যুক্তরাষ্ট্রে লিঙ্গ হিসেবে শুধু নারী-পুরুষকে স্বীকৃতি দেবেন ট্রাম্প
Published: 21st, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে এখন থেকে লিঙ্গ হিসেবে শুধুমাত্র নারী ও পুরুষকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার শপথ নেওয়ার পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, “আজকে, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতি হবে এখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) শুধুমাত্র দুই লিঙ্গের মানুষ আছেন— নারী ও পুরুষ।”
আরো পড়ুন:
পানামা খাল দখলসহ আরো যা করার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প
মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা ট্রাম্পের
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা জানান, নতুন এই নির্বাহী আদেশের ফলে ফেডারেল সরকারকে “জেন্ডার’ শব্দটির পরিবর্তে ‘সেক্স’ শব্দটি ব্যবহার করতে হবে এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে পাসপোর্ট ও ভিসাসহ সরকারি সরকারি নথিতে সঠিকভাবে লিঙ্গ প্রতিফলিত হয় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে মার্কিনিদের পাসপোর্টে ট্রান্সজেন্ডারদের লিঙ্গ হিসেবে ‘এক্স’ লেখার সুযোগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প এবার তার নির্বাহী আদেশে লিঙ্গ হিসেবে শুধুমাত্র নারী ও পুরুষকে স্বীকৃতি দেওয়ায়; এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য যেসব সরকারি কার্যক্রম রয়েছে, সেগুলোতেও অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে।
গত বছরই নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ট্রাম্প জানিয়ে রেখেছিলেন, নারীদের খেলায় ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অ্যাথলেটরা সাধারণত নারীদের ইভেন্টে অংশ নিয়ে থাকেন।
এদিকে, এলজিবিটিকিউ আমেরিকানদের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী নাগরিক অধিকার সংস্থা ল্যাম্বডা লিগ্যালের প্রধান আইন কর্মকর্তা জেনিফার সি.
পাইজার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট, কলমের নড়াচড়া দিয়ে, মানুষকে এবং আমরা যে মানুষের সম্প্রদায় হিসেবে বিদ্যমান তার বাস্তবতা পরিবর্তন করতে পারবেন না। আমাদেরও সমান সুরক্ষা অধিকার রয়েছে, ঠিক যেমন অন্য কারো আছে।”
এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের আরেক আইনজীবী ও আইন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে অবশ্যই আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে