগুলো দেখে আমি বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান, আবাহনী, এমনকি ফর্টিসের স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে খুশি। আমি বিশ্বাস করি, তারা যথেষ্ট ভালো করেছে। আবাহনী পুরোপুরি স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে খেলছে। লিগ টেবিলে শীর্ষে আছে মোহামেডান, যেটা আমি মনে করি, বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ভালো। এটা ঠিক যে, এখানকার ফুটবল বাকবদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, বসুন্ধরা কিংসের পারফরম্যান্সের মান কমেছে, তা সত্ত্বেও স্থানীয় ফুটবলাদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুশি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ য ভ য় র ক য বর র ফ টবল র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।
এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স— ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।
আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগেভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।
ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।
তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল