জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস
Published: 22nd, January 2025 GMT
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস আলম।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই তথ্য জানান তিনি।
স্ট্যাটাসে সারজিস লিখেছেন, “জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই। এই ফাউন্ডেশনের গতি তরান্বিত করার জন্য ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে 'এক্সিকিউটিভ কমিটি' পুরো অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে ৷ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সেখানে অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।”
তিনি বলেন, “গভর্নিং বডি ফাউন্ডেশনের পলিসি মেকিংয়ে কাজ করবে। যেখানে প্রধান উপদেষ্টাসহ চার জন উপদেষ্টা রয়েছেন (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার, আইসিটি। “সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ এখন নেই। এই ফাউন্ডেশন প্রথম আর্থিক সহযোগিতা শুরু করে ১ অক্টোবর, অফিস চালু হয় ১৫ অক্টোবর থেকে। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি ২১ অক্টোবর। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ১০ দিন আমি দায়িত্ব পালন করি। এরপর আমি দায়িত্ব থেকে সরে আসি। ফাইনালি আমার সাইনিং অথোরিটি ৭ জানুয়ারি হস্তান্তর হয় এবং অফিসিয়ালি আমার দায়িত্ব শেষ করি।”
সাহায্যের বিষয়ে তিনি বলেন, “৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যারিফাইড ৮২৬ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার ভ্যারিফাইড আহতের মধ্যে প্রায় ২ হাজার আহতকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। যতদিন পর্যন্ত আমি আমার সর্বোচ্চ সময় ফাউন্ডেশনে দিতে পেরেছি ততদিন আমি দায়িত্ব পালন করেছি। যখন মনে হয়েছে- এখন থেকে ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া আমার জন্য সম্ভব হবে নয় তখন আমি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি। আমার কাছে নিজের সীমাবদ্ধতা এড্রেস করা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণ বা ত্যাগ করা কোনো দুর্বলতা নয় বরং এটাতে সৎ সাহস লাগে। আমি চেষ্টা করেছি আমার চেয়ারের দায়িত্বের সাথে সৎ থাকতে।”
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে হতাহতদের সহায়তায় গঠন করা হয় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। সেখানে সারজিস আলমকে সাধারণ সম্পাদক ও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করা হয়।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীতে তিন দিনের ফল মেলা শুরু বৃহস্পতিবার
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা। ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে শনিবার।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের ফল মেলায় ২৬টি সরকারি ও ৪৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মোট ৭৫টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফল চাষের প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কেআইবি চত্বরে মেলা উদ্বোধন করবেন কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এরপর কেআইবি মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বাণিজ্যিকীকরণে দেশী ফল: বর্তমান প্রেক্ষিত, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার হবে। কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষি উপদেষ্টা। সমাপনী দিন শনিবার বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে সেরা স্টলকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, দেশীয় ফলগুলোকে পরিচিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। মেলায় দেখা মিলবে বিলুপ্ত প্রায়, অপ্রচলিত, নতুন ও সম্ভাবনাময় অনেক ফলের। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর সারা বছরই বিভিন্ন ফলের নতুন জাত উদ্ভাবন করে। মেলায় সাধারণ মানুষকে এসব ফলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সুযোগ হবে। ঢাকা ছাড়া সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও জাতীয় ফল মেলার আয়োজন করা হয়েছে।